আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভালোবাসার জন্য একটা জীবন যথেষ্ট নয়: পরীমনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরীমনির প্রেম-ভালোবাসার অনুভূতি উপচে পড়ছে। এ অভিনেত্রীর ভাষ্য ভালোবাসার জন্য একটা জীবন যথেষ্ট নয়। স্বামী শরিফুল রাজকে হৃদয় নিংড়িয়ে সবটুকু ভালোবাসা দিতে এ জীবন ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু ভালোবাসা শেষ হবে না। ঠিক যেন বিখ্যাত ওই গানটির মতো  ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয় 

মূলত মা হলে চলার প্রতিটি মুহূর্ত দারুণভাবে অনুভব করছেন পরীমনি। প্রতিটা মুহূর্তই তার কাছে ঐশ্বরিক লাগছে। আর সেসব অনুভূতিতে পাশে পাচ্ছেন রাজকে। অভিনয়, ডাবিং, অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখে শুধু অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পরী।  যেখানে স্বামী রাজ হয়ে উঠেছেন নিরাপদ স্থল। তাই তো পরীর আক্ষেপ রাজের সঙ্গে কেন ছোটবেলায় দেখা হলো না তার!

এক ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সে আক্ষেপের কথাই জানালেন এ চিত্রনায়িকা। রাজের বিষয়ে বললেন, ছোটবেলায় দেখা হলে আরও বেশি করে পেতাম মানুষটাকে। ভালোবাসার জন্য এই এক জীবন কখনও কখনও যথেষ্ট মনে হয় না। মন আরও চায়। আমার আর রাজের প্রেম জমে গেছে। সারাক্ষণ রাজ যত্ন নিচ্ছে আমার। পছন্দের নানা ধরনের ডিশ নিয়মিতই রান্না করে খাওয়াচ্ছে। রাজ বাসায় থাকলে কিছুক্ষণ পর পরই আমার পেটে হাত দিয়ে বাবা,বাবা বলে ডাকে। আমার সন্তান হয়তো বুঝতে পারে। কারণ রাজ ডাকলেই পেটের মধ্যে নড়াচড়া টের পাই। অনাগত সন্তানের কথা মনে করে মাঝে মাঝেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। এ যেন এক ভীষণ সুখের সময় পার করছি আমরা দুজনে।


শুধু গণমাধ্যমকেই নয়; রাজকে ঘিরে পরীমনি তার ফেসবুকে সয়লাব। পরীমনির ফেসবুক পেজ কিংবা অ্যাকাউন্টে সব খানে নিজের অনাগত সন্তান আর রাজকে নিয়ে চর্চা। রাজকে উদ্দেশ্য করে তার ভালোবাসার বন্দনা থাকে প্রায় সব পোস্টেই। এ নিয়ে নায়িকা বলেন, রাজের প্রতি আমার আবেগ একদম খাঁটি। ব্যক্তিগত জীবনের সব আবেগের কথাই ফেসবুকে ফুটিয়ে তোলেন পরীমনি।  অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটাও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে গিয়ে আবেগী হয়ে পড়েন এ নায়িকা। মা হতে চলার খবর শুনে ওই মুহূর্তের অনুভূতির কথা জানিয়ে পরীমনি বলেন, তখন মনে হচ্ছিল আমার দুটো ডানা গজিয়েছে। আমি সত্যি সত্যি পরী হয়ে গেছি। আমি উড়ে যাচ্ছি সাদা মেঘের পালের সঙ্গে। পৃথিবীটাকে এক টুকরো স্বর্গ মনে হচ্ছিল তখন!

প্রসঙ্গত, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন পরীমনি। এগুলো হলো মাকাগজের বউ। এ ছাড়া তার হাতে রয়েছে প্রীতিলতা সিনেমার কাজ। সন্তান হওয়ার পর এই সিনেমাটি সম্পন্ন করবেন নায়িকা।


আরও খবর



কলাপাড়ায় বজ্রপাতে গরুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বজ্রপাতে একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চম্পাপুর ইউপির মাসুয়াখালী গ্রামে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, সকালে বাড়ির পাশে খোলা মাঠে গরুটি বেঁধে রেখেছিলেন। তখন আবহাওয়া ভালো ছিল। কিন্তু বেলা বাড়লে গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যে হঠাৎই বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে। পরে মাঠে গিয়ে গরুটি মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

গরুটির আনুমানিক দাম প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ছিল বলে জানান তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে আবদেন করতে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদান করা হবে।


আরও খবর



তালতলীতে এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলী সরকারি কলেজে এইচএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক করে অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষাথীরা জানিয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনী বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু তালতলী সরকারী কলেজে কতৃপক্ষ বিজ্ঞান শাখায় ৩ হাজার ১০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছর এই কলেজ থেকে ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।

এছাড়া অনিয়মিতি পরিক্ষার্থী আছে শতাধিক এর বেশি। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগে যাদের দুই বিষয়ে ব্যবহারিক আছে তাদের ২ হাজার ৪০০ টাকা ও এক বিষয়ের ব্যবহারিক ২ হাজার ২৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেওয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কোন কোনে ফান্ডে যায় তাও জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ।

প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডে ১০০,উন্নয়ন ফান্ডে ১০০, মসজিদ ফান্ডে ১০০ ও ফরমের জন্য ১০০। বাকি টাকা কই যায় তা বলতে পারেনি তারা। এ দিকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ দুই হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে মুখ চেনা প্রভাবশালীদের কাছ থেকে কিছু কম টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকারী কলেজে এমন ফান্ড থাকতে পারে না । এই সব ফান্ড কলেজ শিক্ষকদের বানানো বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ফি এর চেয়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা বেশি নিচ্ছেন। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার ১২০  টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকরা ২ হাজার ৮০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তিন হাজার টাকার নিচে ফরম ফিলাপ করা যাচ্ছে না। কম দিতে চাইলে শিক্ষকরা মন খারাপ করেন।

তারা আরও বলেন, ফরম ফিলাপে জন্য শিক্ষকরা মাথা কাটা ফি আদায় করছে। ঋণ করে ছেলে-মেয়েদের ফরম ফিলাপ করিয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফরম ফিলাপ কমিটির আহবায়ক ও সহযোগি অধ্যাপক আ. রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। পরে আমরা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ দিয়ে দিবো।

তালতলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার বলেন, ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে যেটা বেশি নেওয়া হচ্ছে তা বিবিধ খরচ আছে। অন্য কলেজে তো ৫ হাজার টাকা নেয় তা তো আমরা করিনা।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরনের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন।

সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।

বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রীত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।

বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানী করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।


আরও খবর



দুই যুগ পর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

চেষ্টা আর ইচ্ছে শক্তি থাকলে বয়স কোন ব্যাপার না সেটার প্রমাণ করে দিলেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার আঃ শহীদ মজুমদার। ৩৮ বছর বয়সে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

আব্দুস শহীদ মজুমদার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের পুত্র। এছাড়া তিনি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।

আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিত থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, দুই যুগ পর এস এস সি পরীক্ষা পাস করি। জিপিএ ৪.৫৪ পেয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

আব্দুস শহীদ মজুমদারের সাথে প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ১৯৯৪ সালে ৮ম শ্রেণি পাশ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেই এরপর থেকেই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছাশক্তি কাজ করছিল যে এসএসসি পাস করতে হবে। সেই ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুই বছর আগে নেত্রকোনা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর