চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ এবং বেসরকারিভাবে একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী
বলেন, সরকারিভাবে হজে যেতে প্রস্তাবিত প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২-এ
চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে একটি প্যাকেজ
এ খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা।
সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১-এ চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ এবং প্যাকেজ-২-এ খরচ ধরা হয়েছিল তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে
ধর্মমন্ত্রী বলেন, “আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বি-পাক্ষিক হজচুক্তি
অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়
৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব
যাওয়ার সুযোগ পাবেন। হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবের বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ,
মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২২ সালের জন্য
সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২টি প্যাকেজ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এজেন্সিগুলোর জন্য
একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও হজযাত্রীদের কোরবানি বাবদ প্যাকেজ মূল্যের
অতিরিক্ত ৮১০ সৌদি রিয়াল বা ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।”
মন্ত্রী বলেন,
“২০২০
সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। আজ এই হারের পরিমাণ ২৪ টাকা ৩০ পয়সা।
এটিও প্যাকেজ মূল্য বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া সৌদি আরবে সব খাতের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট,
সার্ভিস চার্জ, কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোয়াচ্ছাছা এর খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। বাড়ি
ভাড়া বেড়েছে।”