যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত
করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘তারা বন্ধু বলে
উপদেশ দেয়। উপদেশ ভালো হলে আমরা গ্রহণ করি। বাস্তবসম্মত না হলে আমরা উপদেশ গ্রহণ করি
না, আর এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাগ করে না।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অস্বস্তি
আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। সম্প্রতি ঘানায় যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার একজন
সদস্য, নিউইয়র্কে তাদের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকের সঙ্গে
আমার দেখা হয়েছে। সেখানে আমরা যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠানও করেছি।’
‘আমরা সামনের দিকে
আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার দিকে তাকিয়ে আছি। এখন অস্বস্তি হচ্ছে তারা যেটা চায়, আমরাও
সেটা চাই। সেটা কী, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এর সঙ্গে তারা যোগ করেছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
আমরা বলেছি এটার গ্যারান্টি (নিশ্চয়তা) আমরা দিতে পারব না। এটা আমাদের সংস্কৃতির ওপর,
সব দল এবং মতের নেতৃত্বের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতার ওপর নির্ভর করে। তারা সেটা বোঝে।’—যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা অস্বস্তির
কথা বলেছিলেন। আপনারা বলেছিলেন অমুক নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে। ওরা আমাদের এসব বলেটলে না। এগুলো
আপনারা বলেন। ওরা বলে না।’
নির্বাচনের আগে বোয়িং উড়োজাহাজ বিক্রির
প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন কি না জানতে
চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবটি অনেক দিন আগের। বাংলাদেশ বোয়িং
কিনতে চাচ্ছে। কারণ, আমাদের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ তার বিমানের বহরে কিছু বৈচিত্র্য
আনতে চায়, তাই ১০টি এয়ারবাস কিনব। ১০টি এয়ারবাস কেনার খবর বের হলে বোয়িং প্রস্তাব দিয়েছে
আরও সস্তায় উড়োজাহাজ বিক্রির।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেনাবেচার নিষেধাজ্ঞাসহ
অন্য কোনো বিষয় জড়িত কি না জানতে চাইলে উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কেনাবেচা স্বাভাবিক
প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে তারা অনুরোধ করে। আর অনুরোধকে চাপ মনে করি না।’