আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে রাশিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনের অবশিষ্টাংশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

যুদ্ধের দশ মাস কেটে গেছে। এরমধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক ও জাপোরিঝঝিয়া, এ চার অঞ্চলকে রাশিয়ার নিজস্ব ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেন। তবে এসব অঞ্চলে এখনও অস্থিরতা চলছে। নভেম্বরের প্রথম দিকে ইউক্রেন ও তার মিত্রদের পাল্টা আক্রমণে খেরসন ছাড়তে বাধ্য হন রুশ সেনারা।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, পুতিন নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধকে যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী করছেন, তাতে তার নিজ দেশের সাধারণ নাগরিকরাই ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরিস্থিতি এখন এমন যে, এ যুদ্ধ রাশিয়াকেই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ দিতে চলেছে। যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে রাশিয়ায় ব্যাপক নৈতিক অবক্ষয় ও গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রুশ নাগরিক। এদিকে, পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে জেলেনস্কিকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষণ করে যাচ্ছে তাতে, রাশিয়ার যুদ্ধে টিকে থাকার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এমন অবস্থায় দেশটি অশাসনযোগ্য ও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে।

একাতেরিনা শুলম্যান নামের এক রুশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলছেন, ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল দখলের মাধ্যমে পুতিন নতুন রুশ ফেডারেশন গঠন করেছেন, তা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফেডারেশনটি নিজের মৌলিক কাজগুলো সম্পাদন করার মতো সক্ষমতা এখনো অর্জন করেনি। সংযুক্তিকরণ ইউক্রেনীয় বাহিনীকে থামাতে পারবে না। বরং এটি উত্তর ককেশাস প্রজাতন্ত্রসহ রাশিয়ার নিজস্ব অঞ্চলগুলোকে অস্থির করে তুলবে ও কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে, তাহলে খুব সহজেই এ অঞ্চলগুলো রাশিয়ার হাতছাড়া হয়ে যাবে।

একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, সামরিক শক্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। যদিও রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার বর্তমানে পুতিনের শক্তিশালী পক্ষ হিসেবে কাজ করছে।

এমনকি, ওয়াগনার প্রকাশ্যে রুশ কারাবন্দীদের তাদের দলে যুক্ত করছেন। বাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিনিময়ে তাদের সাজা মওকূফ করে দেওয়া হচ্ছে। একই কথা বলা যেতে পারে, চেচেন প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর ক্ষেত্রেও। এসবের পরও রাশিয়া তার মৌলিক কাজগুলো চালিয়ে যেতে পারছে না। সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় পুতিন প্রশাসন তিন লাখ সাধারণ রুশ নাগরিককে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করেছেন।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব নতুন সেনার একমাত্র কাজ হলো, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা। তাদের মধ্যে অনেকেই ২০২৩ সালে বেঁচে থাকবেন কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সেনাবাহিনীতে এমন জোরপূর্বক নিয়োগের ঘোষণা রাশিয়াকে অভ্যন্তরীণভাবে অস্থির করে তোলে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষিপ্ত তরুণরা নিয়োগকেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দেন। তাছাড়া, কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। শুধু যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহেই তিন লাখের বেশি রুশ নাগরিক দেশ ছাড়েন, যাদের বেশিরভাগই তরুণ, শিক্ষিত ও সম্পদশালী। অনেকে বলছেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ও জনসংখ্যার ওপর তাদের প্রস্থানের সম্পূর্ণ প্রভাব এখনও পড়েনি, তবে সামাজিক উত্তেজনা বাড়ছে।

রাশিয়ার কারাগারে বন্দী বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি আদালতের এক শুনানিতে বলেছিলেন, আমরা আমাদের বিপর্যয় রোধ করতে পারিনি, বরং আমরা সেদিকে দ্বিগুন গতিতে আছড়ে পড়তে চলেছি। এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো, রাশিয়া কতটা ভয়াবহভাবে বিপর্যয়ের তলদেশে আঘাত করবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এ প্রশ্নের উত্তর কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর



ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নেতজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বাহিনীর ওই সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আইডিএফর এলিট বাহিনী হিসেবে পরিচিত নেতহাজ ইহুদা ব্যাটালিয়নকে কালো তালিকাভূক্তির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

রোববার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। কারণ আমাদের সৈন্যরা দানব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যদি আইডিএফর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে তা হবে অযৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে এতদিন ধরে যে নির্দেশনা দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী ইতামার বিন গিভির এবং বেঞ্জালেল স্মোট্রিচ যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের সৈন্যদের ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তা হবে সীমা লঙ্ঘনের সামিল।

ইতামার বিন গিভির আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অধিক সতর্ক হওয়া উচিত এবং আমাদের নেতহাজ ইহুদা বাহিনীকে রক্ষা করা উচিত। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োব গ্যালান্টকে ইসরায়েলি সরকারের বাজ পাখি আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী গিভির।

দেশটির অর্থমন্ত্রী বিজালেল স্মোট্রিচ এক্স প্লাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলিট ফোর্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে পাগলের কার্যকলাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার (১৮ মে) র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বহুল আলোচিত একজন নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর



বাকৃবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

এরপর বাকৃবির প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ড. আফরিনা মুস্তারি জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতির। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪