আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

আলুবীজ সংগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন রংপুর অঞ্চলের ডিলাররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে নির্ধারিত সময়ে আলুবীজ সংগ্রহ ও বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন রংপুর অঞ্চলের ডিলারর। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ২০২৩-২৪ বিতরণবর্ষে ডিলারদের জন্য বীজ বরাদ্দের বুকিংয়ের শেষ দিন ছিল ৫ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ে রংপুর অঞ্চলের ৮৫৬ ডিলারের মধ্যে বুকিং দিয়েছেন ৭৪৯ জন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে তাদের। হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে পরিবহন সংকটে নির্ধারিত সময়ে বীজ সংগ্রহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ডিলারদের মাঝে। আবার নভেম্বরের মধ্যে কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের ঝুঁকিও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে মানসম্পন্ন বীজ না পেলে আলু আবাদে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদেরও।

বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগে বীজ আলু বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ১৪৫ দশমিক ৯১৫ টন। এর মধ্যে নিবন্ধিত ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৪ টন। কৃষক, বীজ আলু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিক্রির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬৬১ দশমিক ৯১৫ টন।

এর মধ্যে রংপুর জেলায় বুকিং দিয়েছেন ১৯২ ডিলার। নীলফামারীতে ১৪১, লালমনিরহাটে ১১৭, গাইবান্ধায় ১৩৭ ও কুড়িগ্রামে বুকিং দিয়েছেন ১৬২ জন। রংপুর জেলার প্রত্যেক ডিলারের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কেজি। বাকি চার জেলার ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৮০০ কেজি। ২০২২-২৩ বিতরণবর্ষে আলুর বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৯৬৯ টন এবং প্রতি কেজি বীজ আলু ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে বর্তমানের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করেছে বিএডিসি।

এ অঞ্চলের ডিলারদের দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ ১৮টি কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তবে প্রায় ৬০০ টন বীজ ডিলারদের নদীর ওপারে অর্থাৎ টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মুন্সিগঞ্জসহ দূরের জেলার কোল্ড স্টোরেজ থেকে বাধ্যতামূলক সংগ্রহ করতে হবে।

রংপুর নগরীর বিএডিসির ডিলার মো. ফিরোজ আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় স্বাভাবিকভাবে চলতি মৌসুমে আলুবীজের চাহিদা বেশি থাকবে। আমিও আশায় ছিলাম বীজ বিক্রি করে লাভবান হব। কিন্তু হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে; বিশেষ করে কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু পরিবহনে যানবাহন ভাড়া করা কঠিন হবে। নভেম্বরে বীজ কৃষকরা না পেলে অবিক্রীত থেকে যাবে। তাছাড়া বীজের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, কৃষক না নিলে পরে খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রি করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ডিলাররা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ টন। এবার ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ভালো মানের বীজ সাড়ে ৫৩ টাকা ও বি গ্রেডের বীজ ৫২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের বীজ ৬০ টাকা এবং বি গ্রেডের বীজ সাড়ে ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য জাতগুলো প্রকার ভেদে ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে ৪-৭ টাকা কমবেশি হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. তাজমিনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না হলে পরিবহনের অভাবে ডিলারের পক্ষে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের মতো দূর-দূরান্ত থেকে আলু আনা সম্ভব হবে না। একেক স্থানের কৃষক একেক জাতের আলু আবাদ করেন। নির্দিষ্ট সময়ে কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক বীজ দেয়া না গেলে বাধ্য হয়ে কম দামে খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন, শুধু আলু নয়, রবি মৌসুমে কৃষক পরিবহনের অভাবে তাদের উৎপাদিত শস্যের বাজার দাম ভালো পাবেন না।

বিএডিসি (বীজ বিপণন) রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, রংপুর অঞ্চলে বীজের চাহিদা নির্ধারণ হয়েছে জাতীয় পর্যায় বিবেচনায়। এবারের চেয়ে গতবার বীজ আলুর পরিমাণ বেশি থাকলেও বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ টন। এমনকি দাম পুনর্নির্ধারণ করেও মাত্র ২০০ টন বিক্রি করতে পেরেছিলেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে ডিলাররা নদীর ওপারে, বিশেষ করে দূরের কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ আলু পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, রংপুর বিভাগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। তারপর শুধু আলুবীজ নয়, যেকোনো ব্যবসায়ী যদি নিরাপত্তাসহ কোনো সহযোগিতা চান, আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রস্তুত। এমনকি বাইরের জেলায় যদি সহায়তা প্রয়োজন হয়, আমরা তাও দিতে প্রস্তুত। জেলায় পর্যাপ্ত বীজ আলু মজুদ আছে।

নিউজ ট্যাগ: আলুবীজ

আরও খবর
ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪

খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর



আজ থেকে যথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা আগের মতোই বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারবেন।

গত বুধবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমে বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। গত বছরের ঈদেও বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল।

নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনের বন্ধ। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার থেকে যাথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল।

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়। দিনের শেষ ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়।

নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজে অসন্তোষ, নতুন প্রকল্প না নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক এ সুপারিশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। এ সময় কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মো. মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, মো. শাহরিয়া আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়।

এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তকরণ এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্য ক্ষমতা ও বিধি বিধান রয়েছে কি না তার তথ্য উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪