আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ডলারের উচ্চমূল্যের পরও ২৫০ কোটি টাকা মুনাফা ওয়ালটনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস বইছে। ব্যাপক মুনাফায় রয়েছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২২ - মার্চ ২০২৩) কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.২৫ টাকা। কোম্পনিটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসিকে বড় অংকের মুনাফা বিসর্জন দিতে হয়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৩৯২.৭৪ কোটি টাকা। যা পূর্বের বছরের একই সময়ে ছিলো মাত্র ৪৪.১৮ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা, যা পূর্বের বছরের একই সময়ে ছিলো মাত্র ১৪৯.৬০ কোটি টাকা। ফলে ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস বইলেও কোম্পনির মুনাফার বড় অংশ গেছে ডলারের পেটে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার ওমর ফারুক রিপন জানান, ডলারের দাম না বাড়লে এই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হতো প্রায় ৬২২ কোটি টাকা। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হতো প্রায় ২১ টাকা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের দাম ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় মূল্যে। গত এক বছরে দেশে ব্যাংক খাতে ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় ওঠে। যারফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি বড় অংকের মুনাফা হারায়। অনেক কোম্পানি লোকসানে চলে যায়। কিন্তু নানান উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ায় সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও মুনাফার ধারা ধরে রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (তৃতীয় প্রান্তিক) ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২২৪.৫৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন সহ ৩২৭.৮৪ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৩.৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫০.৪৯ গুণ বেশি। একই সঙ্গে ২০২২ সালের মার্চ সমাপনীর তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চ সমাপনীতে মোট ব্যাংক ঋণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের জুন হতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির ঋণ হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, মজুদপণ্যের উপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং রিসিভেবলস্ এর উন্নতি করার সাথে কোম্পানির সকল খরচ এর উপর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিকন্তু সরবরাহকারী ও অন্যান্যদের পেমেন্ট বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমায় ইতিবাচক এনওসিএফপিএস অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু ওয়ালটন দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান, সেহেতু চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গরম এবং দুই ঈদে এ সময়ে দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি অনেকগুণ বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায় স্বস্তি¡র সুবাতাস আনছে ওয়ালটন।

নিউজ ট্যাগ: ওয়ালটন

আরও খবর



বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে ‘বিনা ধান-২৫’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েবিনা ধান-২৫এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। কম সময়ে ধানের বাম্পার ফলনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বোরো জাতেরবিনা ধান-২৫ বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে ধান চাষাবাদে চিকন চাল আমদানি কমাতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামেবিনা ধান-২৫জাতের প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের শীষে সোনালি আভা। সবগুলো ধানের গোচা সোজা সারি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ধান গাছের প্রতি শীষে ধরে আছে চিকন ধান। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। দুই একর জমিতে জামালপুর গ্রামের বাবুল কান্তি মজুমদার, পলাশ দত্ত, রাজু মজুমদার, সুমন চন্দ্র দে কমল কান্তি দে পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবেবিনা ধান-২৫চাষ করেছেন। ধানের ফলন দেখে তাদের মুখে হাসি দেখা গেছে।

কৃষক পলাশ দত্ত বলেন, ‘আমরা কৃষি প্রণোদনা পেয়ে দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলক বিনা-২৫ ধানের আবাদ করেছি। এই প্রথম নতুন জাতের চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান গাছের শিষ প্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০টি ধান ধরেছে। অন্য জাতের তুলনায় জাতে শীষ প্রতি ধানের পরিমাণও বেশি। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় বেশি লাভের আশাবাদী আমরা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার প্রযুক্তি প্রদর্শনী (বোরো) ‘বিনা ধান-২৫আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে জাতের ধানের প্রদর্শনী করা হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে পার্টনারশিপে একাধিক কৃষককে একর জমির জন্য ২০ কেজি করে মাদার সিড দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক আবাদে এবার সুবিধাভোগী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছিল।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. এমরানুল হক বলেন, ‘জামালপুর গ্রামের পাঁচজন কৃষক পরীক্ষামূলকবিনা ধান-২৫প্রদর্শনী দেখে এখানকার অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবারে বাম্পার ফলন এবং বাসমতি চালের বিকল্প ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় অনেক চাষি ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিনা ধান-২৫জাতটি মিরসরাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং সুগন্ধি। ধানটি দেশে বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে। কৃষিকে বহুমুখীকরণ কৃষকদের ভালো লাভের মাধ্যমে কৃষিকাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে ভোগানোর পর কয়েক দিন মাঝেমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১০৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর; ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনসাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। ১১৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইসরাইলের তেল আবিব।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ার দখলের ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২১মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ও আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল কাদের (মোটরসাইকেল) প্রতীকে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তবে তিনজনের এগিয়ে রয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রানীশংকৈল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী (টিয়া পাখি), সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (টিউবওয়েল), কৃষক লীগের সভাপতি বাবর আলী (চশমা), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্র নাথ রায় (তালা) প্রতীক ও শেফালী বেগম (পদ্ম ফুল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল (কলস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন (ফুটবল) ও শারমিন আক্তার (হাস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করেছেন।

এব্যাপারে হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে হযরত আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটাররা মনে করছেন রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে ঘোড়া প্রতীকের আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল কাদের। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২৮১ ও মহিলা ৮৯ হাজার ১১০ জন। আর ভোট কেন্দ্রে ৬৬ টি।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার নিরীক্ষিত ও সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে এ ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে ওইদিন সকালে প্রতাশিত প্রথম ফলাফলে ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে সন্ধ্যায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটির কারণে সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত করে অধিদপ্তর।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)-এর ফলাফল ২১ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩৮,০১,০০০০,১৪৩.১১,০১১,২০২৩-২০৫ নম্বর স্মারকে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে ২৯ মার্চ এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সংশোধিত ফলাফল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।


আরও খবর