আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পদ্মা সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গোপালগঞ্জ থেকে আশিক জামান

আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। এর পরেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষের স্বপ্নের দিন। আগামী ২৫ শে জুন খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার  মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

এই ২১ টি জেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ অন্যতম। এ পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার সাথে সাথে এজেলার মানুষ আরো অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হবে। এ জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে পদ্মা সেতু। এই সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন এই জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। পিছিয়ে পড়া এই জেলা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ কাড়বে, গড়ে উঠবে এ জেলায় নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা। ফলে এ জেলার  অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে বেকারদের কর্মসংস্থান। পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করবে না, এতে শিক্ষা  কৃষি, মৎস্য, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প পর্যটনসহ বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক উপযোগও সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড, বিমানবন্দর, গার্মেন্টস শিল্প ও কৃষিশিল্প।

কৃষি

গোপালগঞ্জ জেলাকে অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করেছে কৃষিখাত। জেলার প্রায় দেড়লাখ হেক্টর জমিতে এজেলার কৃষকেরা নানান ফসল উৎপাদন করে। এরমধ্যে ব্যতিক্রম ফসল সবজি। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় কৃষকদের নিজস্ব ক্ষেতে ফলানো কৃষিপণ্য এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে কৃষকেরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার রঘুনাথ পুর গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমিতে বছরের ১২ মাস বিভিন্ন শাকসবজী চাষ করি। এ জেলা ছাড়া বাইরে বিক্রি করতে পারতাম না। তাই ন্যায্য মূল্যও পেতাম না। পদ্মা সেতু চালু হলে। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। ফেরীঘাটের ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি সবজি নিয়ে সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। আমাদের কষ্ট করে ফলানো সবজীর ন্যায্য মূল্য পাবো।

স্বাস্থ্য

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুর জন্য এ জেলায় রাজধানী ঢাকা থেকে কোন চিকিৎসক আসতেন না। রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় ফেরীঘাটে সময় ব্যয় হওয়ার জন্য বেশির ভাগ রোগী ফেরি ঘাটে মারা যেতেন। পদ্মা সেতু চালু হলে এ জেলার মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই অল্পসময়ে ঢাকা পৌঁছাতে পারবে। নিতে পারবেন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মাহমুদ  বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে গোপালগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। পদ্মা সেতু না থাকায় ঢাকার অনেক বড় বড় চিকিৎসক আমাদের জেলায় আসতে চাইতেন না। পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়ার পর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হবে। ভালো চিকিৎসক এ জেলায় এসে মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারবে। অনেক সময় নদী পার হতে গিয়ে রোগী মারা যেত। জরুরি ওষুধ আনতে অনেক সময় লাগত। ওষুধের জন্য অনেক রোগী মারা যেত। পদ্মা সেতু চালু হলে ওষুধ, চিকিৎসকসহ আর কোন সমস্যা হবে না।

পর্যটন

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জে পর্যটন খাত অর্থনৈতিক ভাবে বড় ভূমিকা রাখবে। এ জেলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল। ইতিমধ্যে জাতির পিতার সমাধিস্থলকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছে স্থাপত্য শৈলীর নানান নিদর্শন। আর চোখ জুড়ানো বিস্তৃর্ন সবুজের মাঠ। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় এমনিতে লেগে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক আসবে। আরো বেশি পর্যটকদের সমাগম হবে। এতে এ জেলার পর্যটন শিল্পকে আরো বিকাশিত করবে।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও টুঙ্গিপাড়াকে নিয়ে বিশ্বমানের গবেষকেরা গবেষণায় আগ্রহী হবেন।

শিক্ষা

গোপালগঞ্জ জেলায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার জন্য আগ্রহী হবেন।

এবিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির বিজিএমই বিভাগের সহকারী প্রভাষক ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একই সাথে জ্ঞান বিতরণ এবং জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। জ্ঞান সৃষ্টির জন্য প্রথমত যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে বিশ্বমানের গবেষক দরকার। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে জাতির জনকের পূন্যভূমি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বিশ্ব মানের গবেষকরা আরো আকৃষ্ট হবেন। সেই সাথে সাথে মেধাবী শিক্ষার্থীরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

শিল্প কলকারখানা

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ জেলায় বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। এ জেলায় গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা। এ জেলার বেকারত্বের কর্মসংস্থান হবে। ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে এ জেলার বেকারদের।

কর্মসংস্থান

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হবে এ জেলায়। পদ্মা সেতুকে ধিরে এ জেলায় তৈরি করা  বিশাল বিশাল সরকারি বেসরকারী স্থাপনার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ হচ্ছে বেসরকারি খাতে। সবগুলোই খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু চালু হলে। নির্মাণ করা হচ্ছে বেসরকারি শিল্প কলকারখানাও। যা এ জেলার অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ জেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। সবগুলো পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা চালু হওয়ার পর এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কমবে এ জেলার বেকারত্বের হার। এর পাশাপাশি এ জেলা শিল্পাঞ্চল জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন,পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জ শুধু শিল্পাঞ্চলই নয় আধুনিক পর্যটন নগরীতে রুপ নিবে। এ জেলার মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারাবছর বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসতে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ জেলার অর্থনীতির চাকা সচল হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে অপেক্ষামান যে সব নবনির্মিত যে সব সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে সবকয়টিতে এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে এ জেলার বেকারত্বের হার কমার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা স্বাবলম্বী হবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মতলব উত্তরে ভোটে জয়ী হতে মরিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

ভোটে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৩ জনই এখন ভোটের মাঠে একে আপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জোড়ালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সাবাই। মাঠের রাজনীতিতে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে প্রতীক নির্ধারণের পর উপজেলা জুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। স্ব-স্ব অনুসারী নিয়ে মিছিল মিটিং করছেন প্রার্থীরা। সব প্রার্থীদের দৃষ্টি ভোটারদের দিকে। নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থী তালিকায় থাকা সম্প্রতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই প্রচারণা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবসেও জনগণের প্রতি বার্তা প্রদান করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব থাকেন এই প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জনগণের প্রতি নানা পরামর্শমূলক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ফলে তার জন সম্প্রিক্ততা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্বে থাকা মানিক দর্জি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থাকলেও রাজধানীতে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পার করেন তিনি। নিজস্ব শিল্প কারখানায় তৈরী পণ্য রাজধানীর নিউমার্কেট, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হতে এবারের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে মানিক দর্জি জানান, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে জড়িত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদ ও স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল জনগণের সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হব। নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও জানান।

নির্বাচনী মাঠ নিয়ে অন্যদের কোন অভিযোগ না থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন ২৪ এপ্রিল তার লোকজনের উপর চেয়াম্যান প্রার্থী মানিক দর্জির লোকজন হামলা করেছে এমন অভিযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেন।

গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার লোকজনের উপর হামলা করা হচ্ছে, আমার বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, আমার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে জনগণ আমাকে সবসময় কাছে পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, মতলব উত্তরে সর্বমোট ৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


আরও খবর



পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে চাহিদা আর সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন ৪ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহের বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। মাছ-মাংস তেমন কিনে খেতে পারি না। আমাদের জন্য ডিমই একমাত্র আমিষ জাতীয় খাদ্য। তাও আবার দাম বেড়ে গেল। বিকেলে আমি ২৫ টাকা দিয়ে দুইটা ডিম কিনেছি।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। তাছাড়া গরমে অনেক মুরগী মারা গেছে। সেই সঙ্গে বাজারে দিনদিন ডিমের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তারা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তারা জানান, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজার এমনিতেই বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে-এমনটাই গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী।

এর আগে ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা।

নিউজ ট্যাগ: ডিম

আরও খবর



আমতলীতে জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মারধর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

জুয়া খেলার ছবি তোলায় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ও আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে জুয়ারীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় জুয়ারীরা তার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আহত সাংবাদিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে।

জানাগেছে, উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে কতিপয় জুয়ারী দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ওই জুয়ারী চক্র বাজারের কাছে কলাগাছের বাগানে বসে জুয়া খেলছিল। এ সময় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটু জুয়া খেলার ছবি তুলছিল। ছবি তুলতে দেখে জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে জুয়ারীরা সাংবাদিক টিটুকে মারধর করে এবং তার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিক টিটু বলেন, জুয়া খেলার ছবি তোলায় জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করেছে এবং আমার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, সাংবাদিক মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে যেই জুয়ারীরা মারধর করেছে এবং ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর সফর ও মার্কিন স্যাংশন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করি না। এসব ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয় না।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও না। একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এত মাতামাতি কেন!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, গরম কমে গেলে আন্দোলন, কিছুদিন পরে বলবে কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তাদের আন্দোলনে কর্মী সমাবেশ হয় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আসবেই।’


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪