আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ট্রাম্প সমর্থকরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: বাইডেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (মাগা) মতাদর্শের সমর্থকরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) পেনসিলভানিয়ায় একটি প্রাইমটাইম বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

বাইডেন বলেন, মাগা সমর্থকরা দেশটাকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিক। মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন মতাদর্শে বিশ্বাসী রিপাবলিকানরা একটি চরমপন্থার প্রতিনিধিত্ব করে যা আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

গত বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার কথা স্পষ্ট উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমেরিকাতে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। কোনো সময়েই ছিল না। কখনোই হবে না। মাগা বাহিনী এই দেশটিকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। তবে এই হুমকি মোকাবিলা করার ক্ষমতা আমাদের হাতেই রয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে, আমরা নিজেদেরকে আশ্বস্ত করেছি যে আমেরিকান গণতন্ত্র স্থায়ী ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এখন আর তা নয়। আমাদের এটিকে রক্ষা করতে হবে। এটিকে রক্ষা করুন। এর জন্য ঐক্যবদ্ধ হন।

দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হতে হবে।

ভাষণে আমেরিকার জনগণের অধিকার এবং নির্বাচনের স্বাধীনতা কিভাবে এখনও আক্রমণের শিকার সে প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন বাইডেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমেরিকার জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে চায়।

এদিকে বাইডেনের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি বলেন, বাইডেন আমেরিকার আত্মাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছেন।


আরও খবর



মৃত্যুর হুমকি ছিল, কিন্তু সাহস রেখেছি: ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ার জলদস্যু কবলমুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মির পর নাবিকদের কেউ কেউ কান্নাকাটি করছিলেন। সবার মনে ভয় ছিল। একইসঙ্গে ছিল মৃত্যুর হুমকি। তবে সবাই সাহস রেখেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে নাবিকরা এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের লাইটার জাহাজ জাহান মণি-৩ তে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর এ মন্তব্য করেন তিনি।

ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ আরও বলেন, আমিও জীবনে প্রথম এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। মনে ভয় ছিল, কিন্তু সাহস রেখেছি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ স্বাভাবিক রেখেছি। আমাদের কোনো ক্রুর কোনো ক্ষতি না হয়সেদিকে নজর রেখেছি। সেফটি অফ লাইফটাকে প্রাধান্য দিয়েছি।     

দেশে ফেরার অনুভূতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবাই সুস্থ ও অক্ষতভাবে ফিরতে পেরেছি, পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি। এ এমন এক অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। 

এমভি আব্দুল্লাহের ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের স্বাগত জানাতে বন্দরে ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র, কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাবিকদের স্বজনরা। এসময় বন্দরে তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করে এমভি আব্দুল্লাহ। পরে জাহাজের ২৩ নাবিককে নিয়ে লাইটার জাহাজটি আজ সকাল ১১টার দিকে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।  


আরও খবর



বাউফলে রেমালের তাণ্ডবে ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মৎস্য, কৃষি, সড়ক, বিদ্যুৎ, বনজ ও গ্রামীণ অবকাঠামোগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসরকারী হিসেব অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২শ কোটি টাকা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, রেমালের প্রভাবে উপজেলা ৪ হাজার পুকুর, ৫০টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। ৭০ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামোসহ মোট ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস জানান, ২ হেক্টর আউশ বীজতলা ২.৫ হেক্টর তিল, কাচা মরিচ ৩ হেক্টর, শাকসবজি ৮০ হেক্টর,পান ২ হেক্টর, পেঁপে ২ হেক্টর, কলা ৩ হেক্টর ও ৩ হেক্টর জমির আমসহ মোট ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামান খান জানান, একটি ম্যানগ্রাপ, নার্সারিসহ ৬ লাখ ১৩ হাজার ৩শ চারা, রাস্তায় বাগানের ৮১ হাজার চারা ও ৪১ হাজার নার্সারি চারাসহ মোট ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮শ ৬৪ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮-১০ হাজার ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডিজিএম মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায় তাদের ১৫টি খুটি ভেঙ্গে গেছে এবং ২শ পয়েন্টে তার ছিড়ে গেছে। এ ছাড়াও ২শর বেশি ইনসোলেটর বিনষ্ট হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস জানান, উপজেলায় ১৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধাপাকা ও টিনসেট ভবন সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে। আংশিক বিধস্ত হয়েছে ১ হাজার ১শ ৩৪টি ভবন। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় ধুলিয়া, চন্দ্রদ্বিপ ও নাজিরপুর ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার কাঁচা সড়কসহ মোট ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়ার মধ্যবর্তী তার ইউনিয়নের ১৪ কিলোমিটার বেড়ি বাধের খানকা বাজার থেকে দক্ষিণে ছালাম হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার, দিয়ারা কচুয়া খেয়া ঘাট থেকে উত্তরে স্লুইজ গেট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার চর নিমদি খেয়াঘাট থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার বেড়ি বাধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও চরব্যারেট ফারুক খানের বাড়ি থেকে পশ্চিমে সেকান্দার দর্জির বাড়ি পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে।

বাউফল প্রকৌশলী মানিক হোসেন জানান, উপজেলায় মোট পাকা ও কাঁচা মিলিয়ে ১শ ৬৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়কগুলো পুনঃনির্মাণ ও মেরামত করতে মোট ১শ ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমেলে তেঁতুালিয়া নদীর তীরবর্তী কালাইয়া টু মমিনপুর জিসিআর সড়ক কাম বেড়ি বাধটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সড়কের ৮টি পয়েন্টে ভেঙ্গে গেছে।

এ ছাড়াও রেমালের প্রভাবে চন্দ্রদ্বিপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া, আদাবাড়িয়া, দাশপাড়া, বাউফল পৌর এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে। অধিকাংশ পানিবন্দি মানুষের কাছে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছায়নি। বেড়িবাধের বাইরে এলাকাগুলোর পানি নেমে গেলে ভিতরের এলাকগুলোর পানি বেড় হতে না পারায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে শুকনো খাবার, ১০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজসহ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সরকারের কাছে আরও চাহিদা দেয়া হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান বলেন, ঝড়ের দিন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়কৃত মানুষের মাঝে স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজের নির্দেশে সুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি বলেন, বাউফল উপজেলা সাগর উপকূলীয় হওয়ায় এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলায় এলাকায় যে ধরণের সাহায্যে প্রদান করবেন আশা করি আমার উপজেলায়ও একই ধরণের সাহায্য প্রদান করবেন। যাদের ঘর বিধস্ত হয়েছে তাদের মাঝে টিন বিতরণের জন্য তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে প্রায় ৯শ ব্যান্ডেল ঢেউটিন মওজুদ রয়েছে। সেখান থেকে অধিক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



পাকিস্তানে টায়ার ফেটে খাদে যাত্রীবাহী বাস, নিহত ২৮

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২২ জন। বুধবার (২৯ মে) সকালে বাসটি গোয়াদর থেকে কোয়েটার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বেলুচিস্তান প্রদেশের ওয়াশুকে বাসটি উল্টে খাদে পড়লে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। উদ্ধারকারী ও লেভিস কর্মকর্তাদের মতে, দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ২২ জনকে বাসিমার সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের টায়ার ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন। একইসঙ্গে আহতদের সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতিও ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

এর আগে চলতি মে মাসে একই ধরনের দুর্ঘটনায় পাঞ্জাবের খুশব জেলায় একটি ট্রাক খাদে পড়ে যাওয়ায় একই পরিবারের ১৩ জন নিহত এবং আরও নয়জন আহত হয়েছিলেন। খুশাবের পাঞ্জ পীর মানওয়ান রোডে ব্রেক ফেল করার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



চারটি ট্রলিতে এমপি আনারের লাশ, কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। এ ঘটনায় একজন নারীও ছিলেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নারীসহ এরইমধ্যে ভারত ত্যাগ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। তারা আনারকে হত্যা করে কেটে টুকরো টুকরো করে চারটি ট্রলি ব্যাগে করে লাশ বের করেন। এখন পর্যন্ত লাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। লাশের সন্ধানে মাঠে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ।

এদিকে আজ সকালে নিজ বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাবে না। তবে এটা বলছি যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে জানতে পেরেছি ভারতের কেউ জড়িত নন, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ জড়িত।

এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডে তার এলাকার জনগণ স্তম্ভিত, শোকে মুহ্যমান। এটা একটা নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কাজটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই করছি। কারণ তিনি একজন জনপ্রিয় পার্লামেন্ট মেম্বার। তিনবারের এমপি। এলাকার মানুষ ও জনগণ উনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আসলে এ রকম একটি ঘটনায় আমরাও শোকে মুহ্যমান।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া ভারতের পুলিশও আমাদের সাথে কাজ করছে। আমাদের কাছে কয়েকজন আছে তাদের সাথে কথা বলছি এবং তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য আমরা এখন কাউকে বলবো না।

চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে গত ১২ মে ভারত যান আনার। কলকাতার ব্যারাকপুর সংলগ্ন মণ্ডলপাড়ায় পূর্বপরিচিত স্বর্ণ কারবারি গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফের সঙ্গে তার কথা হয়। ১৬ মে সকাল ৭টা ৪৬ মিনিটে সংসদ-সদস্য আনারের ফোন থেকে পিএসের নম্বরে সর্বশেষ কল আসে। কলটি ধরতে পারেননি পিএস। এক মিনিট পর পিএস তাকে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ হয়নি। এরপর থেকে সংসদ-সদস্যের সঙ্গে আর যোগাযগাযোগ নেই।


আরও খবর