আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুদ্ধাপরাধ: মোমিনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে আবদুল মোমিন তালুকদার রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ে আদমদিঘী থানার তালশন গ্রামের অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আব্দুল মোমিনতালুকদার ওরফে খোকার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পলাতক মোমিন তালুকদার বগুড়ার আদমদিঘীর আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য।

আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

রায়ের পর প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন সাংবাদিকদের বলেন,আসামির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিল। প্রথমটিতে ১০ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। দ্বিতীয়টিতে পাঁচজনকে হত্যা, যার মধ্যে দুজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা, বাকি তিনজনকে ধরে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা। আর তৃতীয় অভিযোগে চারজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা বলা হয়েছে রায়ে।

মোমিনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল দুপুরের দিকে আসামি আবদুল মোমিন তালুকদারসহ পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে ২০ জন পাকিস্তানি সেনা নিয়ে বগুড়ার আদমদিঘী থানার কলসা বাজার, রথবাড়ি ও তিয়রপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করতে অপারেশন চালায়। ওইদিন আসামি নিজে তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কলসা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন প্রামাণিকসহ হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবরে অভিযান চালিয়ে একই থানার কাশিমালা গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৬ থেকে ১৭টি বাড়ি লুণ্ঠন করে এবং সেদিন পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করেন।

তৃতীয় অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে আবদুল মোমিন তালুকদার রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ে আদমদিঘী থানার তালশন গ্রামের অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন।


আরও খবর



এক সিগারেটের আগুনে পুড়ল ১০০ বিঘা পানের বরজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় ১০০ বিঘার পানের বরজ আগুনে পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন ৯০ জন পানচাষি। পানের বরজ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানচাষিরা বলছেন, সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

শুক্রবার (৩ মে ) দুপুরে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের পান বরজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পোড়াকয়া গ্রামের ইসাহাকের পান বরজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, শতাধিক কৃষকের প্রায় এক থেকে দেড়শ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিব। তালিকা হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

পানচাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। পানের বরজ এমনভাবে পুড়েছে তাতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। বছরের এ সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া। এ সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।

আরেক চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার এক বিঘারও বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ বরজ তৈরি করতে আবার অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপণের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে চোরাকারবারিদের নৌকা ডুবে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা বলেন, বুধবার সকালে নৌকাটি ডুবে যায়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একটি ৬ মাস বয়সি শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। বেঁচে থাকা ছয়জনকে গুরুতর হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন নৌকাডুবির উদ্বেগও বাড়ে। তাই ইতালীয় বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী দাতব্য সংস্থার উদ্ধারকারী নৌকার  কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে দেয়।

ইতালির অতি-ডান-নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি দাতব্য নৌকাগুলোকে উদ্ধারের পর উত্তর বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম কমিয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে নৌকাগুলোকে আটক করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ফেদেরিকো ফসি বলেন, গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। কারণ এ সময় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত নৌকা নিয়ে ইতালি যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিতে আসার পথে ভূমধ্যসাগরে ৩৮৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প চালু করার পর থেকে ২৩ হাজার ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটেও ভিড় নেই যাত্রীদের। ঘাটে আসার পরপরই যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

তবে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে এ ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এ পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর কমেছে ভোগান্তি; স্বস্তি ফিরেছে ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এ নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনটি ঘাট প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন। কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।


আরও খবর



ওমানে বন্যা: স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বন্যার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন মানুষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতদের অনেকেই স্কুলগামী শিশু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

ওমান নিউজ এজেন্সি রবিবার প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, বন্যার পানিতে গাড়ি ভেসে যাওয়ায় নয় জন স্কুলগামী শিশু ও তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মারা গেছেন।

দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে আঘাত হানা এই বন্যায় আরও পাঁচ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন।

ওমান নিউজ এজেন্সি সোমবার জানায়, এক শিশু ও তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার থেকেই দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে ওমানবাসীদের জীবন। দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ওমানের সুলতানের মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, শারকিয়াহ প্রদেশে সম্প্রতি প্রাণ হারানো স্কুলগামী শিশুদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি মন্ত্রিসভা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে।

সোমবার দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্যার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশিরভাগ স্কুলের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। বন্যার কারণে বেশ কিছু সড়কে পরিবহণ চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

সড়কে ও অন্যান্য জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের কাজে ওমানের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

দিনের পরের অংশে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যেমন বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও আঘাত হানতে পারে ঝড়।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বন্যায় ওমানে তিন শিশু প্রাণ হারায়।


আরও খবর