আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭ বছর ধরে পুলিশি হেনস্থার শিকার অজয় দেবগনের পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাঝে কেটে গেছে সাত বছর, এখনও প্রাত্যহিক জীবনযাপনে ভয় জড়িয়ে আছে বিজয় সালগাঁওকরের পরিবারকে। পুলিশি আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। শেষ অবধি কি পুলিশ জেনে যাবে যে আইজি মীরা দেশমুখের একমাত্র ছেলেকে খুন করে ফেলেছিল বিজয়ের স্ত্রী নন্দিনী ও পালিত কন্যা অঞ্জু? পুলিশ কি আদৌ খুঁজে পাবে তাঁর মৃতদেহ? চরিত্রগুলো চেনা লাগছে! কথা হচ্ছে ২০১৫ সালের জনপ্রিয় থ্রিলার দৃশ্যমের। মালায়ালাম এই ছবির হিন্দি রিমেক ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। সোমবার সামনে এলো এই ছবির দ্বিতীয় পার্টের ট্রেলার। ছবিটি পরিচালনা করছেন অভিষেক পাঠক।

যেহেতু ছবির গল্প গোয়ার প্রেক্ষাপটে তৈরি, তাই ছবির ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল গোয়ায়। ট্রেলার লঞ্চে আবেগে ভাসলেন অজয় দেবগন ও টাবু। মাত্র ৫০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন দৃশ্যমের পরিচালক নিশিকান্ত কামাত। ২০২০ সালে চলে যান পরিচালক। টাবু ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বলেন, নিশির কথা মনে পড়ছে, মনে পড়ছে সেই অভিজ্ঞতা,কীভাবে দৃশ্যম তৈরি সহজ করে তুলেছিলেন তিনি। ওকে মিস করছি। অজয় দেবগণ বলেন, নিশিকান্ত ছাড়া দৃশ্যম অসম্ভব ছিল। আজকের দিনে ওর কথা মনে পড়ছে।

দৃশ্যম ২ ছবি যে প্রথম পার্টের মতোই পরতে পরতে রহস্যে মোড়া থাকছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অজয় দেবগণ, টাবু, ইশিতা দত্ত, স্রিয়া সরনের পাশাপাশি এই ছবির অন্যতম সম্পদ হতে চলেছেন অক্ষয় খান্না।টাবুর বদলে এবার এই কেসের চার্জে রয়েছেন অক্ষয় খান্না। ছবির সিক্যোয়েলের ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফের বিজয়ের চরিত্রে ঝড় তুলবেন অজয়। ২০১৫ সালে তৈরি দৃশ্যম ছবিতে অজয় অভিনীত বিজয় চরিত্রটি পছন্দ করেছিল সকলেই। নিজের পরিবারকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে বিজয় যে প্ল্যান করেছিলেন তার পরতে পরতে ছিল রহস্য। আসলে বিজয়ের প্ল্যানের কুল কিনারা করে উঠতে পারেনি তার পরিবারও।

ট্রেলার পোস্ট করে বিজয় সালগাঁওকর অর্থাৎ অজয় দেবগণ বলেন, শব্দে নয়, দৃশ্যে মনোনিবেশ করুন। কারণ শব্দে মিথ্যেটা লুকিয়ে থাকার জায়গা খুঁজেই নেয়। আগামী ১৮ নভেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে দৃশ্যম-টু। দৃশ্যম থেকে ২ অক্টোবর ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানা মিমস, সোমবার সিক্যুয়েলের ট্রেলার সামনে আসতেই ফের ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে সেই মিমগুলো।


আরও খবর



সিভাসুতে দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ফুড ফেস্টিভ্যাল ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রায় ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো: সফিকুল ইসলাম খান, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিনসহ অনুষদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ফুড ফেস্টিভ্যাল। দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যালে স্থান পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা ও হরেক রকমের উপাদানের খাবার। ফুড ফেস্টিভ্যালে মোট ১১টি স্টল ছিল। সন্ধ্যায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে। ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশে ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ডিবির কার্যালয়ে আসেন তিনি। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি, কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে পোলিং এজেন্টের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুরের গাংনীতে সাইদুল ইসলাম (৩৬) নামের এক পোলিং এজেন্টের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে গাংনীর চিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার অপরাধে সাইদুল ইসলাম নামের ওই এজেন্টকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামিম।

দণ্ডিত সাইদুল ইসলাম ওই গ্রামের লস্কর শেখের ছেলে। তিনি একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডিত সাইদুল ইসলাম ভোটারদেরকে প্রভাবিত করায় তাকে আটক করেন প্রিজাইডিং অফিসার। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও গাংনীর সহকারী ভূমি কমিশনার নাদির হোসেন শামিম আদালত বসিয়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর