আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

অপেক্ষমান বেকার লাখ লাখ কর্মীর কপালে দুশ্চিন্তার মেঘ!

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে মুখিয়ে রয়েছে মালয়েশিয়া। এ লক্ষ্যে সব ধরনের নির্দেশনা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি প্রায় দেড় লাখ ভিসা অনেকটা প্রস্তুত করে রেখেছে দেশটি। কিন্তু বাংলাদেশের দিক থেকে সিদ্ধান্তহীনতায় দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। সমঝোতা স্মারক সইয়ের দুই মাস অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। চূড়ান্ত হয়নি কারিগরি বিষয়গুলোও। এতে বহুল আকাঙ্খিত বাজারটি নেপালের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার মাশুল গুণতে হতে পারে কয়েক লাখ বেকার কর্মীদের।

মালয়েশিয়ার একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোরে চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এক লাখ ৪৩ হাজার ভিসা অনুমোদন দেবে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চাহিদাপত্রটি যাবে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে। তারপর সরেজমিন পরিদর্শন করে নিয়োগদাতার সক্ষমতা যাচাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে হাইকমিশন। মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের ২৫টি এজেন্সীর মাধ্যমে চাহিদানুযায়ী কর্মীদের নিতে চায়।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কর্মীদের চাহিদাপত্র থেকে শুরু করে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড হওয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসকেও সংযুক্ত করার আগ্রহ দেখায় মালয়েশিয়া। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিস্টেম প্রভাইডার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডাটা ডাউনলোডসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের জন্য প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপনের আবেদন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না পাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কার্যক্রম গ্রহণে অপারগতার কথা স্বীকার করেছে হাইকমিশন। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি আটকে রয়েছে।

হাইকমিশন সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া চাহিদাপত্র অনুমোদন দেয়া শুরু করলেও সত্যায়ন কার্যক্রম শুরু না হলে কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম কবে শুরু হবে বা কবে থেকে কর্মী যাবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের ওপর।

সূত্র আরও জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার দিক থেকে সবকিছু দ্রুত ও সাবলীলভাবে এগোলেও অনিয়শ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়াকে একটি চিঠি দেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগের জন্য যে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তাতে যেন বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আপত্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার। দেশটি কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান প্রক্রিয়ার মতোই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সবকিছু স্বাভাবিকভাবে শুরু হলে আগামী দুই বছরে অন্তত পাঁচ লাখ কর্মীর মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর সুযোগ হবে। এ ছাড়া অভিবাসন ব্যয়ও আগের তুলনায় কমিয়ে আনার চিন্তাভাবনা চলছে। একটি সূত্র জানায়, সরকার এবার কর্মীপ্রতি অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সরকার আন্তরিক। এ লক্ষ্যে কারিগরি বিষয়গুলো নির্ধারণে কাজ চলছে। কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কত হবে, ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন করা প্রয়োজন কি-না, প্রয়োজন হলে কবে থেকে চালু হবে, বাংলাদেশে একটি অনলাইন পদ্ধতি চালু করা ও মালয়েশিয়া সরকারের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে এই পদ্ধতি কিভাবে যুক্ত হবে। এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কোনো বিষয়েই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা অপেক্ষমান। প্রায় ৪০ মাস পরে দেশটিতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এতে কর্মীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার ঘটেছে, সেটি নিমিষেই ডুবতে যাচ্ছে কি-না, সেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ইতি মধ্যে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিএমইটির অধীনে ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতকে দূর করার চেষ্টা করছি। আমার আগের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি এখনো আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেটের পক্ষপাতী না।

অন্যদিকে রিক্রুটিং এজেন্সীগুলোর ভাষ্য, জিটুজি প্লাস-এর আওতায় রিক্রুটিং এজেন্সীগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মীদের পাঠিয়েছিল, সেগুলো প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয়েছিল। কর্মীদের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। সেটিকে মডেল ধরে এবারও একই পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো উচিত। কিন্তু একটি পক্ষ বিষয়টিকে ঘোলাটে করে তুলেছে। তারা কর্মীদের স্বার্থকে গৌণ রেখে নিজেদের স্বার্থকে মুখ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তারা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

জানতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেছেন, তাঁরা মালয়েশিয়া থেকে চাহিদাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন। দেশটির চূড়ান্ত চাহিদাপত্র এলে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে। মালয়েশিয়া থেকে বিষয়টি অনলাইনে যে প্রক্রিয়ায় আসার কথা, সেভাবে আসেনি এখনও। এ ছাড়া অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ ও নিয়োগদাতাদের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনাসহ অন্যান্য কারিগরি ও নীতি নির্ধারণী কাজ হাইকমিশন করছে।

জনশক্তি রফতানিকারকদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেছেন, আমরা চাই দ্রুত বাজার উন্মুক্ত হোক, বেকার কর্মীরা বিদেশে যাক। কেননা দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য উন্মুখ। দীর্ঘ তিন বছর পর দেশটিতে কর্মী পাঠানোর দুয়ার খুললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে জট খুলছে না। পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও অনিশ্চিত। এতে কর্মীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, উভয় দেশ সরকারি পর্যায়ে দ্রুত আলোচনায় বসতে না পারলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ সংকীর্ণ হয়ে আসতে পারে। এমনকি বহুল আকাঙ্খিত বাজারটি হাতছাড়াও হতে পারে। তিনি বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট স্থবিরতা কাটিয়ে মালয়েশিয়ায় বর্তমানে কর্মীর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের সামনে অবারিত সুযোগ। আরেকটু বিলম্বিত হলে এই সম্ভাবনা নেপালের দিকে মোড় নিতে পারে।

বায়রার সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর কর্মীরা আশাবাদী হয়েছিল। আমরাও আশাবাদী হয়েছিলাম যে পুরোনো মার্কেটটি খুলল। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। পুরো ব্যাপারটি চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এতে বাজার হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার যথেষ্ঠ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক দেশ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে মুখিয়ে রয়েছে। তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে উন্মুখ হয়ে আছে। বাংলাদেশ একটু হোঁচট খেলেই ওই দেশগুলো এ সুযোগ লুফে নিবে।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩২ জন কর্মীর চাহিদা জানিয়ে আবেদন করেছেন নিয়োগদাতারা। এরইমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি কর্মীর চাহিদাপত্রে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ পুরাতন চাহিদাপত্র নতুন করে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

এর আগে দীর্ঘ ৪০ মাস বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা স্মারকে সই করে দুই দেশ। এর এক মাস পর থেকেই কর্মী পাঠানো শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু এই অনাকাঙ্খিত কালক্ষেপণে অপেক্ষমান কর্মীদের হতাশা বাড়ছে। অনেকের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার কারো কারো মালয়েশিয়া যাওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কারিগরি বিষয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্মীদের দেশটিতে যেতে খরচ বা অভিবাসন ব্যয় কত হবে, ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন করা প্রয়োজন কিনা আর প্রয়োজন হলে কবে থেকে চালু হবে, বাংলাদেশে একটি অনলাইন পদ্ধতি চালু করা এবং মালয়েশিয়া সরকারের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সাথে এই পদ্ধতি কিভাবে যুক্ত হবে, এমন নানা বিষয়ে আলোচনা ও কাজ করছে মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর



লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবানন থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দেশটি প্রায় ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে লেবানন থেকে ব্যাপক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চল ও অধিকৃত গোলানকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এসব রকেট ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো খোলা জায়গায় পতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি আর্মি রেডিওসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলানকে নিশানা করে ৩০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ আলজাজিরা জানায়, লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। দেশটির সেনাদের এ হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ৯ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



অবহেলায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে মহেশপুর নীলকুঠি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই অবহেলিত। ফলে কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য গুলো। এমনই এক প্রচীন স্থাপত্য নীলকরদের স্মৃতি বিজড়িত 'নীলকুঠি'। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কাছে কাচারী বাড়ি হিসাবে পরিচিত এই নীলকুঠি। খালিশপুর বাজারের পশ্চিমপাশে ৯ একরের ও বেশি যায়গা নিয়ে নীলকুঠি বাড়ি অবস্থিত।

দালানটি আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল অনেকের এমনটিই ধারনা করে। এ কুঠি বাড়ি নির্মাণের মূল উদ্যেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার কৃষকদের নীল উৎপাদনে উৎসাহী করা ও নীলচাষ দেখাশোনা করা। ইংরেজ মি. ডেভরেল এ কুটিবাড়ি থেকে এই অঞ্চলের নীলচাষ পরিচালনা করতো।

শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ ছিল ইংল্যান্ড। ঐ সময় ইংল্যান্ডে সাদা কাপড়ের চাহিদা ছিল অত্যাধিক। কাপুড়ের সাদা রং বজায় রাখার জন্য নীলছিল একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। ভারতবর্ষ বৃটিশদের উপনিবেশ হওয়ায় বল পূর্বক ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নীলচাষের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নীলচাষের ফলে জমির উর্বরতা হারাতো তাই চাষিদের নীলচাষে অনীহা ছিল, অধিকাংশ চাষিরা ইংরেজদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যও পেতনা। যারা নীলচাষ করতোনা তাদের নানা ভাবে নির্যাতন করা হত। এই কুঠিরেই কিছু কক্ষ নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।

পরবর্তীতে ইংরেজরা উপমহাদেশে থেকে বিতাড়িত হলে কুঠির ভবনটি সিও অফিস হিসাবে ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৮৩-৮৪ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল।বর্তমানে কুঠিরটি জরাজীর্ণ, সংস্কারের অভাবে কুঠি বাড়িটি ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে অবস্থান করছে।

৬৫ বছর বয়স্ক স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী জানান বেশ কয়েক বছর আগে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা আর আলোর মুখ দেখিনি। কুঠি বাড়ির চার পাশে রয়েছে শত বছরের বড় বড় আম গাছ। পাশে আরো অনেক বাড়ি ঘর ছিল যা বৃটিশদেও গাড়ি রাখাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হত। এছাড়াও ছিল বৈকালীন অবকাশ যাপনের জন্য যায়গা যা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নীলকুটি বাড়িটিও অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

কুটি বাড়ির পশ্চিম পাশে সরকারি হামিদুর রহমান কলেজ ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত এবং পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই কুটি বাড়ির যায়গা খাস জমির তালিকাভুক্ত।

স্থানীয়রা জানান ২০১৮-১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান এখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ইকোপার্ক তৈরি উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এাঁও আলোর মুখ দেখিনি।

স্থানীয়দের দাবী কুঠি বাড়িটি এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষ্য দিচ্ছে,ফলে এটি এখন ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে। তাই এটি সংরক্ষণ করার দাবি তাদের।

ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, প্রাচীন ঐতিয্যে বহনকারী নীলকুঠিটি সংস্কার করে এখানে একটি ইকোপার্ক করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শামীম খান জনী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর