আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাউন্সিলর প্রার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ পৌরসভায় সংরক্ষিত এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে (৪৫) সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শ্রীনগর এলাকায় গতকাল শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওই নারী প্রার্থীর

আজ রোববার দুপুরে ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জলিলুর রহমান জলিল (৪০), রাজ্জাক ওরফে রাজা সিকদার (৪০) ও মো. সজিব শিকদার (২৪)। ধর্ষণের শিকার কাউন্সিলর প্রার্থী গণমাধ্যমকে জানান, আগামী পৌর নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এজন্য বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তিনি ভোট চাচ্ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতেও ভোট চাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রেপ্তার আসামিরা চুন্নু ফকিরের বসতঘরের পূর্ব পাশের জমিতে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার জানান, সংরক্ষিত কাউন্সির প্রার্থী এসে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে মাদারীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাদারীপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন।

আলমগীর বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্যে এদেশে পুলিশ বাহিনী আছে। তারাই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যথেষ্ট। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, আনছার, গোয়েন্দা বাহিনী আছে। তারা তো সারক্ষণই খোঁজ-খবর রাখছে। অনেকে হয়ত জানছেন না, কিন্তু তারা ঠিকই গোপনে তৎপতরা চালাচ্ছে। অনেক সময় পুলিশের লোকজন গোপনে আড়ি পাতেন, যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করতে পারে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়।’

এ সময় আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি, মন্ত্রীর আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল কি সিদ্ধান্ত নিলো, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা নেই। আইনের ভিতরে থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত যে কোনো দল নিতে পারেন।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলীসহ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।


আরও খবর



গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজে অসন্তোষ, নতুন প্রকল্প না নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক এ সুপারিশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। এ সময় কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মো. মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, মো. শাহরিয়া আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়।

এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তকরণ এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্য ক্ষমতা ও বিধি বিধান রয়েছে কি না তার তথ্য উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।


আরও খবর



হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণউদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর চার দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে পাসের হার।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর যে সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৫০। অর্থাৎ, পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এএমএম মুজিবুর রহমান।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৩ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৭৫০ জন ছাত্রী।

গতবছর ছাত্র পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল পাঁচ হাজার চারজন। ছাত্রী ছয় হাজার ৪৪৬ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৩ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

এবারের পরীক্ষায় এক হাজার ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৯টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৫৮১ জন ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। তিন বিভাগেই বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।


আরও খবর



সনদ জালিয়াতি: অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ডিবির মুখোমুখি হতে পারেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান যেসব সাংবাদিকের নাম বলেছেন সেসব সাংবাদিক চাইলে তার মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (১১ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবিপ্রধান।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছেন এ কে এম শামসুজ্জামান। সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের মোটা অংকের অর্থ দিতেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, সাংবাদিকরা ডিবির শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। আমরা অন্যায়ভাবে কোনো সাংবাদিকদের নাম বলতে চাই না। শামসুজ্জামান গুটিকয়েক সাংবাদিকের নাম বলেছেন। কখন কোন সাংবাদিককে কোথায় কত টাকা দিয়েছেন তা সবকিছু স্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকের নাম এসেছে তারা চাইলে শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারেন অথবা ডিবির মুখোমুখিও হতে পারেন। যদি তাদের (সাংবাদিকদের) স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তা উপস্থাপন করতে পারেন। যাদের নাম এসেছে প্রয়োজন হলে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ঈদের আগে যখন প্রথম রিমান্ডে ছিল তখন এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ঈদ চলে এসেছে টাকা কবে দেবেন? সেই মুহূর্তে শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তোমার কাছে সাংবাদিক টাকা চাইছে কেন? তখন শামসুজ্জামান আমাদের কাছে খোলামেলা জানান, তার এ পদ ধরে রাখার জন্য তাকে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। তাদের ম্যানেজ না করলে এ পদ থেকে সরিয়ে দিতো।

রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে চলবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের এ তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করেন। যা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যাচাইয়ের জন্য বৈধ বলে ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণ করতো।

তিনি বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যা বলেছেন যদি সেগুলো দুদক যাচাই-বাছাই করতে চায় তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুদকের কর্মকর্তারা কীভাবে জড়িত। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল শ্রেণির লোক, শিক্ষা বিটের সাংবাদিক এবং দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যদি শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকে তবে সে তার সার্টিফিকেট বাণিজ্য আরও বড় আকারে করতে পারে। এ উদ্দেশ্যে সে ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসার ভেতর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে তুলেছিল।


আরও খবর