যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়া
কিংবা ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এতে বিরোধীদলের কথাও বলা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যদি তারা শুধু আওয়ামী
লীগকে টার্গেট করে থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে মনে রাখতে হবে আমি কিন্তু কারো
শক্তিতে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
আওয়ামী লীগেরও চাওয়া। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের
চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)
দেবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা
ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলছে, ২০০১ কিংবা সামরিক শাসকদের নির্বাচনের সময় তারা কোথায়
ছিল?
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট
ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি
করা এগুলো আমরা করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগান তো
আমারই দেওয়া। ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন তো আমরাই করেছি।
সরকারপ্রধান সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় আসতে
হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ। গোলমাল করে অবৈধভাবে আসতে চাইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে দেওয়া
ওয়াদা রক্ষা করে। বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দুর্নীতি হচ্ছে না বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক
বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের
ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট
ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের
ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,
ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ
উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।