আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শাল-গজারি বনে কুঠারের আঘাত, নির্বিকার বন বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

শাল বাংলাদেশের একটি পরিচিত গাছ। গোড়া থেকে চারা গজায় বলে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ শালকে চিনে গজারি নামে। সরকারিভাবে এ গাছ কাটা নিষিদ্ধ। এ জাতের মা গাছগুলো আগেই হত্যা করা হয়েছে। এখন বলি দেওয়া হচ্ছে শিশু চারাগুলোকে। এ বনে মনের খুশিতে চালছে কুঠারের আঘাত। কি দিন, কি রাত, প্রতিনিয়ত শাল গজারির বনে রক্ত ঝড়ছে।

স্থানীয়রা জানায়, কুঠার বাহিনীর সঙ্গে নাকি সখ্যতা রয়েছে রক্ষকদের। দিনেও নাকি তারা চলেন চোখ বন্ধ করে। প্রকৃতির আর্শিবাদ এ বৃক্ষের উপর এখন আঘাত চলছে অতীতের ন্যায় জোরেশোরে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সংরক্ষিত বনের শাল গজারি কাটার যেন উৎসব চলছে। এরই ধারবাহিকতায় গত শনিবার কাভার্ড ভ্যানের ভেতর থেকে ১০৫টি গজারি গাছের টুকরো জব্দ করে বন বিভাগ। ওইদিনই একটি মিনিট্রাক ভর্তি গজারি এবং আকাশমণির ২১৭ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়।

বন বিভাগের ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, উপজেলায় বনভূমির পরিমাণ ২৫ হাজার সাতশ ১১ একর। ৯০ এর দশকে সামাজিক বনায়ন নামে বন বিভাগের কর্মসূচিটি আঘাত হানে প্রাকৃতিক এ বনে। ফলে দেশীয় বৃক্ষের স্থানে ধিরে ধিরে জায়গা দখল করে নেয় বিদেশী বৃক্ষ। প্রাকৃতিক অন্য সব গাছের সঙ্গে বনে রাজত্ব করা শাল গজারিও এ বন থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে। যা কিছু অবশিষ্ট আছে তাও আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আর এর জন্য এলাকাবাসি দায়ী করলেন বন বিভাগের লোকসহ অসাধু কাঠ ব্যবসায়ি এবং কাঠচোর চক্রকে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এই তিন শ্রেণির লোকই নাকি একই মায়ের গর্ভের সন্তান। একটা সময় কাঠচোর চক্র রাতের আঁধারে এ গাছ কাটত। কিন্তু, সরেজমিনে বন বিভাগের বটতলা ও ঝড়কা বিটের অন্তর্গত বগা, খাগরাটা, কুশারিয়া ও ছনখোলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোকচক্ষুর আড়ালে নয়, প্রকাশ্যে খুশি মনে, নির্ভয়ে এক শ্রেণির লোক নিষিদ্ধ বৃক্ষ বিশুদ্ধ ভেবে কেটে যাচ্ছে। বটতলী ও ঝড়কা বিট অফিসের ছনখোলা ও কুশারিয়া এলাকা থেকে গত শনিবার একটি কাভার্ডভ্যান বোঝাই গজারি গাছ এবং মিনিট্রাক বোঝাই গজারি এবং আকাশমনির জ্বালানি কাঠ জব্দ করে বন বিভাগ। বন বিভাগের ওই দুই বিটের দায়িত্বে আছেন হেলাল উদ্দিন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, কাভার্ডভ্যানটি বটতলি বিটের ছনখোলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে ভ্যানের চালক বা অন্য কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কাভার্ডভ্যানে গজারি গাছ ছিল ১০৫ টি। অপরদিকে একইদিন ঝড়কা বিটের কুশারিয়া এলাকা থেকে মিনিট্রাক বোঝাই গজারি এবং আকাশমনির জ্বালানি কাঠ আটক করা হয়। যাতে ২১৭ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ ছিল। এ ব্যাপারে আব্দুল হালিম নামে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মালামালসহ দুটি গাড়িই জব্দ করে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসে রাখা আছে।

হেলাল উদ্দিন আরও জানান, ৩ জানুয়ারি বটতলি বিটের অধিনে বড় আকারের আরও সাত টুকরো গজারি গাছ আটক করা হয়। জানা যায়, শাল গজারি বন সুরক্ষিত রাখতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকার সুফল প্রকল্প চালু করে এ উপজেলায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রাকৃতিক বন রক্ষায় বেলা কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মধুপুরের শালবন রক্ষায় হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। রিট পিটিশনের জন্য মহামান্য আদালত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। তথ্য প্রমাণ পেলে ঘাটাইলের বন রক্ষায়ও একই কাজ করা হবে।

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শালবন হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। জীববৈচিত্রের ব্যালেঞ্চ রক্ষার জন্য শালবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের জন্য এই ধরনের শালবন সৃজন করা অনেকটাই অসম্ভব। তাই এ বন রক্ষার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদ রহমান গজারি গাছ জব্দ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বন বিভগের জনবল কম। এ গাছ রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।


আরও খবর



ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বিপুল পরিমাণ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার প্রতীক আনারস।

আটক বাকি তার ১০ সহযোগীর নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র‌্যাব। তবে আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমধাপে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে র‌্যাবের নিয়মিত টহল দল সুজানগরের চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন ও তার ১০ সহযোগীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তার গাড়িতে রাখা দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

মেজর মো. এহতেশামুল হক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টাকাগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে নির্বাচনে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিধি মোতাবেক আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ, হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪