আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সিগঞ্জে ইজিবাইক উল্টে চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জে চলন্ত ইজিবাইক উল্টে রাস্তার পাশে খালে পড়ে গিয়ে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ইজিবাইক চালকের নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৪৮)। সে বরিশাল হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের ঘাসিপুকুরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘাসিপুকুরপাড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার ইজিবাইকটি রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এ সময় সে ইজিবাইকের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সৈবাল বসাক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সিগঞ্জ

আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



আবারও ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার হলেন সাইদা মুনা তাসনিম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন থেকে ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেয়েছেন। লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল হাইকমিশনারের হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেন। শনিবার যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয় ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন। কূটনীতিতে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই প্রতিযোগিতায় লন্ডনে ১৮০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকরা মনোনয়ন ও ভোট দিয়ে থাকেন। হাইকমিশনার তাসনিম কূটনীতিতে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

২০২৩ সালে হাইকমিশনার তাসনিম লন্ডনে উইমেন ডিপ্লোম্যাসি নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১৩৩তম অ্যাসেম্বলির নির্বাচিত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর কাজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এখন শুধুমাত্র কোথা থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হলে ওই স্থানটি দেখা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, গত রাত ১টা পর্যন্ত বনবিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বনবিভাগের সহায়তায় কাজ শুরু করেছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগামী আরও দুইদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০ সদস্যের সমন্বয়ে পৃথক ২টি টিম করে দেন। আর তারই পরামর্শে রাতে আগুন নেভাতে পানি স্প্রে করে বনবিভাগ। কারণ, রাতে আগুন ভালো দেখা যায়, তাই আগুন দেখে দেখে পানি দেওয়ায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক এ আগুন লাগে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর