আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ডিজিটাল প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

ভয়ঙ্কর সব প্রতারণা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যাও। বদলাচ্ছে প্রতারণার ধরন। প্রতারকরা নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করছে মানুষকে।

সম্প্রতি মোনার্ক (monarch.compan) নামের দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি দেশজুড়ে ডিজিটাল প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতেছে। ইউনাইটেড টোকেন নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তাদের পকেটে নিয়েছে। যদিও মোনার্কের বাংলাদেশে এ বাণিজ্যের কোনো বৈধতা নেই। এমনকি এখানে তাদের কোনো অফিসও নেই। অবশ্য অফিস না থাকা এবং এদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের বৈধতা না থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদের নেতৃত্বে একটি চক্র মোনার্কের এজেন্ট হিসেবে দেশজুড়ে প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতেছেন। চক্রের প্রথমসারির অন্য দুই সদস্য- রিপন আহম্মেদ ও কালাম। এছাড়া তাদের সাথে রয়েছে মনির হোসেন নামে একজন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছে বলে জানা যায়।

তারা এমএলএম ব্যবসার আদলে দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করছে। বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের দ্বিগুণ, তিনগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অভিজাত রেস্তোরাঁয় নিয়ে সেমিনারের মাধ্যমে ব্যবসার পলিসি দেখিয়ে আকৃষ্ট করছে। এমন কয়েকটি সেমিনারের ভিডিও ফুটেজ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

ওই ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর মোনার্কের প্রতিনিধি মার্টিন কারুস দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসে। ওইদিন থেকে তিনি ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভিন্ন অভিজাত রেস্তোরাঁয় সেমিনার করে কয়েকশ মানুষকে তাদের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা তাদের পকেটে নিয়েছে। এসব টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হচ্ছে। মোনার্কের ডিজিটাল ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যে যুক্ত হতে তারা ২৫০ ইউরো থেকে সাড়ে ১২ হাজার ইউরো পর্যন্ত কয়েকটি প্যাকেজে ইউনাইটেড টোকেন কেনার অফার দিচ্ছেন। কেউ লগ্নি করতে আগ্রহী হলে তার কাছ থেকে সমপরিমাণ টাকা নগদ পেমেন্ট নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট অ্যাপে একটি আইডি খুলে দেয়া হয় এবং তাদের একটি ইন্টারন্যাশনাল ভিসাকার্ড দেয়াসহ ওই কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো লেনদেন করা সম্ভব বলে প্রলোভন দেয়া হয়। এমনকি সাড়ে ১২ হাজার ইউরোর ইউনাইটেড টোকেন কিনলে সাথে সাথে তার ওই অ্যাপে তার আইডিতে ৩০ হাজার ইউরো ব্যালেন্স চলে আসে। যা দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয়ের প্রলোভন দেখানো হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ইউনাইটেড টোকেন কেনাবেচা চলে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে। নির্দিষ্ট এক্সচেঞ্জে ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ইউনাইটেড টোকেন কিনতে হয়, সেখানেই তা জমা থাকে। ওয়ালেটের আইডি এবং পাসওয়ার্ড থাকে, যা ব্যবহার করে তা খুলতে হয়। ওই মুদ্রা বিক্রি করতে হলে ক্রেতাকে ডিজিটাল চাবি (আইডি ও পাসওয়ার্ড) জানাতে হয় বিক্রেতাকে। তবে লগ্নি করার একমাস পর ছাড়া ওই টোকেন বিক্রি করার সুযোগ নেই। এছাড়া ইউনাইটেড টোকেনের কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও নেই। তাই এতে লগ্নি করে অর্থ মার গেলে কারো কাছে অভিযোগ জানানো যায় না।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নিজের পরিচয় গোপন রেখে গত মঙ্গলবার এ প্রতিবেদক প্রথমে কথা বলেন প্রতারক চক্রের সদস্য মোনার্কের বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিপন আহম্মেদের সঙ্গে। এসময় মোনার্কের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি পর দিন বুধবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আমন্ত্রণ করেন এবং সেখানে বিজনেস পলিসি নিয়ে কথা হবে বলে জানান। তার আমন্ত্রণে গত বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলের ৩২৭নং কক্ষে কথা হয় মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ ও বাংলাদেশে অবস্থানরত দুবাই থেকে আসা মার্টিন কারুসের সাথে। এ সময় তাদের সঙ্গে আলাপকালে অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির অফিস না থাকা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের বৈধতা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্যবসায় লাভ করতে হলে ঝুঁকি থাকবেই, এটা জেনে-বুঝে এখানে লগ্নি করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা লগ্নি করতে কাউকে বাধ্য করছি না।

মোবাইলফোনে কথা হয় মনির হোসেনের সাথে, তিনিও অকপটে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এখনো তার কোনো বৈধতা নেই। আপনি একজন আইনজীবী অথচ আপনার সম্পৃক্ততায় চক্রটি অবৈধভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে  বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখবেন- এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানী ঢাকায় ছয়টি মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেছে। সবশেষ ১১ অক্টোবর আরেকটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন। আর ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের চারটি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন কয়েকজন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আইনে ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশি-বিদেশি কোনো অ্যাপের মাধ্যমেই ভার্চুয়াল লেনদেন করা যাবে না। তবে বাংলাদেশের অনেকে ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এমন চারটি মামলার বিচার চলমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে অনেকে দেশ থেকে অর্থপাচার করছেন। ইতিমধ্যেই তারা চারটি চক্রকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সবশেষ প্রজ্ঞাপন বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা যাবে না। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। সুতরাং এই মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃতও নয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক, বীমা বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে ই-ট্রানজেকশন করা অপরাধ। এই অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের অভিযোগে ১০ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরা থেকে গোলাম কিবরিয়া এবং এস এম আরিফুল বারী ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি বলছে, কয়েক বছর ধরে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



এ বছর নজরুল পদক পাচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

নজরুল পদক-২০২৪ এর জন্য মনোনীত চারজনের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ রবিবার (১৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীলতার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনে তাঁর অবাধ পদচারণা। বহুমাত্রিক এই সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব মৌলিক প্রতিভায় যা রচনা করে গেছেন তা আজও তুলনা রহিত। রহস্যঘেরা রচনাশৈলী পাঠককে শুধু বিস্মিতই করে না- করে তোলে অনুসন্ধিৎসু। নজরুলের এই রহস্যঘেরা রচনাশৈলী ও অনন্য সৃষ্টিশীলতা নিয়ে গবেষণা ও তার এই সৃষ্টিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বিভিন্ন গুণীজনদের নজরুল পদক প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর নজরুল সংগীতে সঙ্গীতশিল্পী ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবং নজরুল গবেষণায় ড. গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ নজরুল পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বেগম ডালিয়া নওশিন একজন বাংলাদেশি নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা। এছাড়াও সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

অন্যদিকে, নজরুলসংগীতের নতুন নতুন শিল্পী তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন, কাজ করেছেন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। নজরুলসংগীতের শিক্ষক হিসেবে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছিলেন ২০ বছর, আর নজরুল একাডেমিতে ছয় বছর।

এ দিকে অনুপম হায়াৎ একজন বাংলাদেশী লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক এবং একাধারে তিনি একজন নজরুল গবেষক। কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ২০১২ সালে নজরুল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের উপর তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৯টি। পাশাপাশি ড. গুলশান আরা কাজী একজন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক। তিনি ইংরেজি ভাষায় তার লেখনীর মাধ্যমে নজরুলকে বিশ্বদরবারে প্রকাশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

পদক প্রদান বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামী ২ জুন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাদের হাতে আমরা পদক তুলে দিবো এবং এই পদক তুলে দেয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হবো।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৪,২৫ ও ২৬ মে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



পাকিস্তানে বাস উল্টে নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নারীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। শুক্রবার (৩ মে) ভোরে দেশটির গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি কারাকোরাম হাইওয়েতে বাক নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের সম্ভাব্য সকল চিকিৎসা’ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



খারকিভে রুশ হামলা: নিহত ৩, আহত ২৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বোমা হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা বাহিনী। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মে) এই হামলা হয়েছে। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ইহর তেরেখভ।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অঞ্চলটির বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

শহরটিকে রাশিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনে ২৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর