আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ, থামছে না শিকার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ। বন্য এ প্রাণীটি চোরা শিকারি ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ফাঁদসহ নানা কৌশলে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সুন্দরবনে হরিণ শিকার। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। হরিণ শিকারের পাশাপাশি এসব শিকারির কাছ থেকে অন্যান্য বন্য প্রাণীও রেহাই পাচ্ছে না। ডজন-ডজন হরিণ শিকার হলেও তা নিয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিকারিদের ধরতে সুন্দরবনে বন বিভাগের নিয়মিত টহল থাকলেও অদৃশ্য কারণে হরিণ শিকার কমছে না। বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে, আবার কখনও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে শিকারিদের সুযোগ করে দিচ্ছেন কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা শিকারি চক্রের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় দিনে দিনে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বাড়ছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের তেরকাটি খাল এলাকা থেকে এসব হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।   বন বিভাগের টহল টের পেয়ে হরিণ শিকারিরা বনের ভেতরে গা ঢাকা দেন। তাই এ সময় শিকারিদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে নৌকা ও বন বিভাগের দেওয়া একটি পাস উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ডিঙি নৌকা, হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ইসহাকের ছিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব হরণির মাংস জব্দ করা হয়।   এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ চারজনকে আটক করে বন বিভাগ। বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের টহল দলের সদস্যরা সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধুর চর থেকে এসব হরিণের মাংস বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করেন।

আটকরা হলেন- সজীব মিয়া (৩৫), নওশের আলী (৩২), ইদ্রিস আলী (৪০) ও নূর আলী (৩৮)। তারা সবাই খুলনার বাসিন্দা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাগেরহাটের শরণখোলায় বসত বাড়ি থেকে হরিণের দুটি চামড়া জব্দ করে বন বিভাগ। শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের তানজির বয়াতির বাড়ি থেকে চামড়া দুটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ দুই শিকারিকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের  শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ১৬ কেজি হরিণের মাংস, আটকদের ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ১৫০টি ফাঁদ ও ২৫০ ফুট নাইলন সুতা জব্দ করেন বনরক্ষীরা।

আটক দুই হরিণ শিকারি হলেন- পিরোজপুরের পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নিজাম (৪৫) ও করমজাতলার রতন আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০)।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ চার জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর শুঁটকি পল্লী সংলগ্ন নাড়িকেলবাড়িয়ার চর থেকে সাড়ে চার কেজি হরিণের মাংস জব্দসহ তাদের আটক করা হয়।

আটক চার জেলেরা হলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রতাপকাঠি গ্রামের আহসান আলী খানের ছেলে সাফায়েত খান, হরিঢালি গ্রামের জরিব গাজীর ছেলে হোসেন আলী গাজী, কড়ইখালী গ্রামের আ. গফুর গাজীর ছেলে রনোকুল গাজী এবং নোয়াকাঠি গ্রামের সোহরাব গোলদারের ছেলে খলিলুর রহমান। আটক জেলেরা দুবলার চরে শুঁটকি আহরণে নিয়োজিত ছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালেও সুন্দরবনের হরিণ শিকারিরা ছিল ব্যাপক তৎপর। প্রায় বছরজুড়েই হরিণ নিধনের খবর ছিল।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী  বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকে এ কারণে সহজে বনের মধ্যে ঢুকে যায় শিকারিরা। এ সময়ে হরিণ শিকারও একটু বেড়ে যায়। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে যদি কেউ হরিণ শিকারি ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। আর বনের বাইরে ধরিয়ে দিতে পারলে রয়েছে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার। যা গেজেটে উল্লেখ রয়েছে।

জানা যায়, সুন্দরবনের ৩০০ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর্কষণীয় প্রাণী হচ্ছে চিত্রা হরিণ। সুন্দরবনের আর্কষণীয় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ ও চিত্রা হরিণ অন্যতম। বাঘের সংখ্যা কম হলেও হরিণের সংখ্যা প্রচুর; দেড় লাখের ওপরে। ফলে সুন্দরবনে যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। তাই বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন পর্যটকরা।

যেভাবে চলে হরিণ শিকার: চলমান শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মিলছে। খাল বা নদীর ধারে দল বেধে হরিণের চলাফেরার দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ে। যেসব এলাকায় হরিণের বিচরণ বেশি সেসব স্থানে নাইলনের জাল পেতে, বিষ মাখিয়ে, স্প্রিং বসানো ফাঁদ পেতে, কলার সঙ্গে বড়শি ঝুলিয়ে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে ও তীর অথবা গুলি ছুড়ে হরিণ শিকার করা হয়।

মাছ ধরার পারমিট নিয়ে হরিণ শিকারিরা রাতের আঁধারে গোপনে বনে ঢোকে। নাইলনের দড়ির এক ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করেন তারা। হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে এগুলো পাতা হয়। যাতায়াতের সময় হরিণগুলো আটকে যায়। এক রাতে ফাঁদ পেতে আসা হয়। পরের রাতে গিয়ে আবার ফাঁদ দেখা হয়। অনেক সময় এসব ফাঁদে আটকে হরিণ মারাও যায়। আবার অনেক সময় ফাঁদে পা আটকে জালে জড়িয়ে থাকে।

এসব ফাঁদ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, বঙ্গবন্ধুর চর, কটকা, তালপট্টি, কচিখালি, দুবলা চান্দেরশ্বর, বগি, চরখালি এলাকায়। বিভিন্ন উপলক্ষে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় এসব এলাকায়। শিকারিরা বনের ভেতর থেকে হরিণ শিকার করে এনে লোকালয়ে থাকা সহযোগীদের হাতে পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় হাতবদল হয়ে হরিণ পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

হরিণের মাংস চড়া দামে বিক্রি হয়। ক্রেতারাও অনেক সময় প্রতারণা ভেবে হরিণের মাংস কিনতে চান না। তাই তাদের প্রমাণ দেখাতে চোরা শিকারিরা জীবন্ত হরিণ লোকালয়ে এনে জবাই করে থাকেন।

প্রতি কেজি হরিণের মাংসের দাম পড়ে এক হাজার ৫০০ টাকা। আর আস্ত একটি জীবিত হরিণের দাম চাওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা।

হরিণের চামড়া-শিং সৌখিন ব্যক্তিরা সংগ্রহ করে ড্রইংরুম সাজায়। এছাড়া বনাঞ্চল এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা হরিণের মাংস খেয়ে উৎসবও পালন করেন। কোনো বড় ধরনের স্বার্থসিদ্ধির জন্যও কর্তাব্যক্তিদের খুশি করতে গোপনে হরিণের মাংস সরবরাহ করেন; এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।

শিকারি দমনে র‌্যাবের অভিযান দাবি: সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ  বলেন, বন্য প্রাণী হলো সুন্দরবনের আকর্ষণ। বাঘ বাঁচাতে হলে হরিণকে বাঁচাতে হবে। বনে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। তাই হরিণ না থাকলে বাঘও থাকবে না। সুন্দরবনের ইকো সিস্টেমের ভারসাম্য রাখতে সব প্রাণীরই প্রয়োজন। এ থেকে কোনো একটি না থাকলে সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের বন্য প্রাণী রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। ২০০ বছর আগের ব্রিটিশদের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি দিয়ে এখনও চলছে বন। তখন তো জলবায়ু পরিবর্তন ছিল না, বনে এত পর্যটক ঢুকতো না। তাই বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে আধুনিক বন রক্ষার ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ বাঘ ও হরিণ। বাঘের সংখ্যা তেমন না থাকলেও হরিণের সংখ্যা রয়েছে বেশি। তাই সুন্দরবনের যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তারা আনন্দ পান। সেই হরিণ যদি শিকারিদের কারণে কমে যায় তাহলে বনের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। র‌্যাব যদি সারা দেশের জঙ্গি দমন করতে পারে তাহলে সুন্দরবনের শিকারি দমন করতে পারবে না এটা তো হতে পারে না।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী যা বললেন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার  বলেন, হরিণ শিকার হচ্ছে বিষয়টি না জানার কিছু নয়। প্রতি পয়েন্টে পয়েন্টে তো লোক দিতে পারি না। সীমিত লোকবল ও জলযান নিয়ে সুন্দরবনের হরিণ রক্ষায় চেষ্টা করা হচ্ছে। এতটুকু জানি আমি প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তবে পারিপার্শ্বিকতার কারণে সফল হতে পারিনি। 


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর



জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ নান্দনিক উদ্যানে পরিণত হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাইয়ের আগে রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের এ মেয়র বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব স্থানে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভিতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।’

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রা‌ক-কাভার্ডভ্যানের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষ, নিহত ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কালিহাতি (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতীতে ট্রা‌ক ও কাভার্ডভ্যানের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষে একজন নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হ‌য়ে‌ছেন আরও দুইজন।আহত‌দের উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর ৫ টার দি‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের উপ‌জেলার সরা‌তৈল টাওয়ার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। তাৎক্ষনিক হতাহ‌ত‌দের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি।

এদি‌কে দুর্ঘটনার কার‌ণে মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল বন্ধ হ‌য়ে‌ যায়। এতে মহাসড়‌কের চার কি‌লো‌মিটার এলাকায় যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হয়। ফ‌লে উত্তরবঙ্গ থেকে ছে‌ড়ে আসা প‌রিবহন ও ঢাকা থেকে ছে‌ড়ে আসা পরিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ব‌্যবহার না ক‌রে এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চ‌লিক সড়ক ব‌্যবহার ক‌রে।

এছাড়া দুর্ঘটনার পরই ক্ষ‌তিগ্রস্ত দুইটি যানবাহন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু ক‌রে পু‌লিশ। গা‌ড়ি দুইটি সড়ক থেকে সরা‌নোর পর মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার উপ‌-প‌রিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, ঢাকাগামী ট্রা‌কের সা‌থে উত্তরবঙ্গগামী কাভার্ডভ‌্যা‌নের সা‌থে মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রা‌ক চালক মারা যান। এছাড়া কাভার্ডভ‌্যা‌নের চালকসহ আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হন। আহত‌দের দ্রুত উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। নিহত ট্রাক চাল‌কের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে মর‌দেহ নিহতের স্বজন‌দের কা‌ছে হস্তান্তর করা হ‌বে।


আরও খবর