আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সেমিফাইনালে আম্পায়ার থাকছেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা নিয়েছে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তান। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আগামী ৯ নভেম্বর সিডনিতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১০ নভেম্বর অ্যাডিলেড মাঠে হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড।

দুই সেমিফাইনাল ম্যাচের অনফিল্ড, থার্ড ও চতুর্থ আম্পায়ারও বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মারাইস ইরাসমাস এবং ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থকে নিয়োগ করেছে আইসিসি। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন রিচার্ড ক্যাটলব্রো, চতুর্থ আম্পায়ারে থাকছেন মাইকেল গফ এবং ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ক্রিস ব্রড।

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের অধীনেই খেলেছিল পাকিস্তান।  সে ম্যাচে মারাইসের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন ভারতের ব্যাটিং সেনসেশন বিরাট কোহলি।

ম্যাচের শেষ ওভারে স্পিনার মহম্মদ নওয়াজের ফুল টস বলটিকে ছক্কা হাঁকান কোহলি।  এরপর নো-কল করে আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কোহলি।  কোহলির কথায় সাড়া দিয়ে ওই বলকে নো-বল বলে অভিহিত করেছিলেন মারাইস। এরপর ম্যাচটি হেরে যায় পাকিস্তান।  পাকিস্তানি ভক্তদের অভিযোগ ছিল, কোহলির নির্দেশে আম্পায়ার নো-বল দিয়েছেন। নো বল না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।

আর সেই আম্পায়রই পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে আম্পায়ার হবেন। এতে অসন্তোষ বাড়ছে পাকিস্তান সমর্থকদের মাঝে।

এদিকে ভারত -ইংল্যান্ড ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে শ্রীলংকার কুমার ধর্মসেনা এবং অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেলকে নিযুক্ত করেছে আইসিসি। এই ম্যাচে সেমিফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ার হবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফনি। যেখানে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার। ম্যাচ রেফারি থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন।


আরও খবর



ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গোপনে পাওয়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেছে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মার্চে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। এ মাসে অস্ত্রের চালান দেশটিতে পৌঁছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ লক্ষ্যবস্তুতে কমপক্ষে একটি হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) পাঠিয়েছিল। ওই সময় তারা আরও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার পাঠাতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনায় ইউক্রেনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস পাঠানো হয়েছে।  তিনি বলেন, ইউক্রেনের অনুরোধে কৌশলগত নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ঠিক কতগুলো অস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আর নতুর সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে গত মঙ্গলবার অধিকৃত বন্দর নগরী বেরদিয়ানস্কে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় এবং রুশ সৈন্যরা ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আসায় কিয়েভ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি করে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে উভয়পক্ষের ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ সেনাসদস্য। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।


আরও খবর



রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি, একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করবো না। রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করব না। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও। তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখবো।

আজ রোববার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের  নব-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু এনডিসি প্রমুখ।

ডা. সামন্ত লাল সেন নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায়, একটু ভাল ব্যবহার। একটু ভাল করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা৷ এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। আমি মনে করি, সেই স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছ। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩  জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগদান করেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



আবারও বিএনপিকেই পালাতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে। ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় তাহলে আমরাও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। তারা যদি আবারও সন্ত্রাস করে তাহলে আমরাও সেভাবেই মোকাবিলা করব। আগে থেকে এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর