যুক্তরাষ্ট্রের
প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে
বুধবার (২৩ মার্চ) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। ৮৪ বছর বয়সী অলব্রাইট ক্যান্সারে
ভুগছিলেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ কথা জানানো হয়।
বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট
থাকার সময় ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন
করেন চেক বংশোদ্ভূত মেডেলিন অলব্রাইট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দায়িত্ব পালনের সময় ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মেডেলিন অলব্রাইট
কসভোয় জাতিগত দমন অভিযান বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
১৯৩৭ সালে তৎকালীন
চেকস্লোভাকিয়ার প্রাগে জন্ম নেওয়া অলব্রাইটের বাবা ছিলেন একজন কূটনীতিক। ১৯৩৯ সালে
নাৎসিরা চেকস্লোভাকিয়া দখলের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। মেডেলিন
অলব্রাইট ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৫৭
সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি। ডেমক্রেট নেতা জিমি কার্টার যখন প্রেসিডেন্ট
তখনই হোয়াইট হাউজে কাজ শুরু করেন মেডেলিন অলব্রাইট। পরে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র
বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯৩ সালে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমে
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করা হয় মেডেলিন অলব্রাইটকে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করা হয় তাকে।
বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট
থাকাকালে ২০১২ সালে মেডেলিনকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করা হয়।
মেডেলিন অলব্রাইটের
মাধ্যমে যে যাত্রার শুরু হয়েছিল, সেই পথ ধরে পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন
কন্ডোলিজা রাইস ও হিলারি ক্লিনটন।