আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘চিড়িয়াখানায় কোন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না’

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান চিড়িয়াখানায় কোন রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা জানান।

আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড় এগারোটা পর্যন্ত মন্ত্রী চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রাণির খাঁচা, প্রাণি চিকিৎসা কেন্দ্র, ঔষধ সংরক্ষণ স্থান পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন প্রাণিদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের খাবার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অবহিত হন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, "বাংলাদেশের মানুষের বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার আধুনিকায়ন করে সিঙ্গাপুর, দুবাই এর মানে উন্নীত করার জন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান করছি। ইতোমধ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের প্ল্যান আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। এ প্ল্যানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হবে"।

তিনি আরো বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে অবন্তিকা ও দুর্জয় নামে দুটি বাঘ শাবক, জেব্রা, জিরাফ শাবক, আফ্রিকান সিংহ, ইম্পালা,ওয়াইল্ড বিস্ট জাতীয় চিড়িয়াখানায় এবং রংপুর চিড়িয়াখানায় আরো একটি প্রাণি মারা গেছে। এসব প্রাণি কারো কর্তব্যে অবহেলা নাকি রোগ সংক্রমণে মারা গেছে, এ বিষয়গুলো দেখা ও বোঝার জন্য ইতোমধ্যে তাদের পোস্ট মর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, দুই দফা তদন্ত করা হয়েছে। আরো কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তদন্তের জন্য পুনরায় আদেশ দেওয়া হয়েছে। চিড়খানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত অথবা যারা খাবার সরবরাহ করে বা এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের দায়িত্বে গাফিলতি, অসহযোগিতা, অযোগ্যতা আছে কিনা, পশু চিকিৎসায় ভেটেরিনারি ডাক্তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে কিনা, অসুস্থ প্রাণির চিকিৎসা যথাসময়ে হয়েছে কিনা, অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন ঘাটতি আছে কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য আমরা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছি"।

চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি জন্ম নেয়া নতুন দুটি বাঘ শাবকের নিরাপত্তা ও জীবাণু থেকে সুরক্ষায় মাছি বা অন্য কোন প্রাণি যাতে বাঘের খাঁচায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, "চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিত না করে বাস্তবে কি অবস্থা আছে, স্বাভাবিকভাবে প্রাণিরা কি অবস্থায় থাকে সেটা দেখার জন্য আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছি। খাবার সরবরাহকারী যথাসময়ে খাবার সরবরাহ করছে কিনা, সরবরাহকৃত খাবার সঠিক পরিমাণে দেয়া হচ্ছে কিনা, খাবারের মান কেমন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে যথাসময়ে প্রবেশ করছে কিনা, বিভিন্ন খাঁচায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, ডাক্তার ও সুপারভাইজার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পর কারো গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা বা অযোগ্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে"।

চিড়িয়াখানার সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সময় মন্ত্রী বলেন, "পূর্বের চেয়ে চিড়িয়াখানায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন আরও দরকার। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা আরো দরকার। যেহেতু বিষয়গুলো তদন্তাধীন এজন্য এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত ব্যক্ত করা সঠিক হবে না"

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "চিড়িয়াখানার সব বিষয় আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছি। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সেগুলো উঠে আসবে। প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত না হয়ে থাকলে কেন এটা হয়নি তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের বহন করতে হবে। যে সকল প্রাণীর খাঁচার পরিবেশ আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন সেগুলো কেন করা হয়নি সে বিষয়গুলোও আমরা দেখছি। এখানে একটি প্রাণী তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছে। তারপরও তার পোস্টমর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এনেছি। রিপোর্টে সংক্রমণের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তৃতীয় রিপোর্ট আনা হবে এবং তাতেও আমরা সন্তুষ্ট না হলে প্রয়োজনে দেশের বাইরে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, চিড়িয়াখানার মতো প্রতিষ্ঠান আধুনিকীকরণ ও টেকসই করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে দেশের বাইরে পাঠিয়ে রিপোর্ট আনতে হবে। বাস্তবে খাবারের কোন ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা অথবা এমন কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়েছে যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, এ সামগ্রিক বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসার পর আমরা বিবেচনা করবো"।

"এক প্রাণি থেকে অন্য প্রাণিতে রোগ সংক্রমণ যাতে না হয় সে জন্য অভ্যন্তরীণভাবে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রোগ সংক্রমণের বিষয়ে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা ও বাড়তি চেকআপের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রাণিদের খাবার দেবার ব্যাপারেও আমরা অতীতের চেয়ে সতর্ক। পুষ্টিসম্মত ও জীবাণুমুক্ত খাবার দেয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া যাতে চিড়িয়াখানায় আর কোনো খাবার না ঢুকে সে ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি।"-যোগ করেন মন্ত্রী।

জনবল সংকট নিরসনে শিগগিরই অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের বিষয়েও জানান মন্ত্রী।

চিড়িয়াখানার যেকোন বিষয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আনার জন্য এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।


আরও খবর



তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজুক প্রাণে বজ্রভেরী/অকূল প্রাণের সে উৎসবে স্লোগান ধারণ করে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নান্ত সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা আয়োজনে এই উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের রবীন্দ্রশিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটেছে।

১৬৩তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনেই ছিল জমকালো উদ্বোধন। অতীতের সব আয়োজন ছাপিয়ে এবারের ৩৫তম আসর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।  কারণ উৎসব জুড়ে রয়েছে দুজন কিংবদন্তি। এদের একজন হলেন, কলিম শরাফী, অন্যজন সাদি মহম্মদ। উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয় কলিম শরাফীর শততম জন্মদিন। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে অকাল প্রয়াত সাদি মহম্মদ স্মরণে।

নাচ-গান-আবৃত্তিতে মোড়ানো জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি হবে তিন দিনের অনুষ্ঠানে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবারের আয়োজনে দেড় শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনের উৎসবটি সাজানো হয়েছে চারটি অধিবেশনে। যেখানে অংশ নিচ্ছেন বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি সংস্থার নিয়মিত শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পর্যায়ের গান ও কবিতা। আছে দলীয় নৃত্য। আছে জনপ্রিয় বাকশিল্পীদের পরিবেশনা রাবীন্দ্রিক পরিবেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লবিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে উৎসবের। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্যানন্দের শিল্পীরা পরিবেশন করে বৃন্দ নৃত্য। নৃত্যের সঙ্গে সমবেত সঙ্গীত  আকাশ ভরা সূর্য তারাবিপুল তরঙ্গ রে পরিবেশন করে সংস্থার শিল্পীরা। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় মিলনায়তনে। সন্ধ্যায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতজন রামেন্দু মজুমদার। দুই গুণী কলিম শরাফী ও সাদি মহম্মদ সম্পর্কে আলোচনা করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহ সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও লেখক-আলোকচিত্রী এম এ তাহের। স্বাগতকথনে অংশ নেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

 উৎসব সম্পর্কে চুম্বকীয় অংশতুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ। এদিন মিলনায়তনের বাইরে বৃন্দ নাচ ও গান শেষে মূল মঞ্চে ঐতিহ্য মেনে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। এর পর পরিবেশন করা হয় বেদ শ্লোক গচ্ছধ্বং সং বদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্। এর আগে লবীতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো হয়। এই পর্বে সমবেত গান আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর  হে নূতন দেখা দিক আর-বার পরিবেশন করা হয়।

 পরে উদ্বোধনী কথনে অংশ নেন অতিথিরা। আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন শিল্পীরা ছিলেন রফিকুল আলম, চঞ্চল খান, জাফর আহমেদ, অনন্ত বাঁধন, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, মিলন দেব, সত্যম দেবনাথ, কুশল রায়, গায়ত্রী আচার্য্য, রবিউল হাসান, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, শর্মিলা চক্রবর্তী, বিলু সিদ্দিকী, ফারহানা খান পুরবী, মৌমিতা মমী, নেহরীন হুদা, রায়ান খালিদ  স্যান্দ্রা, রিদওয়ানা আফরিন সুমি, স্মৃতি কণা পাল, তাসনিতা মাহবুব নরিন, উৎপলা দাস পম্পা,  শবরী মজুমদার, ড. বর্ণালী চক্রবর্তী, সুস্মিত শাফি ইসলাম (খুলনা), ফারহানা রহমান কান্তা (ফরিদপুর) সহ আরো অনেকে।

শিল্পীদের কণ্ঠে  শোনা গেলো কেহ কারো মন বুঝে না, হার মানা হার, প্রথম আদি তব শাক্তি, সখী ভাবনারে কারে কয়, মহারাজ একী সাজে, তাই তোমার আনন্দ, সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, নয়ন তোমারে পায় না, লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ সহ আরু অনেক গান।

তিন দিনব্যাপী উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে। তাই উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল তারই অনুজ বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীশিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নীপার নেতৃত্বে ছিল নৃত্যাঞ্চলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবে সুরের ধারা, রবিরাগ, সঙ্গীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে একই স্থানে তৃতীয় অধিবেশনের সূচনা হবে সংস্থার রীতি অনুযায়ী দুটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এদিন সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করবেন ওই মহামানব আসেবৈশাখ হে, মৌনী তাপস,  কোন্ অতলের বাণী। তৃতীয় ও  কাল শনিবার বিকাল ৫টায় সমাপনী আয়োজন শুরম্ন হবে। থাকবে সংস্থার শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা।

সমাপনী অধিবেশনের সূচনা হবে পর পর জগৎজুড়ে উদার সুরে/আনন্দগান বাজেআলোকের এই ঝর্নাধারায় গানের মধ্য দিয়ে। পরে নিয়মিত পর্বে অংশ নেবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তিন দিনের আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবার এবং জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

রোববার (৫ মে) সকালে ভবনটি উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত প্যাথলজির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন সরকারপ্রধান। পরে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম-সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মাওলানা ভাসানীকে।

গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে। তখন থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, ফলে ভারত তার-মতো কাজ করে গেছে। একবারই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে যখন ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।

তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।

অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু'বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।


আরও খবর