আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭ বছর বয়সে ৬ মাসে কোরআনের হাফেজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের নকলায় মাত্র ৬ মাসে মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন এর হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে ৭ বছরের শিশু মো. মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী। সে নকলা শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নকলা দারুল উলূম মাদরাসা থেকে পবিত্র আল কোরআন এর হিফজ সম্পন্ন করেছে।

এই বিস্ময়কর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন শিশু হাফেজ মো. মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর ভগ্নিপতি (দুলাভাই) হাফেজ  মাওলানা আব্দুল আলীম। শিশু হাফেজ মো. মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী উপজেলার নকলা পৌরসভাধীন উত্তর কায়দা এলাকার মৃত হাবিব মিয়া ও সুরাইয়া বেগম দম্পতির ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সন্তান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওয়াছকুরুনী ২ বছর বয়সেই তার বাবাকে চিরতরে হারায়। এর পরে পিতৃহারা ওয়াছকুরুনী তার মায়ের কাছেই বড় হয়। সে একটু বুঝতে শুরু করলেই তাকে মাদ্রাসাতে শিশু শ্রেণীতে ভর্তি করে দেওয়া হয়। ওয়াছকুরুনী প্রখর মেধার অধিকারী হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয় এবং সবার কাছে হয়ে ওঠে অতি আদরের। শিশু ওয়াছকুরুনী তার মেধার কারনেই ২০২২ সালে পাঁচ পারা ( গ্রুপ) হিফজ প্রতিযোগিতায় উপজেলায় প্রথম স্থান, জেলায় পঞ্চম স্থান (শারীরিক সমস্যার কারনে) ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো।

ওয়াছকুরুনীর দুলাভাই হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীম জানান, বাবা হারা মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর মেধা ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ (তারা আলম) তার যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণের আগ্রহী হয়ে ওয়াছকুরুনীকে নকলা দারুল উলুম মাদরাসায় ভর্তি করেন। এখন পর্যন্তও তার যাবতীয় ব্যয়ভার মুফতি আনসারুল্লাহ বহন করছেন বলে আব্দুল আলীম জানান।

আব্দুল আলীম আরো জানান, মাঝে মধ্যে ওয়াছকুরুনীর পরিবারসহ আত্মীয়ের পক্ষ থেকে ব্যয়বহনে শরীক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও মুফতি আনসারুল্লাহ তা নাকচ করে দিয়ে বলতেন, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী যতদিন নকলা দারুল উলুম মাদরাসাতে আছে, অন্তত ততদিন আল্লাহর রহমতে আমিই তার যাবতীয় ব্যয়বহন করব ইনশাআল্লাহ

নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ (তারা আলম) জানান, ৭ বছরের কোন শিশু মাত্র ৬ মাসে মহাগ্রন্থ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে এটা শুধু নকলা উপজেলাতেই প্রথম নয়, তার জীবনেও এটাই প্রথম দেখা। তিনি বলেন, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত। এই সাফল্যে আমাদের মতো গর্বিত হওয়ার কথা পুরো জেলা ও উপজেলাবাসীর। মুফতি আনসারুল্লাহ জানান, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর শিক্ষক হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম (সোহাগ) সব জায়গায় সবক্ষেত্রেই তাকে নিয়ে গর্ব করেন। তার ঐকান্তিক সহযোগিতায় মাহদী এত অল্প বয়সেই এই কীর্তি গড়তে সমর্থ হয়েছে। এতে হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলামের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


এবিষয়ে ওয়াছকুরুনীর শিক্ষক হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম (সোহাগ) জানান, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী অত্যান্ত নম্র-ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির একজন মেধাবী ছেলে। তার শিক্ষকতা জীবনে এটাই প্রথম ঘটনা যে, মাত্র ৬ মাসে ৭ বছরের একজন শিশু পবিত্র কালামুল্লাহ হিফজ সম্পন্ন করলো। তিনি আরো জানান, ওয়াছকুরুনী শেষ দিকে এসে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক (মুখস্ত) শুনিয়েছে। আল্লাহ তাকে নিশ্চয় দীনের জন্য কবুল করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নকলা দারুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব নাজমুল হক মজনু বলেন, আমি দ্বীনি শিক্ষা প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু ৭ বছরের শিশু মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর মতো বাবাহারা একজন শিশু যে, মাত্র ৬ মাসে পবিত্র আল কোরআন এর হাফেজ হয়ে দেশব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করবে তা কখনো কল্পনা করিনি। তার এই সাফল্যের কারনে নকলা দারুল উলুম মাদ্রসা আজ দেশব্যাপি পরিচিতি পাচ্ছে। আমাদের মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আজ সর্ব মহলে প্রশংসিত। এটা ভাবতেই গর্বে বুকটা ভরে যায় বলে তিনি জানান।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হক মজনু ও মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ একই ভাবে বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও এলাবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে নকলা দারুল উলুম মাদ্রসার সুনাম ভবিষ্যতে আরো বাড়বে ইনশাআল্লাহ। এই মাদ্রসার সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়বে বলে তারা আশাব্যক্ত করেন।

শিশু হাফেজ মো. মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনায় ওয়াছকুরুনীর মা সুরাইয়া বেগম, ভগ্নিপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীম, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হক মজনু, মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ, শিক্ষক হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম সোহাগসহ তার আত্মীয়স্বজন এই প্রতিবেদকের মাধ্যেমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এমন বিস্ময়কর সাফল্য অর্জনকারীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য হলেও তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন স্বরূপ উদ্দীপণা পুরষ্কার হিসেবে কিছু একটা করার উচিত বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়া-লেখাসহ যেকোন ভালো কাজের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে বলে তারা মনে করেন।


আরও খবর



ফের অনিরুদ্ধ রায়ের সিনেমায় দেখা মিলবে জয়া আহসানের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গত বছর বলিউডের আলোচিত সিনেমা পিংক এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর কড়ক সিং সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন জয়া। আর এবারে এই নির্মাতা বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  সিনেমার  নাম ডিয়ার মা

নতুন সিনেমাটির খবর শেয়ার করেছেন জয়া আহসান নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কড়ক সিংয়ের পর আবার আমাকে সিনেমায় সুযোগ দেয়ার জন্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীকে ধন্যবাদ। চন্দর রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্চি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেহপুরিয়া ও পদ্মপ্রিয়াদের মতো চমৎকার অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করব ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক। নির্মাণ করেছেন অনুরণন, অন্তহীন, অপরাজিতা তুমির মতো সিনেমা। এরপর বলিউডে নির্মাণ করেছেন পিংক, লস্ট ও সর্বশেষ কড়ক সিং। ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন বুনোহাঁস। এরপর আর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। ১০ বছর পর  মা-মেয়ের গল্প নিয়ে আংলা সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আগামী মে মাস থেকে ডিয়ার মা নামের এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।  

নতুন সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সিনেমা করব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম। আমিও অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবেন তিনি। এর মাঝে হিন্দি সিনেমাটা করা হলো।  এই বাংলা সিনেমাটা যখন তৈরি হলো, আমাকে শোনালেন, তখন ভাবলাম, তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এমনটা ভাবছেন। আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে সব চূড়ান্ত হলো।

ডিয়ার মা সিনেমাটার গল্পটা অন্যরকম। সিনেমাটার গল্প এবং নিজের চরিত্র  নিয়ে জয়া বলেন, এটা সম্পর্কের গল্প। অনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার এগুলো নিয়ে এগোবে সিনেমাটা। আমাকে একজন মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।

কলকাতায় ডিয়ার মা শুটিং শুরু হবে আগামী মাসে। আর এখনো কলকাতার  প্রেক্ষাগৃহ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে জয়া অভিনীত ভূতপরী। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রদর্শনের ৭৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া। কেক কেটে করলেন উদ্‌যাপনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ভিডিও। 


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মূল বিষয় থাকবে- প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরি সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। আর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



শ্রীলঙ্কায় রেসিং কারের ধাক্কায় নিহত ৭

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কায় কার রেসিং ইভেন্টে রেসিং কারের চাপায় দর্শকসারিতে থাকা ৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছে। ইভেন্ট চলাকালীন একটি রেসিং কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে দর্শকদের মধ্যে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। দেশটির ফক্স হিল অঞ্চলের সামরিক এলাকা দিয়াতলাওয়ায় রবিবার (২১ এপ্রিল) কার রেস ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।

নিহতদের মধ্যে চারজন রেসার ছিলেন। তবে ঘটনার দিন তারা দর্শক হিসেবে ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে চার বছরের শিশু এজিনও ছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ট্র্যাকে দুর্ঘটনার বিষয়ে পরিপূর্ণ পুলিশ তদন্ত চলছে।

পুলিশের মুখপাত্র নিহাল তালডুয়া বলেন, গাড়িটি চলমান লেন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আরেকটি গাড়ি ট্র্যাকে উল্টে যাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।

কর্মকর্তারা হলুদ বাতি জ্বালিয়ে দর্শক সারির কাছাকাছি চলে আসা গাড়ির গতি কমানোর চেষ্টা করেন। তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাড়িগুলো দ্রুত গতিতে চলতে থাকলে একটি লাল গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাকের পাশে দর্শক সারিতে ঢুকে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর অনেকে চিৎকার করছেন এবং ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। বাকি দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীলঙ্কা অটোমোবাইল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত ইভেন্টটি ১৯৯৩ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এবং কভিডকালীন বিধিনিষেধের কারণে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম রেস।

ইভেন্ট শুরুর আগে আয়োজকরা দর্শকদের জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ১ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর