আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খোলা হবে না নিউমার্কেট

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত নিউমার্কেট খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, নিউমার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সব দোকান মালিকদেরকে নিয়ে এই জায়গায় অবস্থান করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হবে অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে আগুন না নিভবে ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কেট খোলা হবে না। এটি সবার সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিউ মার্কেটে আগুন: আড়াইশর মতো দোকান পুড়েছে

আগুনের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ঈদের আগে কেন মার্কেটে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আমি অনুরোধ জানাবো, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর নিকটে এবং বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির টহলের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ অবস্থান করছে।

এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় পাঁচ শতাধিক জনতা। আনুমানিক আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মধুখালীর ঈদগাঁ ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি মহাসড়কে উঠে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে কামারখালী সেতুর দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড হয়ে মিছিল করতে থাকে। একাধিক ভাগে বিভক্ত বিক্ষোভকারী মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, নওয়াপাড়ার মোড়, মাঝিবাড়ি ও বাগাটের ঘোষঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

বাগাটের ঘোষঘাটে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি এনে অবরোধ করে এবং সড়কের মাঝে গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নওয়াপাড়ার মোড়ে একটি ইটভর্তি ট্রাক সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই জায়গায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশের হামলায় তাদের চারজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং বাকি একজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ওই মহাসড়কের মালেকা চক্ষু হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের দিকে এবং বাগাটের ঘোষঘাট এলাকা থেকে কামারখালী সেতুর দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কোথাও বুঝিয়ে আর কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে নিবৃত্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হুসাইন বলেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহত বা জানমালের ক্ষতিসাধনের ঘটনা ঘটেনি।

নিউজ ট্যাগ: বিজিবি মোতায়েন

আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



সাভারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৪৩) নামে এক হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৩ মে) ভোরে উখিয়া উপজেলার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

নিহত মোহাম্মদ ইলিয়াছ উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ব্লকের হেড মাঝি (কমিউনিটি নেতা) ছিলেন।

এপিবিএন পুলিশসহ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি শামীম হোসেন বলেন, রোববার রাতে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ১০/১৫ জন মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পিছনে নেয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ইলিয়াছের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ওসি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্য এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তবে কারা, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান শামীম হোসেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর