আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ছয় বছর আজ: দায় নিচ্ছে না বিশ্ব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কাঁধে চেপে বসেছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি ঝুলে থাকায় দিন দিন ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বাড়ছে সহিংসতা, হত্যা, সন্ত্রাস, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো অপরাধ। আধিপত্য ধরে রাখতে সংঘাতে জড়াচ্ছে নানা গ্রুপ, জন্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত না হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে আশ্রিতদের সংখ্যাও। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এমন বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের এ দেশে অনুপ্রেবেশের ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ।

আরও পড়ুন: ‘প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণে বাংলাদেশেরঅর্থনীতিতে সৃষ্টি হচ্ছে’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নির্যাতনে বরাবরই রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশমুখী ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা এদেশে এসে বসবাস করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নজিরবিহীন ঢল নেমেছিল। রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতন শুরু করলে সীমান্ত দিয়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে এদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়ায়।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৯ লাখ ৬২ হাজার ৪১৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের মধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ৯ লাখ ৩১ হাজার ৯৬০ এবং ভাসানচরে ৩০ হাজার ৪৫৬ রোহিঙ্গা বাস করছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হওয়া জরুরি : ইতো নাওকি

মানবিক কারণে বিপুলসংখ্যক এ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। তবে গত ছয় বছরে বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েও একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি; বরং দিন দিন তারা বাংলাদেশের ওপর অনেক বড় বোঝা ও সংকট হয়ে চেপে বসেছে। পাশাপাশি বিশ্ব সম্প্রদায়ও রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিসহ প্রায় ১০ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে সহায়তা করতে মানবিক সংস্থাগুলো এ বছর ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের আবেদন করেছে। ২০২৩ সালের আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার জন্য তহবিলে আবেদনের মাত্র ২৮ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এর প্রভাব পড়েছে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার ওপর। ফলে ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও বাড়ছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালেও রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রাপ্ত তহবিল সহায়তায় বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় কমিশন, জাপান, জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের টেকসই মানবিক সেবা নিশ্চিতে আর্থিক সাহায্য নিশ্চিত এবং তাদের সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবারও রাজনৈতিক সহায়তা চেয়েছে ইউএনএইচসিআর।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চিঠি

রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল কমে আসার কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা খরচের পুরোপুরি দায়িত্ব জাতিসংঘের। বাংলাদেশের কোনো দায়িত্ব নেই। এর পরও রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় কোনো তৎপরতাই একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি। এমনকি চীনের উদ্যোগে পাইলট প্রকল্পও কবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিশ্চিত নয়। এমন দীর্ঘসূত্রতা আন্তর্জাতিক মনোযোগ হারানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৭ সালে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢেউ নামলে বাংলাদেশ সংকট সমাধানে চীনের ওপর ভরসা করে। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে। সংকট সুরাহায় চীনের মধ্যস্থতায় তিন ধাপ কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয় এবং ১৯ ডিসেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১ হাজার ১৪০ রোহিঙ্গাকে পাইলট প্রত্যাবাসনের জন্য বাছাই ও মিয়ানমার ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর মোখা, বন্যাসহ নানা অজুহাতে পাইলট প্রত্যাবাসনও থেমে আছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ক্যাম্পের মধ্যে প্রত্যাবাসনবিরোধী প্রচারণার কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায় না। এ ছাড়া তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টিও তাদের এখান থেকে যেতে প্রলোভনের ফাঁদ হিসেবে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ কাজে আসেনি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সূত্রগুলো জানিয়েছে, তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৯২০ রোহিঙ্গা তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেছে। জাপান মাত্র ৪ জনকে উচ্চ শিক্ষার জন্য নিয়েছে। তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা মনে করে, তারা এদেশ থেকে উন্নত দেশগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ২০১২ সালের পর অনেকেই এই আশায় মিয়ানমারে ফেরেনি। এবারও তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে একদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ক্যাম্পের মধ্যে খুন, গ্রুপিং, আধিপত্যের লড়াই, অস্ত্র চোরাচালানের মতো ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়াও অলস দিনযাপন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত না হওয়ায় বেড়েই চলেছে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আগের ঘরবাড়ি নেই, তবে অন্য ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেখানে গিয়ে কিছুদিন না থাকলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে না। ফলে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা হয়ে দাঁড়ানো কারও উচিত নয়। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার পক্ষে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত বিশ্বনেতাসহ বহির্বিশ্বের প্রতিনিধিদেরও রোহিঙ্গারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বলেছেন, তারা রাখাইনে ফেরত যেতে চায়। তবে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে প্রত্যাবাসন হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার আলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম যতটা সোচ্চার, ততটা তাদের মানবিক সহায়তা ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে দেখা যায় না। এটা নিঃসন্দেহে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবহেলা ও স্ববিরোধী আচরণ।

আরও পড়ুন: আট লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ

এদিকে দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের চ্যালেঞ্জ ক্রমাগত বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপের সংখ্যা বাড়ছে। হত্যা, অপহরণ, সহিংসতা, সন্ত্রাস, মাদক ও অস্ত্র পাচারের পাশাপাশি আধিপত্যের লড়াইয়ের কারণে প্রায়ই সেখানে রক্ত ঝরছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে আড়াই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) আড়াই হাজার সদস্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি ভাসানচরের মতো নিরাপদ স্থানেও পারিবারিক দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা খুনের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ টেকনাফে ২ রোহিঙ্গা আটক

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া মানবিক বাংলাদেশকে সহায়তা করার দায়িত্ব জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের। তারা যেন কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব কম না দেয়, সেজন্য প্রথাগত কূটনৈতিক যোগাযোগের বাইরে বহুমুখী কূটনৈতিক তাগিদও জোরদার করা জরুরি।


আরও খবর



২৩ নাবিকসহ আজই কুতুবদিয়ায় ভিড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে। মঙ্গলবার বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে। রবিবার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী- আনারস প্রতীক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু-কাপ পিরিচ প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব- ঘোড়া প্রতীক, মো. আবুল কাশেম-দোয়াত কলম প্রতীক ও মো. নিজাম উদ্দিন- মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উল্যা-মাইক প্রতীক, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ- উড়োজাহাজ প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী-বই প্রতীক, মো. ইয়াছিন আরাফাত-তালা প্রতীক ও মো. মাসুদুর রহমান-চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা-ফুটবল প্রতীক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার-হাঁস প্রতীক ও সেলিনা খানম-পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



আজও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল রোববার সারা দেশে বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ধারাবাহিকতায় আজও সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (৬ মে) আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যদিকে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা : লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর