আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

প্রথম ফরাসী নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুহাম্মদ সালাহউদ্দীন

২০২২ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ৮২ বছর বয়সী ফরাসী লেখক এ্যানি এরনো। এ পর্যন্ত ১১৯ জনকে এই বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এরনো হলেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১৮তম নারী যিনি প্রথম ফরাসী নারী লেখক হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন। সুইডিশ একাডেমির সচিব ম্যাটস মালম স্টকহোমে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছেদ ও সমষ্টিগত বাঁধার কথা সাহস এবং বস্তুনিষ্ঠ উপলব্ধির মাধ্যমে তীক্ষতার সঙ্গে উন্মোচন করেন।

১৯৭৩ সালে এরনোর প্রথম বই ক্লিনড আউট-এ  তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা অন্তরঙ্গভাবে বলা হয়েছে। তিনি তার উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে সাহসী বিষয়গুলোর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যা পাঠকদের অবাক এবং অনুপ্রাণিত করে চলেছে। শিল্পের আলোচনা ও লিখনশৈলী, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ, অন্তরঙ্গতা,  পাবলিক ডায়েরি এবং জীবন-লিখন যা বিষয়গুলোকে বিভাজন করতে অস্বীকার করে তিনি তার লেখার কাজে এমন পাঠ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। 

 ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণকারী, এরনো উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডির ইয়েভেটতে বড় হয়েছেন। তিনি শ্রমজীবী পিতা-মাতার একমাত্র কন্যা। তার পিতা একটি ক্যাফে-কাম-মুদির দোকান চালাতেন এবং তার শৈশবকাল পরিবারে এবং এর বাইরে শ্রেণী উত্তেজনার কারণে প্রভাবিত হয়েছিল। এরনাক্স তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেট ক্যাথলিক গার্লস স্কুলে ভর্তি হন, যা তার সঙ্গে তার পিতা-মাতার সামাজিক বিভাজনে ইন্ধন যুগিয়েছিল- বিশেষ করে তার বাবার কারণে, যা তিনি তার চতুর্থ প্রকাশনা এ ম্যানস প্লেস-এ বিশ্লেষণ করেছেন। সামাজিকভাবে বিভক্ত ও অস্থির পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে এরনো তার প্রতি-পালনের জন্য অস্বস্তিকর দিকগুলোর জন্য লজ্জা বোধ করেছিলেন, যেমন তার বাবার ক্যাফেতে কর্মরত-শ্রমিকদের পরিবেশ বা তার মধ্যবিত্ত গৃহিণী মা যিনি নারীত্বের রীতিগুলোকে অস্বীকার করেছেন, যা এনরাক্স তার এ ফ্রোজেন ওমেন গ্রন্থে লিখেছেন। 

 তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়েছিল শ্রমিক-শ্রেণির সংস্কৃতি, তাদের জনপ্রিয় গান এবং তার মায়ের গ্রাসকারী রোমান্টিক উপন্যাসের প্রতি আসক্তির মধ্যে। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি ফরাসী ক্লাসিক-এর আগ্রহী পাঠক ছিলেন। এরপর তিনি রুয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৭০-এর দশকে একজন পেশাদার লেখক হওয়ার আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এই অভিজ্ঞতাটি তাকে ফরাসী তত্ত্ব এবং লেখার অনুশীলন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে সহায়তা করেছে। যা তার আত্ম-কথার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।

একজন লেখক হিসেবে এরনো বুঝতে পেরেছিলেন যে, তিনি বাড়িতে যেসব ফরাসী সাহিত্য পড়েছিলেন বা ছাত্র জীবনে যা শিখেছিলেন এবং পরে শিখিয়েছিলেন তাতে তার দৈনন্দিন জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করা হয়নি। স্কুল জীবনে তিনি একটি ঘনিষ্ঠতা ও একটি সূক্ষ্ম জটিলতা সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলেন। কারণ তার স্কুলের শিক্ষকরা মধ্যবিত্ত সহপাঠীদের গল্প আগ্রহের সঙ্গে শুনতেন কিন্তু তাকে তার ঘরোয়া জীবন সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা থেকে নিবৃত্ত করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতাগুলো তার কাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে তিনি ফরাসী সমাজবিজ্ঞানী পিয়েরে বোর্দিউকে উদ্ধৃত করে বলেন, আধিপত্য শ্রেণি এবং অধীনস্ত শ্রেণি-র মধ্যকার বারবার দ্বন্দ্ব হিসেবে।   তার প্রথম তিনটি উপন্যাস, ক্লিনড আউট, ডু হোয়াট দে সে অর এলস এবং এ ফ্রোজেন ওম্যান নিয়ে তিনি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের একটি ট্রিলজি গঠন করে। এই কাজগুলো একজন শ্রমজীবী-শ্রেণির মেয়ের সামাজিকীকরণের বিশদ বিবরণ দেয়, যার আছে মধ্যবিত্ত শিক্ষা এবং তারপর বিবাহিত জীবন। তার নায়ক একজন মহিলা, যিনি আরনক্সের অনেক পাঠকের মতো শ্রেণি ত্যাগকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এরনো তার পরবর্তী কাজের মধ্যে, মূলের কল্পিত বিবরণগুলোকে বিশ্বাসঘাতকতার একটি রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন কারণ সেগুলো তার পরিবার এবং শ্রেণীর উৎসকে বহিরাগত করার ঝুঁকি নিয়েছিল।

তিনি অনুসন্ধান করেন যে কিভাবে পরিবর্তন এবং সংঘাত সবচেয়ে সাধারণ লোকদের প্রভাবিত করে, বিশেষ করে কথিত নিন্ম মর্যদার মহিলাদের। শ্রেণীর গঠনমূলক প্রভাব সম্পর্কে এরনো-এর তীব্র সচেতনতা তার কাজের পুরো বিষয় জয়ের জাগরণকে জোরালো করে। ফরাসী শ্রমিক শ্রেণির অভিজ্ঞতার ওপর তার চলমান দূরবীক্ষণের জন্য ফ্রান্সের অনেকেই তার কাজের প্রশংসা করেছেন।  এই ট্রিলজি অনুসরণ করে, এরনো লেখার শৈলী গ্রহণ করেছিলেন যার জন্য তিনি তখন থেকে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন, যাকে সাধারণত আক্ষরিক অর্থে ফ্ল্যাট রাইটিং বলা হয়। সাধারণভাবে এই অপূর্ণ শৈলীটি রীতির একটি অস্থির পদ্ধতির সঙ্গে মিলিত হয়েছে যা নৃতাত্ত্বিক, আত্মজীবনী এবং সমাজবিজ্ঞানের উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন তিনি এ ম্যানস প্লেস-এ মন্তব্য করেছেন :  লেখার এই নিরপেক্ষ উপায়টি স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে আসে, এটি একই শৈলী যা আমি ব্যবহার করেছি যখন আমি আমার বাবা-মাকে সর্বশেষ খবর জানাতে বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। লেখার এই পদ্ধতিটি একটি প্রেরণার মাধ্যমে ভিত্তি নির্মাণ করেছিল। এরনো বিশ্বাস করেন যে, নিজের সম্পর্কে লিখলে এটি অনিবার্যভাবে একটি সামাজিক-রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িত হয় এবং এর ফলে তার নিজের অভিজ্ঞতা প্রসারিত হয়। কেবল নিজের অভিজ্ঞতার কথা লেখার মাধ্যমে, তিনি সাহিত্যে ফরাসী শ্রমিক- শ্রেণীর অভিজ্ঞতা লিখতে চান। প্রান্তিক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়ার সেই আকাঙ্খাটি তার দুটি ডায়েরি, এক্সটারিয়রস এবং থিংস সিন-এ আরও ব্যাপকভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা সুপারমার্কেটের মতো বাইরের স্থানগুলোতে বা প্যারিস মেট্রোতে যাতায়াতের সময় মানুষের দৈনন্দিন আদান-প্রদান রেকর্ড করে। তিনি তার জীবনের উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রচিত আরও অন্তরঙ্গ ডায়েরিও প্রকাশ করেছেন। আই রিমেইন ইন ডার্কনেস লেখা হয়েছিল আলঝেইমারের কারণে তার মায়ের অসুস্থতার সময়। গেটিং লস্ট হলো একটি ডায়েরি যা তিনি একজন বিবাহিত কূটনীতিকের সঙ্গে আবেগময় সম্পর্কের সময় লিখেছিলেন- এটি ছিল একটি প্রেমের সম্পর্ক যা তিনি তার উপন্যাস সিম্পল প্যাশন-এ বর্ণনা করেছেন। অকপটতার সঙ্গে যেভাবে তিনি এই লোকটির প্রতি তার আবেশের বিবরণ দিয়েছেন তা তার অনেক নারী পাঠকের স্মৃতিপথে উদিত হয়েছিল।

এরনো প্রায়শই ফরাসী সংস্কৃতি ও সমাজের প্রেক্ষাপটে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতিগুলোকে চিত্রিত করেন, তিনি তার জীবন এবং নারী ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের আরও সর্বজনীন সংগ্রামের মধ্যে সমান্তরাল আঁকতেন। এরনো-এর কাজগুলো ফ্রান্সের প্রথাগত ক্যাথলিক মূল্যবোধ থেকে দূরে, আরও ধর্মনিরপেক্ষ, অনুমতিমূলক ও যৌন মুক্ততার দিকে প্রবল সামাজিক পরিবর্তনের একটি মুহূর্তকে বন্দী করে। তিনি জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যিক ফর্মে পরিণত করার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হন সে সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং তার সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি স্বপ্রতিফলিত মন্তব্যগুলোকে প্রতীকরূপে সংঘবদ্ধ করে। লেখক-পাঠকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার এই সরলতা এবং অনুভূতিই তার জনপ্রিয়তাকে বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করে। শ্রেণিগত প্রত্যাশার অন্বেষণ এবং তা প্রকাশের ক্ষেত্রে আর্নক্সের সাহস তার কাজের বিষয়বস্তুতেও প্রতিফলিত হয়। তিনি তার অবৈধ গর্ভপাত, যৌন ঘনিষ্ঠতা, সম্মতির বিষয়, স্তন ক্যান্সার এবং তার মৃত বোনসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ বিষয় সম্পর্কে লিখেছেন।

তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, দ্য ইয়ারস, (২০১৯), শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি একটি পাবলিক ডায়েরি যা আরও উদাহরণ হিসেবে পড়া যেতে পারে, এটি ফ্রান্সের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে প্রসারিত করে, তার নিজের গল্প এবং তার প্রজন্মের যৌথ গল্পের সাথে মিশ্রিত করে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত, দ্য ইয়ার্স ইংরেজীভাষী পাঠকদের কাছে তার সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে - এবং সেই মনোযোগ এখন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জুরি দ্বারা সানন্দে প্রসারিত হয়েছে। নোবেল সাহিত্য কমিটির চেয়ারম্যান এ্যান্ডারস ওলসেন আর্নাক্সের কাজকে, আপোসহীন এবং সরল ভাষায় লিখিত ও পরিষ্কারভাবে মুন্ডিত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

টনি মরিসন এবং অ্যালিস মুনরোসহ তার পূর্ববর্তী অনেক নারী পুরস্কার বিজয়ীর মতো, এরনোও তার লেখার জীবন কাটিয়েছেন যারা সাহিত্যে কম বা প্রতিনিধিত্বহীন রয়ে গেছেন। তবুও এই পুরস্কার তাদের অভিজ্ঞতার স্বরগুলোকে আরও স্পষ্টভাবে অনুরণনের অনুমতি দেবে।

নিউজ ট্যাগ: সাহিত্যে নোবেল

আরও খবর



এ বছর নজরুল পদক পাচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

নজরুল পদক-২০২৪ এর জন্য মনোনীত চারজনের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ রবিবার (১৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীলতার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনে তাঁর অবাধ পদচারণা। বহুমাত্রিক এই সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব মৌলিক প্রতিভায় যা রচনা করে গেছেন তা আজও তুলনা রহিত। রহস্যঘেরা রচনাশৈলী পাঠককে শুধু বিস্মিতই করে না- করে তোলে অনুসন্ধিৎসু। নজরুলের এই রহস্যঘেরা রচনাশৈলী ও অনন্য সৃষ্টিশীলতা নিয়ে গবেষণা ও তার এই সৃষ্টিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বিভিন্ন গুণীজনদের নজরুল পদক প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর নজরুল সংগীতে সঙ্গীতশিল্পী ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবং নজরুল গবেষণায় ড. গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ নজরুল পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বেগম ডালিয়া নওশিন একজন বাংলাদেশি নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা। এছাড়াও সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

অন্যদিকে, নজরুলসংগীতের নতুন নতুন শিল্পী তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন, কাজ করেছেন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। নজরুলসংগীতের শিক্ষক হিসেবে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছিলেন ২০ বছর, আর নজরুল একাডেমিতে ছয় বছর।

এ দিকে অনুপম হায়াৎ একজন বাংলাদেশী লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক এবং একাধারে তিনি একজন নজরুল গবেষক। কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ২০১২ সালে নজরুল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের উপর তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৯টি। পাশাপাশি ড. গুলশান আরা কাজী একজন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক। তিনি ইংরেজি ভাষায় তার লেখনীর মাধ্যমে নজরুলকে বিশ্বদরবারে প্রকাশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

পদক প্রদান বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামী ২ জুন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাদের হাতে আমরা পদক তুলে দিবো এবং এই পদক তুলে দেয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হবো।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৪,২৫ ও ২৬ মে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৫ মে) থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন সোনার দাম বাড়লো। শনিবার (৪ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭১২ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৩ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৩ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮০৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫৫২ টাকা কমিয়ে ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হবে।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ১৩৯ উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হয়।


আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪