আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বায়ুদূষণে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাজধানী ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকাতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলার পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হলেও বায়ুমানে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বৃস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা দূষণের দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকাতে ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। এছাড়াও ১৩৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং যার স্কোর ১২৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এ তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর



তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি: তথ্য সচিব হুমায়ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ন কবির খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ হলো কর্মক্ষম জনসংখ্যা। আবার এদের মধ্যে অধিকাংশ হলো যুবক। তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক রয়েছে যেগুলো যুবকরা খুব সহজে বুঝতে পারে কিন্তু আমাদের পক্ষে অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি।

শনিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভা কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক আবুল মোমেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, লেখক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বক্তৃতা করেন। এছাড়া এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও বিটিভির কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট নাগরিক এ চারটি স্তম্ভের উপর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্ভর করছে। সরকার ডি-নথি, ই-লার্নিং, স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সার, ক্যাশলেস সোসাইটি ও পেপারলেস অফিস করার মধ্যদিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের পথে এগিয়ে চলছে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা আজকের সমাজের এম্বেসেডর হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে রয়েছে গণমাধ্যম এবং তথ্য প্রবাহের দীর্ঘদিনের চর্চা। জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি গণমাধ্যম জাতিকে পথরেখা প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।

সচিব বলেন, গণমাধ্যমের প্রথম ভূমিকা হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি, দর্শন, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলো জনগণের মধ্যে নানামুখী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশের মাধ্যমে পৌঁছানো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে জনগণকে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় এতে নানামুখী প্রতিবেদন প্রকাশ করা, সময় সময় অগ্রগতিগুলো তুলে ধরা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাচ্ছে না: ডিবিপ্রধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে মামলার অগ্রগতি কী জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, (কলকাতার) সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। আজও সার্চ করছেন। এবং তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি, আমরাও তাদের সঙ্গে আসছি। আমরা কিছু অনুরোধ করেছি। সঞ্জীবা গার্ডেনসের পাশে একটি হাতিশালা লেক রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, এটা যেন সার্চ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা আরেকটি অনুরোধ করেছি। যে বাসায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ঢুকেছিলেন। সেটি যেন সার্চ করা হয়। যেখানে যে তিনটি কমোড রয়েছে, সেগুলো ফ্ল্যাশ করলে ময়লা যেখানে জমা হয় এবং যে স্যুয়ারেজ লাইন, সেটি ভাঙতে বলেছি। আশা করি, ওনারা এই কাজগুলো আজই করবেন। এছাড়া, হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে খালটা, সেটিও সার্চ করতে অনুরোধ করেছি আমরা।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে মরদেহের অংশগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। এখন আপনারা যেটা বলছেন, মরদেহ না পাওয়া গেলে কি মামরা নিষ্পত্তি হবে না? না। দেখেন, ভারত মহাসাগরে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে। তারা তিন বছর যাবৎ ৪৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা সার্চ করেছে। তারপরও কিন্তু পায়নি। এটার অর্থ হলো, যদি (মরদেহ) পাওয়া না যায়, তাহলে কি অ্যাকনলেজ (স্বীকৃতি) হবে না? এটার কোনো সমাধান হবে না? আমি জানি, সিআইডি প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করে কাজ করছে। এবং আমাদের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের যে মূল ঘাতক রয়েছে, সেও কিন্তু অনেক তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি, যে মেয়েটা ছিল, সেও আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছে। এই তথ্যগুলো নিয়েই আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি। কলকাতায় এসে ওই আসামির সাথে আমরা কথা বলেছি। তথ্য মিলিয়ে দেখেছি। তারপরে ওই আসামিকে আমরা ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছি। সেখানে গিয়েও আমরা যে তথ্যগুলো নিয়ে এসেছিলাম, তার হুবহু মিল পেয়েছি।

ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের বিভিন্ন বিষয়গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা আমলে নেবেন। তারপর আদালতে প্রেরণ করলে মাননীয় আদালত সেটি আমলে নেবেন। সব কিছু মিলিয়ে এই লোমহর্ষক হত্যকাণ্ডের বিচার খুব কষ্টকর হবে বলে আমি মনে করি না।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



শেরপুরে আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ মে উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের দিনমজুর কন্যা ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর একটি আপত্তিকর ছবি বানিয়ে একই গ্রামের ৫ যুবক কলেজ ছাত্রীর পরিবারের কাছে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ওই যুবকরা হলো- একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে ইসরাফিল, খোকামিয়ার ছেলে উসমান, শহিদুল্লাহর ছেলে আলমগীর, ফারুক মিয়ার ছেলে নাইম ও বৈরাগীপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মোশারফ।

কলেজ ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত যুবকরা বেশ কিছুদিন থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর পিছু নেয়। পরে তারা কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি বানিয়ে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দিবে বলে কলেজছাত্রীর পিতাকে হুমকি দেয়া হয়। ২০ মে এ ব্যাপারে কলেজছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় উল্লেখিত যুবকদের আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

রবিবার (২৬ মে) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানান কলেজছাত্রীর পরিবার।

কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে অভিযুক্তরা অভিযোগ তোলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন। এর ফলে কলেজ ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।


আরও খবর