আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে প্রাণহানি : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

রবিবার পৃথক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তারা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আওলিয়া ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ প্রশাসনের আশঙ্কা।


আরও খবর



ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড আজ সোমবার ভাঙার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকম।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ওয়েবসাইটটির পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত, দাবদাহসহ আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল হলেও গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই চলছে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ। এর আগে ২০১৯ সালে একটানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের ওপর মাঝারি থেকে ভারি এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এ মেঘ থেকে আজ সন্ধ্যার পূর্বে শুধু সিলেট বিভাগে জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম বা নাই বললেই চলে। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া ডটকমের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার দেশের সাতটি বিভাগের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ছয়টার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান এই তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান তাপপ্রবাহের সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের থেকে ধীরে ধীরে তাপ-প্রবাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন জেলায় তাপমাত্রা কেমন হতে পারে :

অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা।

তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ঢাকা শহরসহ ঢাকা শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সব জেলা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া) ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া)।

মধ্যম তাপপ্রবাহ: ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের উত্তর দিকের সব জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী।

মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: রংপুর বিভাগের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।

৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সিলেট বিভাগের জেলাগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র দুইটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখি হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।


আরও খবর



রাজধানীতে সাত সকালে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাইরে ছিল রাতের মতো অন্ধকার। রাস্তায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বেলে। অবশেষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন কাজে-কর্মে বের হওয়া মানুষ।

এর আগে শুক্রবার মোটামুটি ঢাকার আবহাওয়া শুষ্কই ছিল। যদিও এর আগের দিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় যে বৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেউ নন বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত কোনও বসার জায়গাও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই।

তিনি বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।


আরও খবর



ফের মিয়ানমারে ভারী গোলাবর্ষণ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের জেরে ব্যাপক ভারী গোলাবর্ষণ হচ্ছে। এর বিকট শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত। এতে সীমান্তঘেঁষা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার (১৩ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাড়া থেকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকা পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্তে গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ শুনেছেন তারা। এখনো মাঝে মধ্যে গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

 সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের আছারবনিয়া, ডেগিল্যারবিল, নয়াপাড়া ও শাহপরীরদ্বীপসহ কয়েকটি এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। মাঝে মধ্যে ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপারের সীমান্তের জনবসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে মিয়ানমার থেকে ভেসে আসা পর পর কয়েকটি ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত কেঁপে উঠলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় নাফ নদীর পাড়ে থাকা অনেককে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেখানকার দখল-বেদখলের জেরে সংঘর্ষের কারণে বিস্ফোরণ ও গোলাবর্ষণে বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

তবে নাফ নদী সীমান্তের অন্তত তিন কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে বিবাদমান উভয়পক্ষের ছোড়া কোনো গোলাবারুদ এপারে আসেনি বলে জানান নুর হোসেন।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত থেকে টেকনাফ পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুলালপাড়া, নাজিরপাড়া, পল্লানপাড়া, কাঁয়ুকখালী পাড়া ও অলিয়াবাদসহ কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দাদের বসতঘর কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে রাত কাটিয়েছেন তারা। এখনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসা অব্যাহত থাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটানিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। অনুপ্রবেশসহ সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে উদ্ভুদ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা সজাগ রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেন কোনভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে, এ ব্যাপারে সীমান্ত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর