ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফিলিস্তিনের
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি আবারও নাকচ করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নয়, বরং গাজা উপত্যকায় কিছু সময়ের জন্য হামলায়
‘কৌশলগত বিরতি’ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি চ্যানেলকে দেওয়া
সাক্ষাৎকারে গতকাল সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, হামলায় কৌশলগত বিরতি কার্যকর করা হতে পারে
দুটি কারণে। প্রথমত, গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত,
হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের গাজা থেকে বের করে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধ থেমে যাওয়ার
পরও দীর্ঘ মেয়াদে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলের প্রয়োজন হতে
পারে।
গাজায় সাধারণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ইসরায়েলের
যুদ্ধ-প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে—এমনটাই মনে করছেন নেতানিয়াহু। তাঁর মতে,
এর চেয়ে কার্যকর কৌশল কিছু সময়ের জন্য হামলা বন্ধ রাখা। এটা হতে পারে ঘণ্টাখানেকের
বিরতি। এ সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে। গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে
পারবেন আটক ব্যক্তিরা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের
স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে দেশটিতে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
ওই দিন থেকে নির্বিচার পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এক মাসে গাজায় নারী–শিশুসহ ১০ হাজারের
বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি হামলা থেকে
বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক
সংস্থার পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি তোলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির
দাবি জানিয়েছে হামাসও। কিন্তু নেতানিয়াহু বরাবরই এ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন।
এখনো নিজের সেই অবস্থানে অটুট তিনি।