আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দেশের ভিতর ঘোরাঘুরির সেরা ১০ স্থান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার : কক্সবাজারে বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও আরও অনেক কিছু করার আছে। যেমনপ্যারাসেইলিং, ঘোড়ায় চড়া, বিচ বাইকিং, ওয়াটার বাইকিং। তা ছাড়া সৈকতে ঘণ্টায় ৩০ টাকায় চেয়ার ভাড়া করে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারের আগে চাইলে সেরে ফেলতে পারেন ট্রাভেল বীমা।

যাওয়ার সেরা সময় : নিঃসন্দেহে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি। শীত শীত এ সময়ে সমুদ্র থাকে শান্ত। পরিবেশটাও চমৎকার। তবে হোটেলগুলোর ভাড়াও পড়বে তুনামূলক বেশি।

 

সেন্টমার্টিন : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন নীলাভ জল ধরে। সমুদ্রে যাবেন আর জলে ঝাঁপাঝাঁপি করবেন না, তা কি হয়? তাই সেন্টমার্টিনের নীল পানিতে সুইমিং করতে মোটেও ভুলবেন না। তবে অবশ্যই জেনে নেবেন সাঁতারের নিরাপদ স্পটগুলো। কাছেই ছেঁড়া দ্বীপ নামে আরও একটি ছোট দ্বীপ আছে। সেখানে গিয়ে বোট রাইডিং করতে পারেন। তবে যে জিনিসটি একদম মিস করবেন না তা হলো স্কুবা ড্রাইভিং। আর সেন্টমার্টিনের লোকাল খাবারের স্বাদ তো নিতেই হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে জমে ওঠে সেখানকার লোকাল বাজারগুলো।

যাওয়ার সেরা সময় : সেন্টমার্টিন যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সময়টা এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

 

শ্রীমঙ্গল : চায়ের রাজধানীতে যাবেন আর চা খাবেন না, তা কী হয়। তাই শ্রীমঙ্গল গেলে সেখানকার সাত রঙের চায়ের স্বাদটি কমবেশি সবাই নিয়ে থাকেন। বোট রাইডের মাধ্যমে মাধবপুর লেক ও বাইক্কা বিল ঘুরে দেখতে পারেন। চাইলে দুর্দান্ত একটা ভ্রমণ শেষে হাম হাম ঝরনায় গোসল সারতে পারেন। লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এবং রেমা কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট দুটি ঘুরে দেখতে পারেন। তবে কোনো গাইড ছাড়া জঙ্গলের খুব বেশি ভেতরে না যাওয়াই ভালো।

যাওয়ার সেরা সময় : শ্রীমঙ্গল ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। এ সময় বর্ষাকাল থাকে। আর বর্ষাতেই চা বাগানের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। অবশ্য শীতেও বনভূমির সৌন্দর্যটা কম নয়।

 

সুন্দরবন : সুন্দরবনে প্রায় চার-পাঁচটি অভয়ারণ্য রয়েছে। বনের ভেতর দিয়ে অনেক মোহনা ও খাল বয়ে গেছে। সকালে এগুলোর মধ্য দিয়ে নৌকা ভ্রমণ আনন্দদায়ক অ্যাডভেঞ্চার হতে পারে। সুন্দরবনের ভেতরটা শান্তিপূর্ণ এবং নির্মল। জামতলা সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে পারেন। জামতলা সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সৈকতের তুলনায় খালি, পরিষ্কার ও শান্ত থাকে।

যাওয়ার সেরা সময় : এখানে ভ্রমণের সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এ সময় সেখানকার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে তাই এ পর্যটন স্থানটি দর্শনের সঠিক সময় এটি।

 

বান্দরবান : বান্দরবানে অসংখ্য ট্যুরিস্ট স্পট থাকায় অনেক কিছুই করা সম্ভব। বগা লেকে বোট রাইডিং, কেওক্রাডাংয়ে হাইকিং, আশপাশে ঘুরে দেখা এবং ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি জলকেলিতে মেতে উঠতে পারেন। বান্দরবান যেহেতু পাহাড়ি অঞ্চল তাই ঘোরাঘুরির পাশাপাশি হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বান্দরবান যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এ সময় অবশ্য জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি থাকে। যা বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই কমে যায় এবং ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতেও ভিড় অনেক কম থাকে।

 

রাঙামাটি : রাঙামাটিতে যখনই যান না কেন, কাপ্তাই লেকে কায়াকিং একদম মিস করবেন না। এ ছাড়া শেখ রাসেল ইকো পার্কে কেবল রাইড, রাজবন বিহার প্যাগোডা, শুভলং জলপ্রপাতের সৌন্দর্যটাও উপভোগ করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ এ সময় ঠান্ডা মৌসুম থাকে। রাঙামাটি যেহেতু পাহাড়ি এলাকা তাই বর্ষাকালে সেখানকার রাস্তাঘাট বন্ধ থাকে। যার কারণে সে সময় সেখানকার লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

 

কুয়াকাটা : কুয়াকাটার মূল আকর্ষণ সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। কোনোটাই মিস করবেন না। এ ছাড়া আশপাশে অবস্থিত জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বছরের যে কোনো সময় কুয়াকাটা ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে বেশি ভালো লাগে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সমুদ্রের ঢেউ মোটামুটিভাবে সৈকতে আছড়ে পড়ে। তাই আপনি যদি কুয়াকাটার প্রশান্তি উপভোগ করতে চান, তাহলে শীতকালে কুয়াকাটা ভ্রমণের পরিকল্পনা করা উচিত।

 

সাজেক : সাজেক ভ্যালি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন। তা ছাড়া রিসাং জলপ্রপাতের মধ্য দিয়ে ট্র্যাক, রহস্যময় আলুটিলা গুহা এবং পাহাড়ের চূড়া থেকে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য পেতে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত যেতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকালে সাজেকের রিসোর্টগুলোর ভাড়া কম থাকে। তাই আপনি যদি অল্প খরচে সাজের ভ্রমণ করতে চান তাহলে শীতকাল বেছে নিন। যেমন নভেম্বরের মাঝামাঝি।

 

পতেঙ্গা সি-বিচ : কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় পতেঙ্গায় সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই সুন্দর। বিশেষ করে বিকেলে এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা এবং সন্ধ্যার সময়টা খুবই উপভোগ্য। পতেঙ্গায় স্পিডবোটে চড়ে সাগরে ঘুরে বেড়ানো এক দারুণ মুহূর্ত তৈরি করে। বার্মিজ মার্কেট থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। পাশাপাশি সব জায়গায় খাওয়ার জন্য রয়েছে সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড। চাইলে সেসবের স্বাদও নিতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকাল পতেঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার সেরা সময়। এ সময় চাইলে পরিবার সঙ্গে নিয়ে সেখানে পিকনিক করতে পারেন।

 

চন্দ্রনাথ পাহাড় : চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি মন্দির। হাইকিং শেষে সুন্দর এ মন্দিরটি দর্শন করতে পারেন। মন্দিরের পাশেই ছোট টং দোকান আছে। সেগুলোতে হালকা খাবার পাওয়া যায়, তবে ভালো হয় ওঠার সময় সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি ও কিছু শুকনো খাবার রাখলে।

যাওয়ার সেরা সময় : বর্ষা মৌসুম বাদে যে কোনো সময় যেতে পারেন। তবে গ্রীষ্মকালে গরমের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: সেন্টমার্টিন

আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর



সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।


আরও খবর



আবারও ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার হলেন সাইদা মুনা তাসনিম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন থেকে ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেয়েছেন। লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল হাইকমিশনারের হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেন। শনিবার যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয় ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন। কূটনীতিতে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই প্রতিযোগিতায় লন্ডনে ১৮০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকরা মনোনয়ন ও ভোট দিয়ে থাকেন। হাইকমিশনার তাসনিম কূটনীতিতে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

২০২৩ সালে হাইকমিশনার তাসনিম লন্ডনে উইমেন ডিপ্লোম্যাসি নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১৩৩তম অ্যাসেম্বলির নির্বাচিত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।


আরও খবর



শরীফার গল্প ফেরাতে প্রতিবাদ করবে উদীচী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা শরিফ-শরীফার গল্প বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সংগঠনের প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সম্পাদক কংকন নাগ এ তথ্য জানান।

এ সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার (১৮ মে) বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে উদীচী।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গল্পটিতে পরিবর্তন আনা হলে তা পক্ষান্তরে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল হবে।


আরও খবর