আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট নগরীর সবুজবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিয়াবাইলের জাহিদ (২৭) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার গোলঘাটের সাদিক (২৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সবুজবাগ আবাসিক এলাকার ১নং রোডের ৭/বি নং বাসায় ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আজ সকালে ওই ভবনে কাজ করতে গিয়ে এ দুই নির্মাণ শ্রমিক প্রাণ হারান।

ভবন নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান আব্দুস শুকুর জানান, ভবনের বেইসের কাজ চলছে। বেইসের ঢালাইয়ের জন্য গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে গর্তের মধ্যে পানি জমে যায়। আজ সকালে এ দুই শ্রমিক পানি নিষ্কাশনে মাঠ পাম্প ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। পানিতে পাম্প রেখে বিদ্যুতের সুইচ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অন্যান্য শ্রমিকরা তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, সবুজবাগের ওই ভবনে পাম্প ব্যবহার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছেন। বৈদ্যুতিক লাইনে সম্ভবত লিক ছিল, ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।


আরও খবর



সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধের কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি দেখা দিয়েছি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এখন ৫ হাজার জিবিপিএস। দুই সাবমেরিন ক্যাবলের বাইরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বন্যায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যটিতে এবারের ঝড় ও বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নদনদীর পানি এখনো বাড়ছে, বহু এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর