আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুবরাজ মার্কেট অপসারণে বিআইডব্লিউটিএ’র নোটিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দর থানার গঙ্গাকূল খণ্ড মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর জায়গায় নির্মিত যুবরাজ মার্কেট অপসারণে মো. জাকির ওরফে জাকির শাহ পীরকে নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

২৯ নভেম্বর (রবিবার) যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) শেখ মাসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে যুবরাজ মার্কেটের মালিক মো. জাকির হোসেন বরাবর ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ সুপার, বন্দরের ইউএনও, বন্দরের এসিল্যান্ড, বন্দরের ওসি এবং নৌ-পুলিশের ওসিকেও দেওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নদী ভরাট এবং অবৈধ দখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-৩৫০৩/০৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত নদী দখলদার উচ্ছেদসহ নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, নদীর তীরভূমিতে স্থায়ী কাঠামো অপসারণ এবং বালু বা অন্য কোনোভাবে নদী ভরাট সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন-১৫৩৩৩/১২-এর আদেশেও অনুরূপভাবে নদী ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে জেলা প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জ, জরিপ অধিদফতর, বিআডব্লিউটিএ এবং সংশ্লিষ্ট অন্য দফতর সমন্বয়ে সিএস নকশা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উক্ত এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর সীমানা চিহ্নিত করার পর গৃহীত জিপিএস অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ হতে উক্ত এলাকায় লাল নিশান এবং লাল দাগ দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দর থানার গঙ্গাকূল খণ্ড মৌজায় সাম্প্রতিককালে আপনি শীতলক্ষ্যা নদীর জায়গায় লাল নিশান ও দাগ অতিক্রম করে অবৈধ এবং বেআইনিভাবে যুবরাজ মার্কেট নামে একটি পাকা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। উক্ত নির্মাণ কাজ শুরুর প্রাক্কালে আপনাকে সরাসরি মহামান্য হাইকোর্টের আদেশটি অবহিত করা হয়েছে এবং এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপর বিভিন্ন সময়ে বারণ করা শর্তেও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে আপনি নির্মাণ কাজ চলমান রাখেন এবং নির্মাণ সম্পন্ন করেন। আপনার এরূপ কার্যক্রম সরকারি আদেশ লঙ্ঘনসহ সরাসরি মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের বরখেলাপ।

এমতাবস্থায়, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার গঙ্গাকূল খণ্ড মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর জায়গায় নির্মিত অবৈধ যুবরাজ মার্কেট নামীয় পাকা স্থাপনাটি পত্র জারির সাত দিনের মধ্যে নিজ খরচে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করে তীরভূমি ও নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ নোটিশটি চূড়ান্ত নোটিশ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বলা হলো। পরবর্তীতে উক্ত স্থাপনা উচ্ছেদে আপনাকে আর কোনও প্রকার নোটিশ প্রদান করা হবে না। অন্যথায় উক্ত স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে এবং উচ্ছেদের সমুদয় ব্যয় আপনার নিকট থেকে আদায় করা হবে। একইসঙ্গে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অবমাননায় আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমামনার অভিযোগ দাখিল করা হবে।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর ঘাট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ওই সময়ে বন্দরের গঙ্গাকূল মৌজায় পীর জাকির শাহের নির্মাণাধীন যুবরাজ মার্কেটের শতাধিক দোকানঘর উচ্ছেদ করতে গেলে বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে বাধা দেন দখলদাররা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তখন পীর জাকির শাহের কাছ থেকে দোকান ক্রয়কারী এক ব্যক্তি ভেকুর অপারেটরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের মার্কেটে ভেকু দিয়ে ভাঙচুর করলে ভেকু অপারেটরকে হত্যা করে সে ফাঁসিতে ঝুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়। পরে পীর জাকির শাহের নিয়োজিত আইনজীবী হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ দেখালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ পিছু হটে।

পরে ১৫ নভেম্বর বন্দর ১ নং খেয়াঘাটস্থ ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বিশাল সমাবেশ করে বিআইডব্লিউটিএর প্রতি হুঁশিয়ারি দেন পীর জাকির শাহ। এছাড়া বর্তমান সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন তার কাছের লোক বলেও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের প্রতি সাবধান বাণী উচ্চারণ করেন তিনি। অথচ এই পীর জাকির শাহের বিরুদ্ধে শুধু বিআইডব্লিউটিএর জমিই নয় রেলওয়ের পুকুরও দখল এবং ভরাটের অভিযোগ রয়েছে।

বন্দর ১ নং খেয়াঘাটস্থ ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ'র অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় সভাপতি'র বক্তব্যে জাকির শাহ বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তাদের প্রতি হুংকার দেন। তিনি বলেন, বেহায়া ও বেশরম কিছু অফিসার আছে তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে সরকারের বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মা। আমি আমার মায়ের কাছে যাবো এবং আপনাদের কথা বলবো। এদেশে কিছু মন্ত্রী ও কিছু এমপি আমার মুরিদান রয়েছে।  এখানে আমার অনেক মুরিদানের জয়গা সম্পত্তি রয়েছে। সম্পদ রক্ষা করা ইমানি দায়িত্ব। এ আসনের সাবেক এমপি নাসিম ওসমান আমার ছেলে। সে আজ বেঁচে থাকলে এখানে আমাকে আসতে হতো না। অনেক পীর ফকিররা রাজনীতি করে আমি রাজনীতি করি না।

তিনি আরও বলেন, এখানে এসেছি সত্যটা বলার জন্য। বন্দর জন্মভূমি এই কারণে আমাকে এখানে আসতে হয়েছে। পাট মন্ত্রণালয় থেকে বন্দরে সাধারণ জনগণ সরকারকে টাকা পয়সা দিয়ে সাব কবলা দলিল মূলে সাব রেজিস্ট্রি মাধ্যমে উক্ত জমি ক্রয় করে । অথচ মাসুদ করিম নামে একজন মানুষের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এবং কিছু স্থাপনা ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর সিএস জরিপ অনুযায়ী নদীর সীমানা উদ্ধারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এদিকে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর ঘাট এলাকায় পীর জাকির শাহ শতাধিক দোকান ঘর নিয়ে যুবরাজ মার্কেট নির্মাণ করছেন। গেলো বছরের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ওই মার্কেট রক্ষায় আদালতে একটি  রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন পীর জাকির শাহ। তখন হাইকোর্ট ৬ মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন।


আরও খবর



লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

এখানে ছায়াহীন রৌদ্র

শূন্যতার পরে শূন্যতার অনুবৃত্তি

অবাধ্য ভালবাসা নিয়ে বুকে

আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে।

আসবে তুমি? কোন এক সকালে

শিশিরের বুকে পা ফেলে

হাঁটবো দুজন পাশাপাশি।

আমাদের অভিবাদন জানাবে

একজোড়া শালিক পাখি।

অসুখে পরেছি

এমন অসুখ সচারাচর নয়

ক্ষুদ্র হৃদয়ের সমস্ত গর্ব বিসর্জন দিয়ে

আত্মসমর্পণ করছি।

ফিরে আসো

আকণ্ঠ মরেছি তোমার ভালোবাসায়।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল নার্সিং কলেজের পেছনের রাস্তায় আব্দুল আওয়াল (৪৫) নামে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই রিকশা চালককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুমন বসাক বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা নার্সিং কলেজের পেছনের রাস্তা থেকে অচেতন অবস্থায় ওই রিকশা চালককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই রিকশা চালক রিকশা চালিয়ে এসে নার্সিং কলেজের পেছনে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় পড়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. কিশোর কুমার বলেন, এক রিকশা চালককে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে তার মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়েছে কিনা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।  


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আগামী ৫ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আপাতত এই আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

এর আগে, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।


আরও খবর