আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

থাইল্যান্ডের মন্দির থেকে বানর উধাও হওয়ার রহস্য কী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফল-মূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এ বানরদের

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকশ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।

তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন বানরগুলোকে ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বলেন তিনি।

কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজী ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।

করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজী ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, লম্বা লেজী ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।

এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থান সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজী বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।

পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড পরবর্তী সময় অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছুর জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নয়টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে, বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয় যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নি: শ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে। সাধারণত এ ধরনের এক একটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।

সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পাড় করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজী ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।

গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।

এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।

বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধুমাত্র নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এ বানরেরা একই সঙ্গে শিকারি, শিকার এবং বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে।

এভাবে এই প্রাণীটির পাচারকে এক ধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিনজন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বলেন প্রাচা। আলাদা-আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানরকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। জেরায় এ ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলোকে খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল। তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



বাকৃবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

এরপর বাকৃবির প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ড. আফরিনা মুস্তারি জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতির। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর



পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন মাসুদ আলম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম বিপিএম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন মাসুদ আলম।

রাজশাহীর সারদায় প্রশিক্ষণ শেষে ২০১২ সালের শুরুতে দিনাজপুর জেলা পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই তিনি পাবনা জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন।

পাবনায় যোগদানের পর থেকেই তিনি সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। কাজ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার নাম হয়ে উঠেন মাসুদ আলম।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কোচকুড়ি গ্রামের আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক ও মৃত মেহেরুন নেছা দম্পতির সন্তান মাসুদ আলম। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে চতুর্থ তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই ছেলে সন্তানের জনক।


আরও খবর



রাজনীতি ছাড়ার কারণ জানালেন মিমি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গতবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু প্রার্থী নয়, জয়ীও হয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি এ বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না। তার জায়গায় এবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মিমি। এখন তার ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুই অভিনয়। ক্যারিয়ারে আবারও ভালো করে মন দিতে চান। আর তার মাঝেই রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে এটা কী বলে বসলেন তিনি!

একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, 'পিস অব মাইন্ড ফিরে পেয়েছি।' কিন্তু কেন এমনটা মনে করেন মিমি সেটা খোলাসা করলেন না।

টালিউডের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা গ্রুপ আছে, যারা ঠিক করে কারা ভালো আর কারা খারাপ। বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে খুল্লামখুল্লা কথা হয়। করণ জোহর যদি ঠিক করেন তিনি কোনো স্টার কিডকে লঞ্চ করবেন তা হলে করেই ছাড়বেন। কিন্তু এখানে মিষ্টির ছুরি সব। কিছুই খোলাখুলি হয় না। সবাই পেছনে নিন্দা করে। একে ওকে বলে যে কাকে ছবিতে নেবে আর কাকে নয়।

মিমিকে আগামীতে আলাপ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীকে। থাকবেন স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দা, দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, তন্বী লাহা রায়। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আসছে আলাপ।

নিউজ ট্যাগ: মিমি চক্রবর্তী

আরও খবর