আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পশ্চিমবঙ্গ থেকে পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে রুল শুনানি আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে পালিয়ে থাকার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ। সেটির বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, সোমবার (১৬ মে) এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে ভারতে গ্রেফতার হওয়ার তথ্য আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষ এ সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য উপস্থানের পর রুলটি আজ (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চে কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানও ছিলেন।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যেই হোক। আমরা এ ব্যাপারে সিরিয়াস।

পি কে হালদারকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনা প্রশ্নে দেড় বছর আগে স্বপ্রণোদিত রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। এর মধ্যেই গত শনিবার (১৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হন পি কে হালদার। বাংলাদেশে আর্থিক খাতে আলোচিত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পি কে হালদার

আরও খবর



২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



তালতলীতে এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলী সরকারি কলেজে এইচএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক করে অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষাথীরা জানিয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনী বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু তালতলী সরকারী কলেজে কতৃপক্ষ বিজ্ঞান শাখায় ৩ হাজার ১০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছর এই কলেজ থেকে ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।

এছাড়া অনিয়মিতি পরিক্ষার্থী আছে শতাধিক এর বেশি। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগে যাদের দুই বিষয়ে ব্যবহারিক আছে তাদের ২ হাজার ৪০০ টাকা ও এক বিষয়ের ব্যবহারিক ২ হাজার ২৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেওয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কোন কোনে ফান্ডে যায় তাও জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ।

প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডে ১০০,উন্নয়ন ফান্ডে ১০০, মসজিদ ফান্ডে ১০০ ও ফরমের জন্য ১০০। বাকি টাকা কই যায় তা বলতে পারেনি তারা। এ দিকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ দুই হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে মুখ চেনা প্রভাবশালীদের কাছ থেকে কিছু কম টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকারী কলেজে এমন ফান্ড থাকতে পারে না । এই সব ফান্ড কলেজ শিক্ষকদের বানানো বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ফি এর চেয়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা বেশি নিচ্ছেন। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার ১২০  টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকরা ২ হাজার ৮০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তিন হাজার টাকার নিচে ফরম ফিলাপ করা যাচ্ছে না। কম দিতে চাইলে শিক্ষকরা মন খারাপ করেন।

তারা আরও বলেন, ফরম ফিলাপে জন্য শিক্ষকরা মাথা কাটা ফি আদায় করছে। ঋণ করে ছেলে-মেয়েদের ফরম ফিলাপ করিয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফরম ফিলাপ কমিটির আহবায়ক ও সহযোগি অধ্যাপক আ. রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। পরে আমরা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ দিয়ে দিবো।

তালতলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার বলেন, ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে যেটা বেশি নেওয়া হচ্ছে তা বিবিধ খরচ আছে। অন্য কলেজে তো ৫ হাজার টাকা নেয় তা তো আমরা করিনা।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরনের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে মারধরের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ তাদেরকে দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরও বলেন, সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলামের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সাংবাদিকদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই। তিনি সব সাংবাদিককে কেন্দ্র চলে যেতেও বলেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গজারিয়ার উপজেলায় মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



গরম কমাতে কী কী করেছেন, জানালেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গরমের তীব্রতা বাড়ায় শনিবার থেকে সারা দেশে চলছে তিন দিনের হিট অ্যালার্টের সতর্কতা। সোমবার সেটি আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তীব্র গরমে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন?

এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া বুশরা দেশের একটি টিভি চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।

অনুন্নত এলাকায় গরমের প্রকোপ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা শহরের অনুন্নত অন্তত ১৫টি এলাকায় সবুজায়ন প্রোগ্রাম করেছি। যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা বুঝিয়েছি, নিজে ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারবো।

গত বছর হিট মওসুমে নিয়োগ হওয়ায় তখন বেশি কাজ করতে পারেননি জানিয়ে বুশরা বলেন, কাজ শুরু করলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আস্তে আস্তে এই পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরিকল্পনা তিনি নিজে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সময় বেশি লাগছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ পেলেও টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করতে বেশি সময় লেগে যায়। এছাড়া আমলাতন্ত্রও কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে জানান বুশরা।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি চাইলেও একরাতে সব পরিবর্তন করে দিতে পারবো না। গরমে বেশি বেশি পানি পান ও শরীরের প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু এমন গরম আগে বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আগের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

মানুষকে সচেতন করতে একটি সহজ ভাষায় ছবি সম্বলিত বুকলেট প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানান এই চিফ হিট অফিসার। তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না। আমি মনে করি, সব আলোচনাই ইতিবাচক। সমালোচনার দিকে নজর না দিয়ে কাজ করেই সময় পার করছেন বলেও জানান বুশরা আফরিন।

নিউজ ট্যাগ: বুশরা আফরিন

আরও খবর