ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছরে মস্কোর ওপর আরও অন্তত ১০টি নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সুইডিশ ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্সি শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে ঘোষণা করে এ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ।
যুদ্ধের অর্থায়নকে আরও কঠিন করার পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের জন্য প্রযুক্তি সরঞ্জাম ও খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় এতে। ইইউ আরও জানিয়েছে, ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয় জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সংস্থাটি। ইউক্রেনকে যতদিন লাগবে সমর্থন করবে ইইউ। এর আগে শুক্রবার, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিহাল পোল্যান্ডের দেওয়া চারটি লিওপ্যার্ড ট্যাংকের সামনে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট রাশিয়ার ৩০টিরও বেশি কোম্পানি ও বহু ব্যক্তির ওপর আরও ডজনখানেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে মস্কোর বেশ কয়েকটি ব্যাংক, প্রযুক্তি কোম্পানি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ ব্লক করার ঘোষণাও দিয়েছে ওয়াশিংটন। এছাড়া তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের ব্যবসার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৯২ নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত করে কানাডা।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে মস্কো। রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।
শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় বছরে গড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও। দেশটিকে সহায়তার ডালি নিয়ে বসে পশ্চিমা বিশ্বও।
একবছরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। মুখ থুবড়ে পড়ে গোটাবিশ্বের অর্থনীতি। কার্যত অচল হয়ে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য। এখনো যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। বরং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সব উপকরণ হাজির হয়েছে।