ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ দশ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল
দশটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে দৌলদিয়া-পাটুরিয়া
রুটে ঘন কুয়াশায় কারণে রোববার দিনগত রাত বারোটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসময় উভয়
পারের মধ্যে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে ছিল। এদিকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে
মাঝনদীতে আটকা পড়েছে ছোট বড় মিলিয়ে চারটি ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)
দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ্ রনি আরটিভি নিউজকে বিয়ষটি নিশ্চিত
করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির ওই কর্মকর্তা জানান, রোববার দিনগত রাত ১২টা
থেকে ঘন কুয়াশার তীব্রতা এতটাই প্রকোপ ছিল যে, কাছের নিকটতম বস্তুটিও দেখা সম্ভব ছিল
না। যে কারণে এই রুটের সকল প্রকার ফেরি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ রাখা
হয়।
এ রুটের শাহপরান ফেরির মাস্টার শাহাদত উল্লাহ জানান, কুয়াশার
মাত্রা এতোটাই বেশি ছিল যে কাছের দৃষ্টি সীমানার বস্তুটিও দেখা সম্ভব ছিল না। যে কারণে
দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কুয়াশার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসার
পর ফেরি পুনরায় চালু করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া
ফেরিঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় কয়েকশ যাত্রীবাহী বাস ও ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষমান
রয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় কারণে রোববার দিনগত রাত বারোটা থেকে ফেরি
চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় উভয় পারের মধ্যে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।
এদিকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছিল ছোট বড় মিলে চারটি ফেরি। এ সময়
লঞ্চ চলাচলও বন্ধ ছিল।
এদিকে দীর্ঘসময় ব্যস্ততম এ নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ
থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তেই
তিন শতাধিক যানবাহন আটকা পরেছে। ঘন কুয়াশা ও নদীর পারের হিম শীতল বাতাসে আটকে পরা যাত্রীরা
সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন।