আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

উগান্ডায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত বেড়ে ৪০

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ উগান্ডার পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলে নৃশংস হামলা হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।

শুক্রবারের ওই হামলার সঙ্গে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো) ভিত্তিক উগান্ডার সশস্ত্র সংগঠন অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) এই হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশে তীব্র গরমে ৩৪ জনের মৃত্যু

উগান্ডা পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাঙ্গা জানান, বেশিরভাই মরদেহ পার্শ্ববর্তী বেওয়ারা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই হামলায় স্কুলটির ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং খাবার রাখার কক্ষটি লুট করা হয়েছে।

হামলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে উগান্ডা সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ডিক ওলাম জানান, হামলাকারীরা স্কুলটির ছাত্রদের পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে আর ছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। কয়েকটি মরদেহ এতোটাই পুড়ে গেছে যে সেগুলো শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। হামলায় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা শিক্ষার্থীদের তোষকগুলো পুড়িয়ে দেয় ও ওই এলাকায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

আরও পড়ুন: জার্মানিতে তিন হাজার বছর আগের তরবারির সন্ধান

এ ঘটনার পর উগান্ডার সৈন্যরা কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের দিকে সরে পড়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অনুসরণ করতে থাকে। উগান্ডা ও রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী এই বিশাল অভয়ারণ্যে এডিএফসহ অন্যান্য বিদ্রোহী সংগঠন পালিয়ে বেড়ায়।

গত সপ্তাহে এডিএফের সশস্ত্র যোদ্ধাদের হামলায় উগান্ডার সীমান্তবর্তী ডি আর কঙ্গোর একটি গ্রাম থেকে শতাধিক লোক পালিয়ে যায় আর ঠিক তার পরপরই উগান্ডার ওই স্কুলটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটল। হামলার লক্ষ্যস্থলের এলাকাটি ডি আর কঙ্গোর সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এর আগে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে ডি আর কঙ্গোর সীমান্তবর্তী কিচওয়াম্বা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাসে এডিএফের হামলায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল এবং একশর বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে আবারও ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিল চীন

১৯৯০ সালে উগান্ডার পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র সংগঠন এডিএফের উৎপত্তি হয় দেশটির দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। মুসেভেনিকে সংগঠনটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্যদের উচ্ছেদের জন্য দায়ী করে আসছে। ২০০১ সালে উগান্ডার সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর এডিএফ ডিআর কঙ্গোতে ঘাঁটি গড়ে তোলে। গত দুই দশক জুড়ে সেখান থেকেই সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছে এই সশস্ত্র সংগঠনটি।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের উত্তাপে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই; বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অস্থির এ বাজার পরিস্থিতি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই!

শুক্রবার (১০ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার এবং কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগরসহ বেশ কটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণ ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে পণ্যের। আর ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। রোজায় সেটি আর চড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে।

সাব্বির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এ বছর রোজায় কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম বেড়েছিল। এখন গরমের অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে গেছে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে পণ্যের।’

বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম চড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। মূলত তীব্র গরমে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।’

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। গরমের উত্তাপ ছড়িয়েছে এখানেও। বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দামই চড়া। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মাছ বিক্রেতা আসলাম জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। আর গরমের কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে। এতে কমছে না মাছের দাম।’

বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে ইলিশের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০০ টাকা।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৮০-২০০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাংসও। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

আর প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর
ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় আসা একটি পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিএনসি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় একটি পার্সেল আসে। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সেগুনবাগিচা ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর



পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রথম ইউরোপ সফর শুরু করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এই সফরের প্রধান এজেন্ডা থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পাশাপাশি বেইজিং ও ব্রাসেলসের মধ্যে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন রোধ করা।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রথম যাত্রাবিরতি হবে ফ্রান্সে । ৬ মে প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর, তিনি সার্বিয়া এবং হাঙ্গেরি সফর করবেন। দুটি দেশ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের সহকারী পরিচালক ম্যাট গেরাসিম বলেছেন, তিনটি লক্ষ্য নিয়ে  শি জিনপিং ইউরোপ সফর করছেন। সেগুলো হলো- ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে চীনের সমর্থনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করা,  চীনের বিরুদ্ধে ইইউর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এজেন্ডাকে ভোঁতা করে দেওয়া এবং তার শক্তিশালী অংশীদারদের সাথে বেইজিংয়ের দৃঢ় সম্পর্কের প্রদর্শন করা।


আরও খবর



৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর



জাকের পার্টি ছেড়ে বিএনপির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া অংশ নেন। তিনি এক সময় জাকের পার্টির নেতা ছিলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান তাকে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদ দেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এ কারণেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বহিষ্কারের চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ বা চিঠি পাইনি। তবে আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে যাবো।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাইকমান্ড থেকে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার কড়া নির্দেশ রয়েছে। তাই এ নিয়ম যে মানবে না তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

শুক্রবার ১০ মে ২০২৪