আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

চরফ্যাশনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মো. কালু খাঁ(৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর ২০ যাত্রী। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। নিহত কালু খা ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে চরফ্যাশন-দক্ষিণ আইচা সড়কের কাশেমগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ২০ যাত্রী চরফ্যাশন ও ভোলার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বলে জানাগেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, সোমবার সকালে প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে যাত্রবাহী বাসটি দক্ষিণ আইচা থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।ওই চরফ্যাশন- দক্ষিণ আইচা সড়কের কাশেমগঞ্জ এলাকায় এলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এসময় দুর্ঘটানা কবলিত বাসের মধ্যে আটকে পড়ে মোঃ কালু খাঁ নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন। বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে অপর ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

চরফ্যাশন থানার ওসি মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালতে। ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ১২ জুরির উপস্থিতিতে আদালত ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা। এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী হয়ে সাজা পেতে যাচ্ছেন। আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চান আগামী ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাঁকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।

৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।

এমন সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো, যার কয়েক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে মামলার রায়ের কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধা আসবে না।

অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি অপমানজনক। এটি একটা সাজানো মামলা, যেটি পরিচালনা করেছেন একজন দুর্নীতিবাজ বিচারক। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তাঁর জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।


আরও খবর



পিরোজপুরে নির্মিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জেলা সার্কিট হাউজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা শহর পিরোজপুরে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শনের একটি সার্কিট হাউজ অচীরেই নির্মিত হতে যাচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এর তত্ত্বাবধানে এ জেলা সার্কিট হাউজটির নির্মাণ কাজ ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে। ৬ তলা বিশিষ্ট এ সার্কিট হাউজে ৬টি অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধায় সুসজ্জ্বিত ভিভিআইপি শয়ন কক্ষ, ৮টি সুসজ্জ্বিত ভিআইপি শয়ন কক্ষ এবং ১৪টি শয়ন কক্ষ থাকবে। ১টি হাই ক্যাপাসিটির লিফটসহ মোট ৩টি লিফট ৬ তলা পর্যন্ত চলাচল করবে। ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের জন্য ১৬ সিটের ১টি অত্যাধুনিক ডাইনিং রুম এবং ৭০ সিটের অপর ১টি ডাইনিং রুমও থাকবে এ জেলা সার্কিট হাউজে।

এছাড়া ২টি সম্মেলন কক্ষ থাকবে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত। জিমসহ শরীর চর্চারও সব ধরনের সুব্যবস্থা থাকবে এ ভবনে। এ ভবনে ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব সিসি ব্লক লাগানো হবে। আরসিসি ফ্রেমও ব্যবহার করা হবে এ ভবন নির্মাণে। ভিভিআইপি ও ভিআইপি রুমে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলিং সিস্টেমও তৈরী থাকবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধার্থে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সকল সুযোগ সুবিধা এ অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবনে স্থাপন করা হবে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন বিভিন্ন কারণে দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এইটি। ৪০ বছর পূর্বে নির্মিত সার্কিট হাউজে ভিভিআইপিদের থাকার সুব্যবস্থা নেই এবং সম্মেলন কক্ষ, ডাইনিং কক্ষসহ পুরো ভবনটি এখন অনেকটাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে একটি অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মিত হতে যাচ্ছে শুনে এ জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি আনন্দিত।

গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ সৈকত জানান, ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ১টি দৃষ্টিনন্দন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে গণপূর্ত বিভাগ গত মাসে বিচার বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ জেলা সার্কিট হাউজ ভবনটির নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ করে জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

পিরোজপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান জানান পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন এ অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।  


আরও খবর



এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক ফর এনাবলিং রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট: অ্যা গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল পারস্পেকটিভ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ (আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড) নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত বলবে। আমরা মিশনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছি। মিশন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ নিয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি দুঃখজনক। যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, সেহেতু এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয় নয়।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে আইনের অধীনে তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা তো দুর্নীতির কারণে। এটি তার ব্যক্তিগত দায়। এটি তো কোনও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় নয়।


আরও খবর



দস্যুতা না ছাড়লে কাউকে ক্ষমা করা হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দস্যুদের যারা এ পেশা ত্যাগ করবেন না তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র‍্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। অনেকের অঙ্গহানিও হয়েছে। তাই আমরা যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করছে। জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা র‍্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সিকিউরিটির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরাও তাদের বাধ্য করেন এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র‍্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র‍্যাবকে টাস্ক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‍্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়। দস্যুরা যাতে আর সে কাজে ফিরতে না পারে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আজ তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কেউ ব্যবসা করছে বা অন্য কাজ করছে। পাবনায় ৬০০ ও সিরাজগঞ্জে ৩০০ এর অধিক চরমপন্থি গ্রুপের নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরও সরকার সহযোগিতা করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ও খুনের মামলা আছে তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করা হবে না। অন্য মামলাগুলো থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আত্মসমর্পণের পর আমরা দস্যুদের দিকে খেয়াল রাখছি। যদি তারা পুনরায় আগের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের কথার বরখেলাপ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। আজকে যারা আত্মসমর্পণ করছেন সবাইকে আমি স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানাই। এর আগে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হওয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করছি। সুন্দরবন থেকে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পেশার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম র‍্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।

র‍্যাব জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রাম ইউনিটের উদ্যোগে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এটি অন্যান্য জলদস্যুদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একপর্যায়ে চট্টগ্রামে বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম র‍্যাব তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।


আরও খবর



পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট পিটিশন দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট দায়ের করেন।

সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিনদিন কমছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিটে নিম্ন নির্দেশনাগুলো চাওয়া হয়েছে

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিট পিটিশনাররা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন- সচিব, কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।


আরও খবর