আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজুক প্রাণে বজ্রভেরী/অকূল প্রাণের সে উৎসবে স্লোগান ধারণ করে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নান্ত সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা আয়োজনে এই উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের রবীন্দ্রশিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটেছে।

১৬৩তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনেই ছিল জমকালো উদ্বোধন। অতীতের সব আয়োজন ছাপিয়ে এবারের ৩৫তম আসর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।  কারণ উৎসব জুড়ে রয়েছে দুজন কিংবদন্তি। এদের একজন হলেন, কলিম শরাফী, অন্যজন সাদি মহম্মদ। উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয় কলিম শরাফীর শততম জন্মদিন। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে অকাল প্রয়াত সাদি মহম্মদ স্মরণে।

নাচ-গান-আবৃত্তিতে মোড়ানো জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি হবে তিন দিনের অনুষ্ঠানে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবারের আয়োজনে দেড় শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনের উৎসবটি সাজানো হয়েছে চারটি অধিবেশনে। যেখানে অংশ নিচ্ছেন বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি সংস্থার নিয়মিত শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পর্যায়ের গান ও কবিতা। আছে দলীয় নৃত্য। আছে জনপ্রিয় বাকশিল্পীদের পরিবেশনা রাবীন্দ্রিক পরিবেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লবিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে উৎসবের। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্যানন্দের শিল্পীরা পরিবেশন করে বৃন্দ নৃত্য। নৃত্যের সঙ্গে সমবেত সঙ্গীত  আকাশ ভরা সূর্য তারাবিপুল তরঙ্গ রে পরিবেশন করে সংস্থার শিল্পীরা। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় মিলনায়তনে। সন্ধ্যায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতজন রামেন্দু মজুমদার। দুই গুণী কলিম শরাফী ও সাদি মহম্মদ সম্পর্কে আলোচনা করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহ সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও লেখক-আলোকচিত্রী এম এ তাহের। স্বাগতকথনে অংশ নেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

 উৎসব সম্পর্কে চুম্বকীয় অংশতুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ। এদিন মিলনায়তনের বাইরে বৃন্দ নাচ ও গান শেষে মূল মঞ্চে ঐতিহ্য মেনে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। এর পর পরিবেশন করা হয় বেদ শ্লোক গচ্ছধ্বং সং বদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্। এর আগে লবীতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো হয়। এই পর্বে সমবেত গান আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর  হে নূতন দেখা দিক আর-বার পরিবেশন করা হয়।

 পরে উদ্বোধনী কথনে অংশ নেন অতিথিরা। আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন শিল্পীরা ছিলেন রফিকুল আলম, চঞ্চল খান, জাফর আহমেদ, অনন্ত বাঁধন, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, মিলন দেব, সত্যম দেবনাথ, কুশল রায়, গায়ত্রী আচার্য্য, রবিউল হাসান, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, শর্মিলা চক্রবর্তী, বিলু সিদ্দিকী, ফারহানা খান পুরবী, মৌমিতা মমী, নেহরীন হুদা, রায়ান খালিদ  স্যান্দ্রা, রিদওয়ানা আফরিন সুমি, স্মৃতি কণা পাল, তাসনিতা মাহবুব নরিন, উৎপলা দাস পম্পা,  শবরী মজুমদার, ড. বর্ণালী চক্রবর্তী, সুস্মিত শাফি ইসলাম (খুলনা), ফারহানা রহমান কান্তা (ফরিদপুর) সহ আরো অনেকে।

শিল্পীদের কণ্ঠে  শোনা গেলো কেহ কারো মন বুঝে না, হার মানা হার, প্রথম আদি তব শাক্তি, সখী ভাবনারে কারে কয়, মহারাজ একী সাজে, তাই তোমার আনন্দ, সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, নয়ন তোমারে পায় না, লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ সহ আরু অনেক গান।

তিন দিনব্যাপী উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে। তাই উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল তারই অনুজ বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীশিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নীপার নেতৃত্বে ছিল নৃত্যাঞ্চলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবে সুরের ধারা, রবিরাগ, সঙ্গীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে একই স্থানে তৃতীয় অধিবেশনের সূচনা হবে সংস্থার রীতি অনুযায়ী দুটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এদিন সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করবেন ওই মহামানব আসেবৈশাখ হে, মৌনী তাপস,  কোন্ অতলের বাণী। তৃতীয় ও  কাল শনিবার বিকাল ৫টায় সমাপনী আয়োজন শুরম্ন হবে। থাকবে সংস্থার শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা।

সমাপনী অধিবেশনের সূচনা হবে পর পর জগৎজুড়ে উদার সুরে/আনন্দগান বাজেআলোকের এই ঝর্নাধারায় গানের মধ্য দিয়ে। পরে নিয়মিত পর্বে অংশ নেবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তিন দিনের আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ও গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক উন্নয়নের কথা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী পৌর শাখার সভাপতি মো. মজিবর রহমান খান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার অরোণকোলা রিফুজি কোলনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক উপজেলার মধ্য অরোণকোলা (রিফুজী কোলনী) এলাকার মৃত আক্কাস আলী খান এর ছেলে।

আহত সাংবাদিক মজিবর রহমান জানান, নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ০৯ নং ওয়ার্ড মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনী গোরস্থানগলি মসজিদের সামনে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথ আটকিয়ে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা ও ইট দ্বারা আহত করে আমার কাছে থাকা সতেরো হাজার তিনশত টাকা ছিনিয়ে নেয়। মাথায় যখম দেখা দেওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় মোঃ রেনু মুন্সি (৫৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেছি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও অংশগ্রহণ মূলক না করতে বিভিন্ন অপশক্তি বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী, অপচেষ্টা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা সকল প্রকার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বা আমরা একটি শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে চাই। যে সকল দুষ্কৃতিরা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি আশাবাদি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



ভিয়েতনামে স্যান্ডউইচ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬০ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামে স্যান্ডউইচ খেয়ে ৫৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় এবং সাত বছরের দুই ছেলে শিশুসহ ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। দক্ষিণ ভিয়েতনামে একটি শপ থেকে ঐতিহ্যবাহী বান মি স্যান্ডইউচ’  খাওয়ার পর তারা ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়।

এ ঘটনায় ডং নাই প্রদেশে অবস্থিত ওই বেকারিটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমের কারণে স্যান্ডউইচগুলো নষ্টে হয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক পরিদর্শনে দেখা গেছে ওই বেকারি খাদ্যের ন্যূনতম নিরাপত্তা মান পূরণ করেনি। বান মি স্যান্ডউইচ হল ভিয়েতনামের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।

সোমবার লং খান শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল বাং বেকারি থেকে ওই স্যান্ডউইচ খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে ৫৬০ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২০০ জনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই বেকারি থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ স্যান্ডউইচ বিক্রি করা হয়। ওই বেকারি থেকে যারা স্যান্ডউইচ খেয়েছে তাদের অনেকে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর এবং পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়।

ভিয়েতনামের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই স্যান্ডউইচ খেয়ে এক নারী তার তিন সন্তানকে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হন। এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।


আরও খবর



ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর নিকটে এবং বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির টহলের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ অবস্থান করছে।

এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় পাঁচ শতাধিক জনতা। আনুমানিক আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মধুখালীর ঈদগাঁ ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি মহাসড়কে উঠে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে কামারখালী সেতুর দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড হয়ে মিছিল করতে থাকে। একাধিক ভাগে বিভক্ত বিক্ষোভকারী মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, নওয়াপাড়ার মোড়, মাঝিবাড়ি ও বাগাটের ঘোষঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

বাগাটের ঘোষঘাটে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি এনে অবরোধ করে এবং সড়কের মাঝে গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নওয়াপাড়ার মোড়ে একটি ইটভর্তি ট্রাক সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই জায়গায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশের হামলায় তাদের চারজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং বাকি একজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ওই মহাসড়কের মালেকা চক্ষু হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের দিকে এবং বাগাটের ঘোষঘাট এলাকা থেকে কামারখালী সেতুর দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কোথাও বুঝিয়ে আর কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে নিবৃত্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হুসাইন বলেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহত বা জানমালের ক্ষতিসাধনের ঘটনা ঘটেনি।

নিউজ ট্যাগ: বিজিবি মোতায়েন

আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর