আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাহাড়ি ঢল সাগরে নামতে যত বাধা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারত থেকে ৫৩টি নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হাওর, খাল ও নদীতে পানি আসে। সে পানি যায় বঙ্গোপসাগরে। গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে যাওয়া পানির ৫৬ ভাগ ভারতের, ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ হয়ে এই পানি সাগরে যেতে পথে পথে পড়ে নানা বাধার মুখে। নদীর নাব্য সংকট, অপরিকল্পিত বাঁধ ও পূর্ব-পশ্চিমে আড়াআড়ি মহাসড়কই পানির প্রবাহে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখনই ভারত থেকে আসা অতিবৃষ্টির পানি বাংলাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব এলাকায় আটকে বন্যা সৃষ্টি করে।

নদী বিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপল বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের তিন পাশ দিয়ে ভারতের ৫৩টি নদী দিয়ে পানি ঢোকে। এরমধ্যে বড় নদীগুলো হলোগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা। মাঝারি নদীগুলোর মধ্যে আছে মহানন্দা, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ভোগাই, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, গোমতী, মনু, খোয়াই ও ফেনী। ছোট নদী আছে ৩৯টি। এছাড়াও ছোট ঝিরি ও ছরা দিয়েও পানি বাংলাদেশে আসে। কেবল একটি নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পানি যায় ভারতে। ওই নদীর নাম কুলিক। সেটি অবশ্য মৃতপ্রায়।

বন্যার পানি প্রবেশের রুট: ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল বাংলাদেশের ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক নদ-নদী দিয়ে সাগরে মেশে। এই পথগুলোই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারত থেকে আসা বন্যার পানি প্রধান তিনটি রুট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এ বিষয়ে রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন  বলেন, এর একটি হলো গঙ্গা। যার পানি রাজশাহী দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। দ্বিতীয়টি ব্রহ্মপুত্র। যার পানি কুড়িগ্রাম দিয়ে প্রবেশ করে। অপরটি হলো মেঘনা। হাওর অঞ্চল, সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, জাদুকাটাসহ ১৭টি নদী আছে, যেগুলোর পানি ভারত থেকে এসে হাওর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এগুলো সব মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়।

দুই ধরনের বন্যা: একসময় বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের বন্যায় সমতল ভূমি প্লাবিত হতো বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তবে এখন দুই ধরনের বন্যা বেশি পরিচিত। শেখ রোকন বলেন, একটি উপকূলীয় বন্যা। এটি দক্ষিণাঞ্চলে হয় ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময়। আরেকটি পাহাড়ি ঢল। পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি গড়িয়ে নিম্নভূমিতে চলে আসে। এটি আকস্মিক বন্যা। দূরে কোথাও বা প্রতিবেশী দেশে প্রচুর বৃষ্টি হলে সেই পানি নদীপথে নিচের দিকে আসতে থাকে। এতে বেশি ক্ষতি হয় বাংলাদেশের। সাধারণত এ ধরনের পাহাড়ি ঢল দেখা যায় মে মাসে। যা ইতোমধ্যে তিনবার হয়েছে। আরেকটি আছে মৌসুমি বন্যা। যখন মেঘগুলো হিমালয়ে ধাক্কা খায়, তখন প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই পানি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই বন্যা তিন অববাহিকাতেই হয়। তিন অববাহিকায় যদি আলাদা আলাদা সময়ে হয় তখন বাংলাদেশের তেমন বিপদ হয় না। পানি নেমে যাওয়ার সময় পায়। কিন্তু একই সময় তিন অববাহিকায় বন্যা হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক প্লাবিত হয়। বেশি দিন পানি আটকে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে।

শেখ রোকন বলেন, মেঘনায় যখন পানি আসে তখন যমুনার পানি নামতে পারে না। আবার একই সময় যদি গঙ্গা দিয়ে পানি আসে, তখন মেঘনা ও যমুনার পানি নামতে পারে না। এবার মেঘালয়, আসাম, অরুণাচল, সিকিম, ভুটান, নেপালে বৃষ্টি হয়েছে। তাই মেঘনা ও যমুনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এরপর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গাতেও বন্যা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা-চক্র: শেখ রোকন জানালেন, বন্যা একটি চক্র মেনে চলে। পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর বড় বন্যা হয়। ২০১৭, ২০১৪, ২০০৭-০৮, ২০০৪, ১৯৯৮, ১৯৯৪ এবং ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এই সাইকেলটা মেনে এবারও বন্যা হয়েছে।

পানি কেন সাগরে যেতে পারছে না: বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮০ ভাগ ভূমিই নদ-নদী অববাহিকায় পড়ে। ছোট বড় মিলিয়ে নদ-নদী আছে তিন শতাধিক। এগুলোর কোথাও না কোথাও সারা বছর ভাঙন লেগেই থাকে। বর্ষায় ভারত থেকে আসা ঢলে এ ভাঙন আরও তীব্র হয়। যে পরিমাণ পানি আসে তা বাংলাদেশের বড় নদীগুলো ধারণ করতে পারে না।

বন্যা বড় হওয়ার বিষয়ে শেখ রোকন বলেন, ভারতের মেঘালয় ও আসামে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। তারা হাইওয়ে করছে। বন উজাড় করছে। বিভিন্ন খনিতে কাজ চলছে। পাহাড়ে যখন গাছপালা থাকে তখন পলিমাটি ধুয়ে নদীতে আসে না। কিন্তু যখন গাছ না থাকে তখন সব ধুয়ে নদীতে যায়। এতে বাংলাদেশের নদীর গভীরতা কমছে ও পানি সমতলে চলে আসছে। সুরমা নদীর তলদেশে বর্জ্য ও পলিথিনের স্তর পেয়েছি আমরা। এ কারণেও নদী পানি ধরে রাখতে পারছে না। এছাড়া যেসব ছরা দিয়ে হাওরে পানি যেত সেগুলোও দখল হয়েছে, সংকুচিত হয়েছে। পানি প্রতিবন্ধকতার আরও কিছু বড় কারণ আছে, যেমননাব্য সংকট, প্লাবন ভূমিতে বাঁধ, সড়ক ও স্থাপনা। এসব জায়গা আগে পানি ধারণ করতো। কিন্তু সেগুলো বন্ধ হয়েছে। জনবসতি হয়েছে। পানি যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। আমাদের মহাসড়কগুলো পূর্ব-পশ্চিম দিকে আড়াআড়ি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হওয়া উচিত ছিল উত্তর-দক্ষিণে। পূর্ব-পশ্চিমে মহাসড়ক হওয়ায় পানি সহজে নামতে পারে না।

বালু উত্তোলন: শেখ রোকন বলেন, দেশের সবকটি নদী দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। নির্বিচারে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিবেগ নষ্ট হয়। ভাটিতে গিয়ে নদীর কোথাও চর পড়ে। এতে পানি প্রবাহও ঠিক থাকে না। এ ছাড়া উজান থেকে প্রবাহ স্বল্পতার কারণেও নদী ভাঙছে। প্রবাহ কমায় উজান থেকে আসা মাটি ও বালু মাঝপথে আটকে যাচ্ছে। তখন তীরে পানির চাপ বাড়ে, বন্যা হয়।

পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে: হাওর মাস্টারপ্ল্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বুক চিরে যাওয়া নদীগুলো দিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার কিউসেক (এক কিউসেক মানে প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনমিটার পানির প্রবাহ) সাগরে যায়। মোট যত পানি সাগরে নামে তার ৫৬ ভাগ ভারত থেকে আসে। ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের। আর তাই পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে বাংলাদেশের নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে বলে জানান শেখ রোকন। এছাড়া, প্লাবন ভূমিতে উন্নয়ন কাজ না করা, হাওর অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং নির্বিচারে বালু উত্তোলন বন্ধের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২৪ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

আজ শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের সি ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ১ লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিট তথা বাণিজ্য ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। এ সময় তিনি বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে এবার দ্রুত ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে আজ (শুক্রবার) সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ থেকে -১৫ জুলাইয়ে মধ্যে ক্লাস শুরু করার সম্ভাবনার কথা জানান।

গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্টে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তৎকালীন জবি উপাচার্য প্রয়াত ড. ইমদাদুল হক। পরে সেই ক্লাস ১ মাস পরে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জবি উপাচার্য

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, ঘরে বসেই যেভাবে করবেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গতকাল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলে সন্তুষ্ট না-হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন। সোমবার (১৩ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে, রোববার (১২ মে) ফল প্রকাশের পর আন্তশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, সোমবার থেকে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

যেভাবে আবেদন করতে হবে-

শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএস-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes PIN Contact Number (যেকোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন- ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC Dha Roll Number । ফল পুনঃনিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল হজের প্রথম ফ্লাইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৩০১ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন। এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।

এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


আরও খবর