আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



বাংলাদেশে ঢুকে দুই যুবককে বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে প্রবেশ করে দুই বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামারভাতি সীমান্তের ৯১৩ নম্বর মেইন পিলারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খামারভাতি সীমান্তে জমি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্থানীয় যুবক এনামুল হক ও ইন্দু মিয়া। হঠাৎ বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুলি চালান। অবশ্য দুই যুবক অক্ষত অবস্থায় নিরাপদ স্থানে যেতে পেরেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই খামারভাতি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এভাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য ধারণ করেন স্থানীয় শাকিল নামে এক যুবক। তিনি জানান, এমন ঘটনা প্রায় সময়ই সীমান্তে ঘটে। কিন্তু কোনো প্রমাণ থাকে না বলে কেউ বিশ্বাস করে না। প্রতিবাদও জানায় না। দূরে ভিডিও নিয়ে কাজ করার সময় এমন দৃশ্য দেখে ভিডিও ধারণ করেছি। এটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের ধাওয়া করেন। অনেক সময় মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বনানীতে সড়কের মাঝে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জে কে এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে) পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। সেটি বাসের চাকার নিচে পড়ে যায়। ওই অবস্থায় মোটরসাইকেলটিকে টেনে হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেখান থেকে বাসে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বাসে আগুন

আরও খবর