আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপিপন্থী ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৪ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপিপন্থী ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপাররিনটেনডেন্ট মো. রফিকুল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামালায় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলামসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের (আওয়ামীপন্থি) কক্ষ ভাঙচুর ও নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দুপুর দেড়টায় তারেক রহমানের ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের রায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে দুই পক্ষ আইনজীবী সমিতি ভবনে সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে মুখোমুখি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের কক্ষ ভাঙচুর ও নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বার সভাপতির কক্ষেরও নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল বলেন, বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা দায়ের করব।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগপন্থীরা এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা করেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আরও মারমুখী আচরণ করেন। তারা নিজেরাই সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।


আরও খবর



ইসরায়েলকে গাজায় অভিযানের ‘অজুহাত’ দিয়েছে হামাস : মাহমুদ আব্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম সামরিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি হামাসকেও দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আরব লীগের ৩৩তম সম্মেলন শুরু হয়েছে বাহরাইনের রাজধানী মানামায়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টও সেই সম্মেলনে গিয়েছেন। সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাহমুদ আব্বাস বলেন, হামাস সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, সেটিই আসলে ইসরায়েলকে গাজায় এই দীর্ঘ সামরিক অভিযানের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এবং শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করেছে। তাদের কাছে এই অভিযান ন্যায্য এবং এই ন্যায্যতার ভিত্তিও হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।

একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী। এর প্রধান কারণ ফাতাহ নিয়নতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের ভিত্তিতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে আর্থিক সহায়তা প্রদান কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফলে গত কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।

ধনী আরব রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। আরব অঞ্চলের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনের স্থিতিশীলতা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য এখন সহায়তা জরুরি।  আমি আরব লীগকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।'


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না।

বুধবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে পূবাইল থানা এলাকার মীরের বাজার চৌরাস্তার কামারগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত হোসেন মুন্না ময়মনসিংহ জেলার নান্দইল থানার রামগাতি খালপাড় গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি মিরপুর-১ লালকুটি তৃতীয় কলোনিতে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, মুন্না রোড ও ফ্লাইওভার প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সকালে মোটরসাইকেলে উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দেয়। এতে মুন্না গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর