আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

করোনায় মৃত্যু হাজারের বেশি, আক্রান্ত দেড় লক্ষাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় লাখ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, রাশিয়া ও হংকং। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৩৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৬২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৭ জনে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৩০৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজার ৯২৯ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪১২ জন এবং মারা গেছেন ২২২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৭ হাজার ৪৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২৯ হাজার ৬১৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৬২ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫৩ জনের।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৭ জনের। একইসময়ে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৫৯ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৪৬ জনের। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ২ যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) ভোরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া দরগাসিং এলাকায় ভারতের ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান।

জানা গেছে, নিহত ইয়াসিন আলী (২৩) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ব্রহ্মতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে এবং আব্দুল জলিল (২৪) একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী এলাকার দরগাসিং সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ ওই যুবকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়৷ অন্যদিকে ভারতীয় বিএসএফ ওই যুবকদের লাশ ভারতে নিয়ে যায়৷ জানা যায় তারা অবৈধ ভাবে গরু আনতে তারাকাটা কেটে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করছিল৷

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, নিহত দুজনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে হত্যা করে লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়েদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে দুজন বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন এমন খবর পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি৷ বিষয়টি আমরা দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: পঞ্চগড় বিএসএফ

আরও খবর



হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? আমরা আপিলে যাবো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে চলমান তাপ প্রবাহে এসি ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সম পর্যায়ের মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঈদের পরপরই অবকাশ যাপনে উড়াল দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধরা। সেখানে গিয়ে শখের বসে কিছু ছবি তুলেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়েছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে; কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন; কিন্তু দুবাইয়ে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়; কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদের গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’


আরও খবর