আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পরীমনির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন র‍্যাব কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন র‌্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

এই সাক্ষ্য নিয়ে সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৫ ডিসেম্বর ঠিক করেছেন।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাহাবুব আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এসআই আবু হেনা মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারক।

এই মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন—পরীমনি, আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানির সময় আশরাফুল ও কবির আদালতে হাজির ছিলেন। আর পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত হাজিরা দেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যা ব। পরে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর ডিএডি মজিবর রহমান বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট দায়িত্বপালনের সময় জানতে পারেন, বনানীর লেকভিউ এলাকার বাসায় বিপুল মাদক মজুত রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। পরীমনির শয়নকক্ষের দেয়ালের কাঠের ফ্রেম থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস ও ১ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করেন। পরে বাসা থেকে পরীমনি ও আশরাফুলকে গ্রেফতার করেন। র‌্যাব-১-এর প্রধান কার্যালয়ে পরীমনি ও আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নজরুল ইসলামের নাম প্রকাশ পায়। পরে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার জবাবে র‌্যাবের ডিএডি মজিবর রহমান আদালতে বলেন, সেদিন অভিযান পরিচালনাকালে র্যা বের দুটি দল দায়িত্বে ছিল। একটি দল ইউনিফর্ম পরা ছিল। তার দলের সদস্য ছিলেন পাঁচজন।


আরও খবর



পাইকগাছায় নতুন রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে নতুন একটি বিকল্প রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার সরজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গড়ুইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে অত্র ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ অবস্থিত। এদিকে ইউপি পরিষদের পিছনে দান কৃত জায়গায় একটি কবরস্থান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত কবরস্থানের পার্শ্বে প্রায় ত্রিশটা পরিবারের বসবাস। এমতাবস্থায় উক্ত পরিবারগুলোর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম উল্লেখিত কবরস্থানের রাস্তা। সেকারণে এলাকাবাসী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (কেরু) বরাবর একটি বিকল্প রাস্তার জন্য গন সাক্ষরিত দরখাস্ত করেন।

চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু গণসাক্ষরিত দরখাস্ত বিবেচনা ও জনস্বার্থে বিকল্প একটি রাস্তা করার পরিকল্পনা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ইউপি সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে ৮ ফুট চওড়া ও ৪শ ফুট লম্বা একটি বিকল্প রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান গাউসুল করিম সরদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিউলি মনি, ইউপি সদস্য সরত চন্দ্র মন্ডল, আঃ মমিন গাজী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

উক্ত বিকল্প রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু'র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাইকগাছা

আরও খবর



ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ধোঁয়ায় চারপাশে অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি। পরবর্তীতে জানানো যাবে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক দীপক কুমার বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় অন্ধকার সৃষ্টি হয়। স্টোর রুমটিতে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে।


আরও খবর



অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জুয়েল চন্দ্র ওরফে জুয়েল রানা (২৭) নামে এক যুবকের ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১২ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন ।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চরবাটা গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। আদালতের রায়ের সময় আসামী অনুপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র মামলায় আসামী জুয়েল রানা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

আদালত তাকে অস্ত্র আইনের ১৯ ধারায় ১০ বছর ও ১৯ এফ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত মো. সুজন (৩৩) নামে অপর আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। সুজন রামগতির চরগাজী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। মো. জুয়েল নামে এ মামলার আরেক আসামী কিশোর হওয়ায় তার মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হয়।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির হাজিরহাট বাজার থেকে পুলিশ একটি একনলা দেশীয় বন্দুক ও নয়টি কার্তুজসহ জুয়েল রানা ও জুয়েলকে আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, অস্ত্রটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য মো. সুজন নামে এক ব্যক্তি জুয়েলের কাছ থেকে অস্ত্র ভাড়া করেন। পরে নির্বাচন শেষে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে।

এ ঘটনায় রামগতি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে আটক দুজনসহ পলাতক সুজনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১১ এপ্রিল থানার এসআই মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত জুয়েল ও সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন। অন্য আসামী জুয়েল কিশোর হওয়ার বিচারের জন্য পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন কিশোর আদালতে দাখিল করা হয়। 


আরও খবর



দেশের মাটিতে নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত স্বজনরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়ায়শরা জাহাজ থেকে নামার সাথেই ছোট বোন উনাইজা নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এসময় ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বলেন, বাবার জন্য পুরো ঘর খালি ছিল। ঈদও ভালোভাবে কাটাতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবে, বাবাকে দেখতে পাব। আজ ঠিকই বাবার কাছে। বাবার পাশে। সামনে পরীক্ষা আছে, সেগুলো শেষ করে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো। আমি আমার আরেক বোন এখানে এসেছি। আমার আরেক ছোট বোন ছোট থাকায়, তাকে বাসায় রেখে আসা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আপনারা দোয়ার করবেন। দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছে ফিরতে হবে দ্রুত।

মঙ্গলবার বিকেলে জলদস্যুমুক্ত ২৩ নাবিকদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ জাহান মনি-৩ করে চট্টগ্রাম বন্দরে নামেন। সেখানে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত উচ্ছ্বসিত আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। কবির গ্রুপের বহরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী মোট ২৩টি জাহাজ আছে ।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর