আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নে কালিসীমা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, হারিছ মিয়া, বাবু, শাকিব, ফিরোজ মিয়া, সোহাগ মিয়া, হানিফ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, রোজিনা আক্তার, সিরাজ মিয়া ও নোয়াব মিয়া। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বার গ্রুপের দোলা গোষ্ঠীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি সিরাজ আলীর গোষ্ঠীর লোকজন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরের দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলায় উভয় পক্ষের দশজন আহতসহ বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুরের শিকার হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক ওসি অপারেশন মো: সোহেল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ঘটনা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

যশোরে মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে যায়।

আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩২ দিন ধরে চলা এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন কিছু এলাকায় স্থায়ী হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বুধবার অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত আগের মতই থাকবে।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী এসব এলাকায় আরও দুয়েকদিন পর বৃষ্টি হবে৷ ৩/৪ তারিখের পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে৷ তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে।

৫/৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়তির দিকে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


আরও খবর



বাড়ছে লবণাক্ততা, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবন ঘেষা কয়রা উপজেলার চারিদিকে নদ-নদীতে অথৈ পানি থাকার পরেও বিশুদ্ধ পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকার জনসাধারণ বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অনেকেই অতিমাত্রায় লবণ ও কাঁদাযুক্ত পুকুরের পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত জটিল রোগে।

লোনা পানিতে উপকূলের মানুষের জীবনটাই যেন লোনা হয়ে গেছে। পানি যখন সুপেয় না হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নানা অসুখ, নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মরণেরও কারণ। এখানে শুধু সুপেয় পানির অভাব এমনটাই নয়, পানিশূন্যতা, লবণাক্তসহ নানা চর্মরোগসহ দূর থেকে পানি আনায় শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিও আছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। বেশির ভাগ নারী লবণ পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারছেন। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো টিউবওয়েল বসানো যায় না। তারপরও যা আছে তা দিয়ে লবণ পানি ওঠে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি পানিও ধরে রাখা যায় না, পানি নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে।

২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক জরিপে দেশের উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ খাওয়ার পানির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। জরিপে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার ৭৩ শতাংশ মানুষকে অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করতে হয়।

কয়রা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুকুর ও জলাধার শুকিয়ে গেছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি কম উঠছে। ফলে সংকট বেড়েছে।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাধ্য হয়ে উপকূলের মানুষ পুকুরের পানি পান করে এ কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসে। লবণাক্ত পানি পানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করছে উপকূলের মানুষ, যা তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লবণাক্ত পানি পানের কারণে গর্ভবতী নারীদের কিডনি ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে মিঠাপানির পুকুরগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোতাসিম বিল্লাহ মনে করেন, উপকূলের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অপরিকল্পিত আর দায়সারা কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলছে না।


আরও খবর



পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধ চাকরিপ্রত্যাশীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা সহকারে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

এর আগে দুপুর ১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদর ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরতরা। সমাবেশ থেকে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।

তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর ধরে তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততধিক। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি।

পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, একদিনে ৩ প্রাণহানি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন।

বুধবার (১৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৬৪ ডেঙ্গুরোগী।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (১৫ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২১ জনের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে, পাঁচজন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ৫৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৫১ জন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে জানা যায়, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সব রেকর্ড এক হাজার ৭০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর