আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক জোটকে ঢেলে সাজাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কখনো কখনো বলা হয়, আমেরিকার মিত্র আছে আর চীন ও রাশিয়ার আছে কেবল গ্রাহক। অধিকাংশ দেশই দুটি শিবিরের মধ্যে অস্বস্তিকরভাবে ঘোরাফেরা করে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জোট ও অংশীদারদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্ক, বড় প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ। এটি বাইডেনের পূর্বসূরি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে একটি বড় পরিবর্তন, যিনি বেশিরভাগ মিত্রকে সুবিধাবাদী হিসাবে বিবেচনা করতেন।

ইউরোপের কথাই ধরা যাক, ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনে সাহায্য পাঠাতে আমেরিকার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনও ন্যাটোতে যোগ দিতে ছোটাছুটি করছে। এশিয়ায় চীনের আধিপত্য কমাতে আমেরিকার প্রচেষ্টা তার আনুষ্ঠানিক জোট ও উদীয়মান অংশীদারদের নেটওয়ার্কের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে। ২০২৩ সালে আমেরিকা পূর্ব ও পশ্চিমে তার মিত্রদের মধ্যে প্রতীকী অর্থে সংযোগ টিস্যু (টিস্যু যা শরীরের অন্যান্য টিস্যু ও অঙ্গকে সমর্থন করে, রক্ষা করে এবং গঠন করে) আরও শক্তিশালী করতে চায়। একদিকে, জো বাইডেন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই সংযোগকে গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে দেখেন।

অপরদিকে, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ এ অংশেই বসবাস করে। এই অঞ্চলকে ঘিরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক নিকোলাস জন স্পাইকম্যান ধারণা দেন রিমল্যান্ডের। রিমল্যান্ড হলো একটি ধারণা বা তত্ত্ব যা ভৌগলিক কারণে একটি দেশের নিরাপত্তা নীতির পরিকল্পনা। তিনি একটি দেশ বা মহাদেশের সমুদ্রসীমা বর্ণনা করেছেন, বিশেষ করে ইউরেশিয়া মহাদেশের পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্ব প্রান্তে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলকে ঘিরে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই রিমল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে ইউরেশীয় কেন্দ্রভূমিকে ধারণ করার পুরোনো ভূ-রাজনৈতিক ধারণা পুনরুজ্জীবিত করতে চান। যেখানে জাপান থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত মিত্রদের একটি জোট প্রসারিত। কিন্তু ছোট ছোট টুকরোগুলোকে এক সঙ্গে সংযুক্ত করা এতো সহজ নয়। ন্যাটো পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ওপর ভিত্তি করে গঠন করা হয়, যেখানে একজনের ওপর আক্রমণ মানেই সবার ওপর আক্রমণ। এর বিপরীতে এশিয়ায় আমেরিকার জোট হলো দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলোর একটি হাব-অ্যান্ড-স্পোক ব্যবস্থা যেখানে পরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণ সামান্য ব্যাপার।

আমেরিকা অনানুষ্ঠানিক অংশীদারদের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার সম্পর্ক আরও জোরালো করার চেষ্টা করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা অনুশীলন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া এবং ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে সামুদ্রিক জলদস্যুতা রোধ করা পর্যন্ত সবকিছুতে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের সঙ্গে বহুমুখী কার্যক্রম চালিয়েছে কোয়াডের (চীনবিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে গঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নতুন প্রবণতা ইউরোপীয়ান ও এশিয়ান মিত্রদের আরও সম্পৃক্ত করেছে। অকাস চুক্তি অনুযায়ী, পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা ও হাইপারসনিক মিসাইল সহযোগিতাও করবে তারা। যদিও এটি নিয়ে নাখোশ ফ্রান্স। কেননা, ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বের চুক্তি ভেসতে গেছে এতে। ইন্দো-প্যাসিফিকের মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিয়েছে। ২০২২ সালের জুনে মাদ্রিদে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দিয়েছে তারা। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরে কাজ করার জন্যও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।

বিশিষ্ট আমেরিকানরা দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-কে জি-১২ এ প্রসারিত করতে চান। ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য, পশ্চিমা অস্ত্রাগার পুনরুদ্ধার ও মিত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য অস্ত্রের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ সামরিক সংগ্রহের বিষয়ে আরও সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, উদীয়মান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে আইটুইউটু। ইসরায়েল, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংযুক্ত করে এ জোট। খাদ্য নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তির বিকাশ তাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে আটকাতে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সখ্যতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্বলতাও আছে কিছু। এর একটি হলো তাইওয়ান ইস্যু। চীনের আক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা এখন তাইওয়ান। এখনও আমেরিকার অফিসিয়াল জোটের নেটওয়ার্কে সবচেয়ে কম সংহত এই অঞ্চল। আরও একটি ফাঁক আছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের সঙ্গে। এটি আমেরিকার কাছাকাছি থাকলেও এখনও রাশিয়ার সঙ্গে জোট নিরপেক্ষ এবং শক্তিশালী সামরিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে আছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ প্রীতি অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রয়েছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ান অস্ত্রের দুর্বলতা, পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহে ভারতের স্থানান্তরকে ত্বরান্বিত করবে। আমেরিকার বন্ধুদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার জন্য একটি সামগ্রিক বাণিজ্য কৌশলের অভাব হলো সবচেয়ে গুরুতর দুর্বলতা। তা ছাড়া বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করার ব্যাপারও রয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে সংবেদনশীল সরবরাহ স্থানান্তর করাও গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) প্রগতিশীল চুক্তি নামে পরিচিত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য এশিয়ার দেশগুলো আমেরিকার জন্য দরজা খোলা রেখেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তরাধিকার এবং বাইডেনের নিজস্ব সুরক্ষাবাদ এখনও শক্তিশালী। চীন ও রাশিয়া নিজেদের ক্লাব গড়ে তুলছে। ইউরেশীয় গ্রুপ, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির একটি গ্রুপ ব্রিকসের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। জ্বালানির ঘাটতির সময়ে, উপসাগরীয় আরব তেল উৎপাদনকারীরা ওপেক প্লাস গ্রুপে রাশিয়ার সঙ্গে তেলের দাম উচ্চ রাখার সাধারণ কারণ তৈরি করেছে, যা আমেরিকাকে রাগান্বিত করছে। বাইডেন বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের অংশে গণতন্ত্র এবং স্বৈরাচারে বিশ্বকে বিভাজনে সুর নরম করেছেন। আমেরিকা বলছে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে অনেক দেশই আশঙ্কা করছে বৃহৎ শক্তির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন ঠাণ্ডা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর



এবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ- এর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল), দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগ করেন।

গত সাত মাস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।

সেই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি সামরিক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই'শ নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের উদ্ধারে তেল আবিবের ব্যর্থতা সেনাবাহিনী ও সরকার বিরোধী ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার একথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সব কর্মকর্তাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



সৌদিতে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে তুমুল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে একটি মসজিদের ছাদ। বুধবার দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের ছাদ বেঙে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে দুইদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর