আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোন নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই-দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা।

তিনি বলেন, আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সে রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> অক্টোবর থেকে ১১ টোল প্লাজায় বাধ্যতামূলক হচ্ছে ই-টোল

আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না। সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। ওই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে।

তিনি বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনি এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবরীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিকসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।


আরও খবর



ঐতিহ্য হারাচ্ছে ঈশ্বরদীর মৃৎশিল্প

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

প্লস্টিক তৈরির সামগ্রীর দাপটে পাবনার ঈশ্বরদীর মাটির তৈরি সামগ্রী কারিগর বা মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন চলছে। নেই আগের মতো বেঁচা-বিক্রি এবং মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনাসহ অন্যান্য সামগ্রী। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের চাহিদায় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

কিছু দিন আগেও কেবল মাত্র দই এবং ফুলের টব তৈরি করা হলেও এখন মাত্র দইয়ের পাতিল তৈরি করে কোনো রকমে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মধ্য পাল পাড়ার একাধিক কুমার। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ পেশায় সংযুক্ত না করে নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পেশায়। এক সময় বিনামূল্যে মাটি পেলেও এখন উচ্চমূল্যে মাটি কিনে এবং অন্যান্য খরচ করে মাটির সামগ্রী তৈরিতে পোষাচ্ছে না তাদের।

সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া মধ্য পাল পাড়ার সাধন পাল জানান, মূলত এই ব্যবসাটা আগে ছিল এখন আগের মতো আর নেই তারা বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পেলে এটা আগামী দিনে ঐতিহ্যবাহী পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাদের কোনরকম সংসার চালানোর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অপর দিকে উপজেলার মুলাডুলি পালপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার মৃৎশিল্পীগণ এখন শুধু কুয়োর পাঠ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তারপরও বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পৈত্রিক এ পেশা ধরে রাখতে কোনো রকমে টিকে আছে তারা। এক সময় দেশের সর্বত্র মৃৎশিল্পী বা কুমারদের সোনালি দিন ছিলো। বছরজুড়ে থাকত কুমারবাড়ি বা পাল পাড়াতে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, খাদা প্লেট, কলসি, জগ, গ্লাস, গো-খাদ্যের চাড়ি, মুড়ি ভাজার পাতিলসহ নানা আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরির জমজমাট কর্মযজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি কুমার বা পালদের তৈরি হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রী।

কিন্তু বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্যান্য মাটির সামগ্রীর কদর কমে আসে। ৩-৪ বছর আগেও কেবল মাত্র মিষ্টি ও দই এবং ফুলের টবের কিছুটা চাহিদা ছিল। হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মত না থাকায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।


আরও খবর



রাজনীতিকে বিদায় জানালেন ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাজনীতিকে বিদায় জানালেন ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলোচিত রাজনীতিবিদ সানা মারিন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এই ঘোষণা দেন। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

ইউরোপের অন্যতম কনিষ্ঠ নেতা হিসেবে তিনি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ইউক্রেনের পক্ষে ইউরোপে তিনি বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজনীতি ত্যাগ করে তিনি লন্ডনভিত্তিক এক অলাভজনক সংস্থায় যোগ দিবেন।

২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। চলতি বছর এপ্রিলে তিনি জোট সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। করোনা মহামারি মোকাবিলায় তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়। তার শাসনেই ন্যাটোর ৩১তম সদস্য হয় ফিনল্যান্ড। 

আরও পড়ুন>> জি–২০ সম্মেলনকে ঘিরে ‘অচল’ দিল্লি

ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বারবার আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করায় পরবর্তী সময়ে ক্ষমাও চাইতে জয়েছে সানাকে।

সানা মারিন বলেন, এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। নতুন ভূমিকায় কাজ করতে আগ্রহী আমি। আমি বিশ্বাস করি এতে করে পুরো ফিনল্যান্ডেরই ভালো হবে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি নতুন ভূমিকাতেও আমি ফিনল্যান্ডের জনগণের সেবা করতে পারবো।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ এ যোগ দিচ্ছেন সানা। তিনি এর কৌশলগত পরামর্শক এর দায়িত্বপালন করবেন। সানা বলেন, নীতি নির্ধারণী ইস্যুতে বিভিন্ন দেশ, সরকার ও নেতাদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন তিনি। প্রযুক্তি, প্রশাসন, জলবায়ু, জেন্ডার সমতা নিয়ে তিনি কাজ করবেন বলে জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন>> প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ার পতাকা থাকবে না: ম্যাক্রোঁ

চলতি বছর এপ্রিলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগ দেয় ফিনল্যান্ড। সে মাসেই তিনি ফিনল্যান্ডের মূল কনজারভেটিভ পার্টির কাছে হেরে যান। তার দল সোশ্যাল ডেমোক্রেট সংসদে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায়।


আরও খবর



দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে বলেছেন।

তিনি বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, পেশাদারত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন।

আজ (শুক্রবার) ঢাকায় দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেখানে তিনি শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। শেখ হাসিনা দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।


আরও খবর
লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নেপালকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। বৃষ্টির কারণে ভারত-পাকিস্তান মহারণ ভেস্তে গিয়েছিল। নেপালের বিপক্ষেও সেই আশঙ্কা ছিল। কাট-অফ সময়ের ৫ মিনিট আগে খেলা শুরু করেন আম্পায়ারেরা।

প্রথমে ভারতের সামনে টার্গেট ছিল ৫০ ওভারে ২৩১ রান। পরে বৃষ্টির কারণে লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। আরামসে সেই রান তুলে ফেলেন রোহিত শর্মারা। ফলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার ফোরে গেল ভারত। এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে জায়গা করেছে পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের পরে এবার ভারতের কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলো নেপাল।

কাট-অফ সময়ের ৫ মিনিট আগে খেলা শুরু করতে পারেন আম্পায়ারেরা। প্রথমে ভারত রান তাড়া করতে নেমে ২.১ ওভারে যখন ভারতের রান বিনা উইকেটে ১৭, তখনই আবার বৃষ্টি শুরু হয়।

বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। সময় নষ্ট হওয়ায় ভারতের লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি ভারতের। ওভার কমে যাওয়ায় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেন রোহিত ও শুভমান গিল। ৩৯ বলে অর্ধশত রান পূর্ণ করেন রোহিত।

১৪ ওভারেই ১০০ রানের জুটি গড়েন তারা। দ্রুত খেলা শেষ করার চেষ্টা করছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। শুভমানও নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। রোহিত ৭৪ ও শুভমান ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ক্যাচ মিসের মহড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে নেপাল। তাদের দুই ওপেনার কুশাল বুর্তাল ও আসিফ শেখ উদ্বোধনীতে ৯.৫ ওভারে ৬৫ রানের জুটি গড়েন।

২৫ বলে ৩টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন ওপেনার কুশাল বুর্তাল। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৬৭ রানে নেপাল হারায় ৫ উইকেট। ৯৭ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন আসিফ শেখ।

নিউজ ট্যাগ: এশিয়া কাপ ভারত

আরও খবর



সংসদে রিপোর্ট উপস্থাপন

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করলে সাজা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করা হলে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে তা আমলে নেবেন আদালত।

এমন বিধান রেখে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনটির রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়াও বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি।

বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

যদি এ আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যে দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে তোলা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা-এর স্থলে পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে।

বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল।

বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা  হচ্ছে, এই ধারায় সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।

বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা এর কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।

এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় তথ্য-উপাত্ত বিশেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে প্রতিস্থাপন করা হবে।


আরও খবর