আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাড়ে দূষণ কমে বাজেট!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে উন্নয়নে দৃশ্যচিত্রের উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে পবিবেশকে সুরক্ষা রাখার সক্ষমতা। প্রতি বছর উন্নয়নের জন্য সব খাতে বাজেট বাড়ানো হলেও বাজেট বাড়ে না পরিবেশ খাতে। অথচ দেশের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশ। প্রতি বছর পরিবেশ দূষণের কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কারণেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ থাকে দেশ। ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইপিআই) অনুযায়ী, বিশ্বের চরম ঝুঁকিপূর্ণ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল একেবারে তলানিতে অর্থাৎ ১৮০তম। অথচ এ অবস্থায়ও বিগত বছরগুলোতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কমেছে। প্রতি বছর বাজেটে পরিবেশকে গুরুত্বে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন দেশে এখনো পরিবেশকে মনে করা হয় ক্রসকাটিং বিষয়। কিন্তু সারা বিশ্বে পরিবেশ এখন একটা প্রধান বিবেচ্য বিষয়। পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে চিন্তা করার নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন, সেটি দেখা যেতে পারত বাজেট থেকে। বিগত বছরগুলোয় পরিবেশের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, তা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটের তুলনায় খুবই কম। পরিবেশের ক্ষতির কারণে আমাদের অর্থনীতিতে যে পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব আছে সেটা যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরো সক্ষমতা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শও দেন তারা।

বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচটি অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়লেও বরাদ্দ খুব একটা বাড়েনি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের। সবশেষ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের (২০২০-২০২১) চেয়ে ২৫ কোটি টাকা কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দ পেয়েছিল ১ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) এ বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে (২০১৭-২০১৮) তা ৭৩১ কোটি টাকা কমিয়ে করা হয় ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। তবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা করা হয়।

সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা যেন পরিবেশের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ও উৎপাদনে এ বরাদ্দের ৩০ ভাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি সবুজায়ন বাড়ানোর জন্য সারাদেশে ১০ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা যেতে পারে। পরিবেশ খাতের উন্নয়নের অন্যতম শর্তই হচ্ছে পর্যাপ্ত গবেষণাগার। যার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পারব ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।

কৃষির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব, তা থেকে উত্তরণ ও আগাম ফসল প্রস্তুতিতে বরাদ্দের অর্থ প্রয়োজন পড়বে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সারিতে অবস্থান। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিল্পায়ন বাড়লেও ছোট হয়ে আসছে নদ-নদী ও খাল-বিল। উজাড় হচ্ছে বনভূমি, দূষিত হচ্ছে বাতাস। বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রথম থেকে পঞ্চম সারিতে উঠানামা করছে। আবার কোনো সময় হুট করেই শীর্ষে চলে আসে। যা নগরীবাসীর জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, টেকসই পরিবেশ-বান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলো সঠিক মূল্যায়ন ও প্রয়োগ করা না গেলে সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মহলে।

আবদুল্লাহ আল নাঈম। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজও করছেন একটি পরিবেশ সংগঠনে। পরিবেশে বাজেট নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা এমনি একটি কাজ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক কিছু। এটি সুরক্ষায় সর্বদায় আমাদের সবাইকে সচেতন ও সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পরিবেশে যে বাজেট আমরা লক্ষ করছি সেটা পরিবেশের ক্ষেত্রে সেটা সামান্য। এটা দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় শতভাগ মনিটরিং করা হয়তো সম্ভব হয় না। আমরা চাই, সরকার এ বিষয়ে আরো জোরালোভাবে নজর দিক। এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ দূষণে সব কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, পরিবেশের বাজেট অবশ্যই বাড়ানো উচিত। বিগত সময়ে যখন বাজেট কম ছিল তখন পরিবেশে বাজেট হিসেবে ঠিক ছিল। মাঝেও বাজেট বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে যে বাজেট রয়েছে তার থেকে বাজেট বাড়লে মাঠ পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষায় মনিটরিংটা একটু বৃদ্ধি পাবে। আমরা সব সময়ই বলব, পরিবেশ রক্ষায় সর্বদায় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমাদের দেশে যখন বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ছিল তখন পরিবেশে বাজেটের পরিমাণ ভালো ছিল। এখন আবার সেটা লক্ষ করা যায় না। দিন দিন বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু পরিবেশের বাজেটের পরিমাণ বাড়ছে না। সবশেষ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ২০২১-২০২২ বাজেট কমেছে ২৫ কোটি। পরিবেশে বাজেট বাড়ানো খুবই জরুরি। পরিবেশের ভেতরে অন্যান্য জিনিসগুলো এমনভাবে দেয়া হচ্ছে যেগুলো আসলে পরিবেশের না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা অবকাঠামোর বরাদ্দকে পরিবেশে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, যথাযথভাবে যেন পরিবেশের জন্য টেকসই বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়।


আরও খবর
ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪

খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তাই এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তিভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর



সমালোচনার পর ফায়ার সার্ভিস বললো, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়নি’

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারের আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কোনো টোল দিতে হয়নি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। টোল দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও এটিকে গুজব বলেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঘটনার দিন টোল সংক্রান্ত কোনো বিলম্ব হয়নি বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। এছাড়া টোল দেওয়া সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিলম্বও আমাদের হয়নি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওইদিন প্রাইভেটকারে লাগা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে যেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার যে খবরটি ছড়িয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গুজব। এছাড়া টোল সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়নি ফায়ার সার্ভিসের। প্রাইভেটকারটি তেলে চালিত বলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুড়ে যায়।

টোল দেওয়ার সংবাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আগুন নির্বাপণে অংশ নেওয়া ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি, তাদের কোন ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার সংবাদটি মিথ্যা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওইদিন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়েছে। টোল দিতে গিয়ে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছে, এ কারণে যে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও খবর ছড়ায় যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না, তারা পরে বিকাশে টাকা এনে টোল দেয়। এতে করে অনেক সময়ক্ষেপণ হয় তাদের।

যদিও ফায়ার সার্ভিসের দাবি এসব তথ্য ভুয়া। তাদের কোনো টোল দিতে হয়নি এবং টোল সংক্রান্ত কোনো সময়ক্ষেপণ হয়নি তাদের।


আরও খবর



নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপি যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ করবে না জেনেই উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, এদেশে ভোট ও ভাতের লড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলেই এদেশে ভোটের রাজনীতির চর্চা করা হয়। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে মানুষের অধিকার হরণ করে। তারা শুধু মিধ্যাচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কাজেই তারা দল হিসেবে এখন মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে।

এসময় শাহজাহান খান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদে তার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় লড়ছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন।


আরও খবর