আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দায়ী করে ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মৌচাকে বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ফারজানা আক্তার মৌ (১৪) নামে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।

ফারজানা আক্তার মৌ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার হারাইরপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী আবু মুসা ও শাহনাজ আক্তার মনি দম্পতির মেয়ে।

সুইসাইড নোটে ওই শিক্ষার্থী লিখেছে, বাবা অনেক ইচ্ছা ছিল অনেক বড় হব, ভালো কিছু করব; কিন্তু হতে পারি নাই। মাফ করে দিও, (ইতি তোমার মা মৌ)।’

নোটে আরও লেখা হয়, আমি বাঁচতে চাইছি, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিল না, হেড মাস্টারের ভাইয়ের মেয়ে ফেল করছে, তাকে উঠানো (পরবর্তী ক্লাসে) হয়েছে, কিন্তু আমাদের হয়নি। আমার মৃত্যুর পর হলেও এর প্রতিশোধ নেয়া হোক।’

শাহজাহানপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে মৌচাকের মারুফ মার্কেটের পেছনে ২৩৭/২৩৮ নম্বর নকশী ভিলা নামে বাড়ির সামনে থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হচ্ছে। মেয়েটি ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ার আগে বলপেন দিয়ে ছাদের রেলিংয়ে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। সেখান থেকে বলপেনটি ও তার জুতা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, মৃত মৌয়ের মামা মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে জানান, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছিল মৌ। তবে ইংরেজি, গণিতসহ তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয় সে। আজকে তাদের দশম শ্রেণিতে ভর্তির শেষ দিন ছিল। এ জন্য মৌ তাকে (মামা) নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল অনুরোধ করতে, যাতে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি সুযোগ দেয়া হয়। তবে প্রধান শিক্ষক এটি মেনে নেননি। এরপর সেখান থেকে বাসায় এসে সবার অগোচরে ভবনের ছাদে চলে যায় মৌ। সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে। পরে ছাদে গিয়ে তার জুতা এবং ছাদের রেলিংয়ে হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

গতকাল বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছিল। সেটার চিকিৎসার জন্যই গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে।


আরও খবর



টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হবে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল-এর ইঞ্জেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রথম কসমেটিক ইনঞ্জেকশনের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।

প্রসঙ্গত, বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য প্লাটিলট রিচ প্লাজমা (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনও অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনও। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইঞ্জেকশনের সূঁচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত ৩ নারীর মধ্যে  মধ্যে দুজনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইঞ্জেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানো আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা।

তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরও একজন এইডসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম ফের চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সূঁচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।


আরও খবর



মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড এর ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, ToT এর প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ মশিউজ্জামান, ইউনিট প্রধান, বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের  এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডব্লিউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম  হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় একজন নারী ToT  প্রশিক্ষণার্থী বলেন, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ  নিতে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারবে। পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪