পঞ্চগড়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ ইসমাঈল হোসাইনের খাস কামরায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দেন তিনি।
জবাবে নির্বাচনী সভায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি। ওই সময় জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আমিনুর ইসলামসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বক্তব্যে আমি বলেছিলাম- যারা ভোট দেবেন না, আমি তাদের নামের একটা তালিকার কথা বলেছি। এই তালিকা তো থাকবেই। এই বক্তব্যে উস্কানির অভিযোগে আমাকে নোটিশ করা হয়েছে। যে দুটি ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উস্কানিমুলক বক্তব্যের পর্যায়ে পড়ে না। প্রার্থী হিসেবে আমার দায়িত্ব ভোটারদের ভোট দিতে আহ্বান করা। তারপরও যেহেতু আমাকে নোটিশ করা হয়েছে, তাই আমি এসেছি ও ভবিষ্যতে আমি সতর্ক থাকার কথা বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর জেলার দেবীগঞ্জের পামুলী এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন ও যারা যাবেন না, তাদের দুটি তালিকা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা ভোট দেবেন না, তারা চেয়ারম্যান-মেম্বারের মাধ্যমে যে সুযোগ-সুবিধা পান তার নাম কাটা যেতে পারে। তার এই বক্তব্য আমলে নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ ইসমাঈল হোসাইন গতকাল মঙ্গলবার তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেন ও স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।