আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী দুই হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) করা হবে। একই সঙ্গে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এই তথ্য জানান।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পর বাজারে চালের
দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা ১ সেপ্টেম্বর
থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা চার কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি। ওএমএস
ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায়
চলে আসবে। সরকারি মজুত আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুত করি। যারা এ চাল নেবে তাদের
তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।’
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের দাম
বাড়ছে মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মাঠে নামতে বলেছি। পাঁচটি মনিটরিং কমিটি হয়েছে আগেই, সেগুলো সক্রিয়
হবে। জেলা প্রশাসকদের এখানে বসেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে বাজারটা পুরোপুরি
মনিটরিং করেন। কোথাও অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুত থাকলে আগে যেভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম
চালানো হয়েছে সেভাবে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরের কর্মাভাবকালীন
৫ মাস (মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) পরিবার প্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি
করে চাল দেওয়া হয়। অন্যদিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় যে কেউ ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা
কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন।