আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ফরিদপুরে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফরিদপুরের চরাঞ্চলের সরিষার ক্ষেতগুলো হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ মৌসুমে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আমন ধান চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে সরিষা চাষ করেন। এরই মধ্যে সরিষার আবাদ শেষ হয়েছে। বিশেষ করে চরের কৃষকরা অগ্রীম সরিষা আবাদ করেন। যে কারণে অন্য এলাকার চেয়ে এখানে পুরোদমে সরিষা গাছে ফুল ফুটেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার চরাঞ্চল নর্থ চ্যানেল ও মুনসুরাবাদে ধান ও বিভিন্ন ডালের চেয়ে সরিষা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষার প্রতি উৎসাহী হয়েছেন কৃষকরা। গতবারের ভালো ফলনে এবার বেড়েছে সরিষার চাষ। এবারও সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা জানান দিচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। ফলে চাষিদের মুখে হাসি লক্ষ্য করা গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায়ই সরিষা উৎপন্ন হয়। সবচেয়ে বেশি সরিষা উৎপন্ন হয় বোয়ালমারী উপজেলায়। গত মৌসুমে ফরিদপুরে ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। জেলার চাষিরা বারি-১৪, বিনা-১৬, বিনা-৪, বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করেন। বীজ বপন থেকে শুরু করে এ ফসলে সময় লাগে ৮০-৯০ দিন। চলতি অর্থবছরে পুরো জেলায় ১২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মিলন পালের ডাঙ্গির কৃষক ফাখের মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আলেফ কারী, ছুরমান বেপারী  জানান, প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে সরিষা উৎপন্ন হয় কমপক্ষে ৮-৯ মণ। হালচাষের পর বীজ বপন, নিড়ানি, সার ও সেচ দিতে হয়। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় গড়ে ৬-৭ হাজার টাকা। কম হলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ হাজার টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব। কিন্তু সমপরিমাণ জমিতে ধান হয় গড়ে ১৫-২০ মণ। ধান চাষে খরচ বেশি। সে হিসেবে সরিষা চাষে লাভ বেশি। তাই এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ খান  বলেন, গতবারের মতো এবারও চর এলাকাজুড়ে আগাম সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতগুলো হলুদ রঙের ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হচ্ছে। কৃষক সেকেন মাতুব্বর জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। জমির পরিমাণ প্রায় ৪ বিঘা। সরিষা চাষে ঝুঁকি ও খাটুনি কম। তবে লাভ বেশি। এ জন্য তিনি সরিষা চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সরিষা চাষ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক  বলেন, একসময় এলাকায় মুসুরি, মুগসহ বিভিন্ন জাতের ডাল চাষ হলেও এখন তেমন হয় না। সরিষা চাষে লাভবান হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ইউনিয়নে প্রায় ৩০০-৪০০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রায় ২ সহস্রাধিক কৃষক যুক্ত আছেন।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিয়াউল হক  বলেন, এলাকার চাষিদের কাছে সরিষার কদর বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় ৩,৪৫৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলন হবে।


আরও খবর



পিরোজপুরে আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

দীর্ঘ ৫২ বছর পর ১৮ মে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন ঘিরে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দ আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা ও তাদের নিজ নিজ ছবি দিয়ে তোরণ-ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তার দু’ধার। সম্মেলন উপলক্ষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থেকে এসব কাজ তদারকি করছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, আজ শনিবার ১৮ মে সকাল ১১টায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

পিরোজপুর যুবলীগ সূত্রে জানাগেছে ১৯৭২ পরবর্তী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বর্ষিক সম্মেলন ছাড়া শুধুমাত্র বর্ধিত সভা’ করার পর কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা কমিটি ঘোষনা দিতো। শেষ ২০১০ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় কমিটি। দির্ঘ ১৪ বছর বিভিন্ন অযুহাতে কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি।

বর্তমান কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, গাজী জিয়াউল আহসান জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

এদিকে ১৪ বছর পর যুবলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়ে তৎবির অব্যাহত রাখছেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

এর মধ্যে সভাপতি পদের দৌড়ে আছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বহী সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান জিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, বর্তমান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু।

সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়-ঝাপ করছেন সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি এস এম বায়েজীদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু সাঈদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য শ. ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনমহারাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

সালমা রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দয়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম সহ-সম্পাদক মো. গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় থাকবেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী জিয়াউল আহসান।

এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি। পিরোজপুরের যুবলীগের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারা জেলা থেকে যুবলীগের ৫০ হাজার নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ. ম রেজাউল করিম সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক মুসলিম নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ (এসপি) মো. আবুল হাসনত খাঁন।

এরআগে ভুক্তভোগী ওই নারী মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগে যশোর জেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরিরত ছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সাথে ঘনিষ্ট হন হিরন্ময় সরকার। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই নারী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের এমন সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার ভ্রূণ নষ্ট করেন। এরপর ওসি হিরন্ময় ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

গেল বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোর ফিরে যান।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, হিরন্ময় সরকারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ওই নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল। তার সাথে শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী-

পিরোজপুর

প্রথম ধাপে পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ইভিএমে পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রা‌তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বাচনে বিজয়ী‌দের নাম ঘোষণা ক‌রেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এসএম বায়জিদ হোসেন, ইন্দুরকানীতে জিয়াউল আহসান গাজী ও নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বিজয়ী হয়েছেন।

সদর উপজেলায় এসএম বায়জিদ হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল হক মিঠু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৭ ভোট।

ইন্দুরকানী উপজেলায় জিয়াউল আহসান গাজী আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল কবির দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৩ ভোট।

নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম প্রতীকে ১৯ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সিকদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

ফরিদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা আনারস প্রতীকে  ১৬ হাজার ১৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নিজামউদ্দিন  (টেলিফোন) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, জেলার তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রীয়ভাবে মিলিয়ে ঘোষণা করা হয়।

ফেনী

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চাঁদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চাঁদপুরে দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক।

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি ৩৩ হাজার ৭৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মুক্তার গাজী পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৩৯ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ৪৭ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতীকে প্রার্থী ১৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩.৭৯ শতাংশ।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯১০টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১৬ ভোট। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দুইজন। এদের মধ্যে নাজমা আক্তার আসমা (আখি) ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর আক্তার (শীলা মনি) হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেওয়ান শওকত আলী বাদল। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩. ৪১ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৫৩। অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ভোট।

মেহেরপুর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। তার নির্বাচনী প্রতিক ছিল মোটরসাইকেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ ভোট গণনা শেষে রাতে দুই উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একেএম ইসমাইল হক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০ হাজার ৫২৭ ভোট। টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন একেএম ইসমাইল হক।

অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

বান্দরবান

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর ও  আলীকদম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কুদ্দুস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামাল উদ্দীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল কালাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট।

বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবু আহাদ আল মামুন ৩ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।

বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। খোকসা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি।

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

অপরদিকে আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি।

জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। রাতে আমরা তিনটি উপজেলার ভোটের ফল প্রকাশ করেছি।

সিরাজগঞ্জ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট।

কাজিপুরের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬০৪ ভোট।

বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ফকির মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলা পরিষদ সম্পন্ন হয়েছে।

দিনাজপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন।

রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর

নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়েছেন। শরিফুল ইসলাম রমজান সদর উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ ভোট।

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা।

পাবনা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন  (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪  ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোট করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ‍তিনি।

ময়মনসিংহ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে ফুলপুর ও ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগ এবং হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম রাসেল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট।

হালুয়াঘাট উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল হামিদ আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট।

রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সিলেট

সিলেটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২১ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৮ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদায় আলী মুনছুর ও জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বেসরকারি ফলাফল সংবাদকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট।

অন্যদিকে জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবীর ইউসুফ ও জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী

প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

অপরদিকে কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।

বরিশাল

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার গণনা শেষে রাত ১২টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী।

বরিশাল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪১৪ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকের মাহমুদুল হক খান মামুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ ভোট এবং দোয়াত-কলম প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট।

সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে জসিম উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বই প্রতীকে মাহিদুর রহমান মাহাদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। এছাড়া টিউবওয়েল প্রতীকে হাদিস মীর ৮ হাজার ৯১৮ ও উড়োজাহাজ প্রতীকে মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী হাস প্রতীকে নেহার বেগম পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৮ ও ফুটবল প্রতীকে মারিয়া আক্তার ১০ হাজার ৩২২ ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৪৫ ভোট। এছাড়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ফিরোজ আলম খান পেয়েছেন ১ হাজার ৫১ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীকে শাহবাজ মিঞা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



এ বছর নজরুল পদক পাচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

নজরুল পদক-২০২৪ এর জন্য মনোনীত চারজনের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ রবিবার (১৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীলতার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনে তাঁর অবাধ পদচারণা। বহুমাত্রিক এই সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব মৌলিক প্রতিভায় যা রচনা করে গেছেন তা আজও তুলনা রহিত। রহস্যঘেরা রচনাশৈলী পাঠককে শুধু বিস্মিতই করে না- করে তোলে অনুসন্ধিৎসু। নজরুলের এই রহস্যঘেরা রচনাশৈলী ও অনন্য সৃষ্টিশীলতা নিয়ে গবেষণা ও তার এই সৃষ্টিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বিভিন্ন গুণীজনদের নজরুল পদক প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর নজরুল সংগীতে সঙ্গীতশিল্পী ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবং নজরুল গবেষণায় ড. গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ নজরুল পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বেগম ডালিয়া নওশিন একজন বাংলাদেশি নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা। এছাড়াও সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

অন্যদিকে, নজরুলসংগীতের নতুন নতুন শিল্পী তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন, কাজ করেছেন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। নজরুলসংগীতের শিক্ষক হিসেবে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছিলেন ২০ বছর, আর নজরুল একাডেমিতে ছয় বছর।

এ দিকে অনুপম হায়াৎ একজন বাংলাদেশী লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক এবং একাধারে তিনি একজন নজরুল গবেষক। কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ২০১২ সালে নজরুল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের উপর তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৯টি। পাশাপাশি ড. গুলশান আরা কাজী একজন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক। তিনি ইংরেজি ভাষায় তার লেখনীর মাধ্যমে নজরুলকে বিশ্বদরবারে প্রকাশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

পদক প্রদান বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামী ২ জুন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাদের হাতে আমরা পদক তুলে দিবো এবং এই পদক তুলে দেয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হবো।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৪,২৫ ও ২৬ মে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর